
দীর্ঘ দুই বছর ইসরায়েলি আগ্রাসনের পর ফিলিস্তিনের গাজায় শাসক দল হামাসের সঙ্গে দখলদার বাহিনীর যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে। গত শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় এ শান্তি চুক্তি সম্পন্ন হয়। ২০ দফা চুক্তির একটি প্রস্তাবে গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী দিয়ে নিয়ন্ত্রণের কথা রয়েছে। এ নিয়ে আলোচনাও চলছে।
এরই মধ্যে প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য পলিটিকো দাবি করেছে, গাজায় পাকিস্তান, আজারবাইজান ও ইন্দোনেশিয়ার সৈন্য পাঠানোর কথা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
সাবেক মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার বরাতে পলিটিকো আরও জানায়, এই তিন মুসলিম দেশই এখন পর্যন্ত গাজায় সেনা মোতায়েনের জন্য অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে। যদিও এখনো আনুষ্ঠানিক সম্মতি মিলেনি বলে জানিয়েছেন তিনি।
পলিটিকো উল্লেখ করেছে, এসব বাহিনীর মূল কাজ হবে জাতিসংঘের অধীনে গাজায় সংঘাত রোধ, ত্রাণবাহনের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিতকরণ এবং পর্যবেক্ষণ। যদিও ট্রাম্পের প্রস্তাবনায় সরাসরি জাতিসংঘের কোনো কথা উল্লেখ নেই।
ইন্দোনেশিয়া এ পর্যন্ত একমাত্র দেশ হিসেবে প্রকাশ্যে গাজায় সৈন্য প্রেরণের প্রস্তাব জানিয়েছে; তারা বলেছেন, জাতিসংঘের অনুমোদনে শান্তিরক্ষী মিশনের আওতায় তারা প্রয়োজন হলে ২০ হাজার সেনা পাঠাতে প্রস্তুত।
মূলত হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের জন্যই ভবিষ্যৎ ধাপ হিসাবে গাজায় আন্তর্জাতিক সেনা পাঠানোর কথা শান্তি প্রস্তাবে উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প। এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেছিলেন, হামাসকে নিরস্ত্র করা হবে—ইচ্ছাকৃত বা বাধ্য করে হলেও।