Image description

তার ক্ষমতার দাপটে অতিষ্ঠ পুরো জেলার উপকারভোগীরা। তিনি মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন। যার দাপটে তটস্থ নিজ কর্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, ইউএনও, শিক্ষকসহ বিভিন্ন দফতরের প্রধানগণ।

তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, চাকুরি চলে যাওয়ার হুমকি, দুর্ব্যবহার, ধর্ম নিয়ে বিভাজন, দুর্নীতি, সরকারি বাসায় গরু-ছাগল পালনে কর্মচারীদের বাধ্য করা ও বৈষম্যবিরোধী মামলার আসামি জামিন নিয়ে অসংখ্য গুরুতরও অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রজীবনে দাপুটে ছাত্রলীগ নেতা ইসরাইল হোসেন ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হতে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক পদায়িত হন।

দায়িত্ব পেয়ে জেলার সকল সরকারি, বেসরকারি, এনজিও ও স্বায়ত্তশাসিত দফতরগুলো তার নিয়ন্ত্রণে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। শুরু করেন প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর অযাচিত খবরদারী। তার এমন আচরণে অচলতা দেখা দেয় প্রশাসনিক দাফতরিক কাজে।

জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে কর্মকর্তা কর্মচারীদের অভিযোগ :
জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন-এর নিয়ন্ত্রণাধীন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সিনিয়র সচিব বরাবরে ২৪ ফেব্রুয়ারি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে উল্লেখ করেন, জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দকে কথায় কথায় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ জরুরি কাজ ছাড়াও রাত ১২টা, ৩টা, ৪টা পর্যন্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে কাজ করতে বাধ্য করেন।
এছাড়া ২৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মাসিক স্টাফ মিটিংয়ে তিনি কালেক্টরেট কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের অথর্ব বলে গালিগালাজ করেন ও ধমকান। কর্মকর্তাগণ তাদের এসিআর-এর কারণে জেলা প্রশাসককে কিছু বলতে পারেন না বলে জানান।

অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, তার বাংলো কার্যালয়ের অফিস সহায়কদের দিয়ে অফিসের কাজ না করিয়ে তার ক্রয়কৃত দুটি গরু ও তিনটি ছাগলের ঘাসকাটা, খাবার দেওয়া মলমূত্র পরিষ্কার করানোর কাজ করতে বাধ্য করেন। উক্ত কাজ করতে অনীহা প্রকাশ করায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দুজন অফিস সহায়ককে জেলার দূরবর্তী উপজেলা বড়লেখা ও জুড়ীতে বদলি করেন।

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো অভিযোগ আমলে নিয়ে সিনিয়র সহকারী সচিব মঈন উদ্দিন ইকবাল স্বাক্ষরিত ২১ মে তারিখে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দেন। সে অনুয়ায়ী তদন্ত শুরু হলে জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন বড় অংকের উৎকোচ দিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে আনেন। তিনি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তার স্ত্রী ও ভাতিজাকে মৌলভীবাজারে চাকরি দেন।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে তার অনিয়ম দুর্নীতি :
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে থাকাকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ মেয়রদের ছায়াতলে বছরের পর বছর পার করেন এক সময়ের তুখোড় ছাত্রলীগ নেতা মো. ইসরাইল হোসেন। তার বিরুদ্ধে আগে থেকেই রয়েছে একাধিক দুর্নীতি, অবৈধ নিয়োগ, পক্ষপাতদুষ্ট প্রশাসনিক আচরণ এবং জনসেবা ব্যর্থতার অভিযোগ।

অবৈধভাবে চুক্তিভিত্তিক লোক নিয়োগ দিয়েছেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে। চাকরির নিয়ম না মেনে নিজের পছন্দের লোক বসান, যাদের অনেকেই ছিলেন রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ।
সাবেক আওয়ামী লীগ মেয়রদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নেওয়ার রয়েছে একাধিক অভিযোগ। মেয়র সেরনিয়াবাত খোকন ও সাদিক আবদুল্লাহর কাছ থেকে গাড়ি ও ফ্ল্যাট কেনার জন্য ব্যক্তিগত সুবিধা নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বরিশাল সিটি কর্পোরেশন থেকে আলোচিত ইসরাইল হোসেনের মৌলভীবাজারে বদলিতে বরিশাল নগর ভবনের বেশিরভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারী তখন স্বস্তি প্রকাশ করেন।

