
চট্টগ্রামের ইপিজেডের পাঁচ নম্বর রোড়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পাঁচ ঘন্টা ধরে জ্বলতে থাকা অ্যাডামস ক্যাপস কারখানাটি আগুনে ধসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। ইতিমধ্যে আগুন পাশের দুটি কারখানায় ছড়িয়ে পড়েছে। চারদিকে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কিছুক্ষণ পরপর ভবনের দেওয়াল, জানালা, সানশেড, লোহার ভিম ভেঙে পড়ছে। বিকট শব্দে ভেতর থেকে ভেঙে পড়েছে বিভিন্ন অংশ। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৯ টি ইউনিট কাজ করছে৷ ঘটনাস্থলে নৌ, বিমান ও সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সদস্য রয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে ইপিজেডের আউটার রিং রোড় সংলগ্ন পাঁচ নম্বর রোড়ে অ্যাডামস ক্যাপ কারখানার সাততলায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ঘটনা ঘটে৷
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেখা যায়, চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলের পাঁচ নম্বর রোড়ে অ্যাডামস ক্যাপ কারখানার আটতলা ভবনটি ধাউধাউ করে জ্বলছে। আগুনে সৃষ্ট ধোঁয়ার কুণ্ডলি অন্তত ৩ হাজার মিটার উপরে উঠেছে। আগুনে একসাথে পুরো আটতলা ভবনটি জ্বলছে। মাঝে মাঝেই খসে পড়ছে দেওয়াল, জানালার কাঁচ, সানশেডসহ নানা স্থাপনা। আবার হঠাৎ করে বিকট শব্দ হচ্ছে। আগুন দেখতে চারদিক থেকে উৎসুক জনতা ভিড় করেছে। সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী ও বিমানবাহিনী, পুলিশ, ডিবি, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল পরিমাণ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। তারা আশেপাশের না ঘেষতে বারবার নির্দেশনা দিচ্ছেন৷ দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট থেকে প্রায় পাঁচ ঘন্টার বেশি ভবনটি জ্বলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এর আগে চট্টগ্রাম ইপিজেডে এতো বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেনি৷ এবারই প্রথম শিল্প এলাকায় এমন ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটল। ইপিজেডের ওই কারখানাটি অ্যাডামস ক্যাপের হলেও সেখানে দুটি ফ্লোর জি ইয়ং নামে একটি চায়না কোম্পানি ভাড়া নিয়েছিল তারা মেডিকেল ইকুইপমেন্ট তৈরি করে থাকে৷ কারখানাটির পাশে আল হামিদি, আদম নামে আরও দুটি কারাখানা রয়েছে। সেসব কারখানায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছে৷
আল হামিদি গ্রুপের রুম অপারেটর সাদ্দাম হোসেন জানান, আগুন লাগা কারখানায় কয়েক হাজার শ্রমিক ছিল৷ দুপুরে যখন লাগে তখন শ্রমিকরা তড়িঘড়ি করে সরে পড়তে সক্ষম হয়৷ এসময় বেশ কয়েকজন আহত হয়। তবে কেউ দগ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি৷
এদিকে ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট কাজ করলেও আগুন নিয়ন্ত্রণের কোন সম্ভাবনাই নেই। তিনটি টিটিএল, ৩ টি লুফ ১৬ দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালাচ্ছে দমকল কর্মীরা৷ তারা জানিয়েছেন, ভবনটি শেষ পর্যন্ত ফেটে পড়তে পারে। আগুন নির্বাপণের কোন সম্ভাবনা নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অ্যাডামস ক্যাপ, আদম, আল হামিদিসহ ৩টি কারখানার মালিক জনৈক ফিরোজ সাহেব। তিনি পাকিস্তানি নাগরিক হলেও বসবাস করেন আমেরিকায়৷