
টাঙ্গাইলের সখীপুরে মাদ্রাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে ফুঁসলিয়ে একটি বনের ভেতর নিয়ে শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক শ্রমিক দল নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই শ্রমিক দল নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।
অভিযুক্ত ওই শ্রমিক নেতার নাম ফজলুল হক (৪০)। তিনি উপজেলার প্রতিমা বংকী তালুকদারপাড়া (পশ্চিমপাড়া) এলাকার আমজাদ আলীর ছেলে এবং দাড়িয়াপুর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ভুক্তভোগী শিশু শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে একমাত্র ফজলুল হককে আসামি করে সখীপুর থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ ওই ছাত্রীর মেডিকেল পরীক্ষা ও জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য টাঙ্গাইল পাঠিয়েছে।
মামলার বিবরণ ও ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত শ্রমিক নেতা ফজলুল হক সম্পর্কে ওই ছাত্রীর চাচাতো মামা। মঙ্গলবার ভোরে ফজলুল হক ওই ছাত্রীকে মাদ্রাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে যান। পথিমধ্যে ফুঁসলিয়ে একটি বনের ভেতর নিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। পরে ওই ছাত্রী মাদ্রাসায় গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ পরিবারকে ডেকে আনলে ওই ছাত্রী সবার সামনে ঘটনার বর্ণনা দেয়।
মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক (মুহতামিম) বলেন, আমাদের সামনেই ওই শিশু শিক্ষার্থী নিজের মুখে শারীরিক নির্যাতনের কথা স্বীকার করেছে। সত্য-মিথ্যা যা-ই হোক, এরচেয়ে বেশি কিছু আমরা জানি না। এদিকে ছাত্রীর নানা মাওলানা জোবায়ের কথার সত্যতা স্বীকার করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কাশেম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই ছাত্রী ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। তার মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আমরা ওই ছাত্রীকে মেডিকেল পরীক্ষা ও ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য টাঙ্গাইল আদালতে নিয়ে যাচ্ছি। আসামি পলাতক রয়েছেন, তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।
এদিকে সকাল থেকে এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মো. মতিন ও সদস্য সচিব বাবুল মিয়া এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ, দলের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে ফজলুল হককে দলীয় প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পৰ্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।