জেলা প্রশাসাক কার্যালয়ে সেমিনার ও কর্মশালা করতে উপকারভোগীদের অনীহা :
জেলা প্রশাসাক কার্যালয়ে কোনো সেমিনার, ওয়ার্কশপ হলে অংশগ্রহণকারীর অর্ধেক সম্মানির টাকা দিতে হয় জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় তার নিজের লোকদের। এতে বাজেট ব্যয় বৃদ্ধির কারণে অনেক বেসরকারি ও এনজিও প্রতিষ্ঠান জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠান করতে অনীহা প্রকাশ করছেন।

ডিসি হিসেবে যোগদানের পর থেকেই ক্ষমতার দাপট শুরু :
মৌলভীবাজারে যোগদানের পর একটি ইসলামী দলের সাথে সখ্য গড়ে ওঠে জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেনের। ওই দলের ইন্ধনে গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে নানা বিভাজন সৃষ্টিতে কাজ করছেন। জুন মাসে ২য় সপ্তাহে তার কার্যালয়ে প্রায় দেড়শত সাংবাদিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। ওই সভায় অনেকেই ছিলেন ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের দোসর এবং কয়েক জন বৈষম্যবিরোধী মামলার আসামী। সভায় উপস্থিতদের মধ্যে হট্টগোল হলে সভার কাজ দ্রুত শেষ করে দেয়া হয়। এর কয়েকদিন পরে জেলার সিনিয়র সাংবাদিকদের নিয়ে তার কার্যালয়ে বসেন প্রেসক্লাবের কমিটি করার জন্য। সভা শেষে জেলা প্রশাসক ইসরাইল হোসেন বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের একজনকে দায়িত্বশীল পদে রেখে কমিটি করার জন্য প্রস্তাব রাখেন। জেলা প্রশাসকের কথামতো কাজ না হলে ১৪৪ ধারা জারি করতে পাববেন বলে হুমকি দেন।

ভূকশিমইল মাদরাসা পরিচালনা কমিটি গঠনে হস্তক্ষেপ :
কুলাউড়া উপজেলার বাদে ভূকশিমইল মোহাম্মদিয়া দাখিল মাদরাসা পরিচালনা কমিটি নিয়ে রিরোধ দেখা দিলে একটি রাজনৈতিক দলের ফরমাইশ গ্রহণকরে জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ২০২৫ সালের ২৩ মে এক মাদরাসা শিক্ষককে তার কার্যালয়ে ডেকে এনে কাস্টরি করেন। এসময় সাথে থাকা অন্যান্য মাদরাসার শিক্ষকদের মাদরাসা পরিচালনা কমিটিতে সভাপতি পদে ওই এলাকার বিতর্কিত এক ব্যক্তিকে রাখার নির্দেশ দেন। ওই ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখতে এলাকাবাসীর অনীহাকে আগ্রহ্য করেন তিনি।

মাজার, মিলাদ ও কিয়াম নিয়ে বিরূপ মন্তব্য :
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত জেলা আইনশৃংঙ্খলা কমিটির সভায় ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম সফরসঙ্গী হযরত সৈয়দ শাহ্ মোস্তফা (রহ.)-এর ৬৮৪তম ওফাত দিবস ও মাজার প্রাঙ্গনে ওরস পালন নিয়ে আলোচনা হয়। ওই সভায় ওরস ও মাজার শরিফ নিয়ে জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন নেতিবাচক বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ওই মাজার ওয়াকফ স্টেটের অধীনে এখানে জেলা প্রশাসক সভাপতি থাকবে, আর ওখানে কেন ওরস হবে। সভায় উপস্থিত ধর্মপ্রাণ মুসলিম ও ওলির ভক্তরা প্রতিবাদ করেন।

উপমহাদেশের বিখ্যাত সুফি দরবেশ হযরত শাহ্জালাল (রহ.) ইসলাম প্রচারের লক্ষ্যে সিলেটে আসেন। বিখ্যাত দরবেশের অন্যতম সফরসঙ্গী মৌলভীবাজার শহরে অবস্থিত সৈয়দ শাহ্ মোস্তফা (রহ.) মাজার শরিফ রয়েছে। পাশেই মাজার মসজিদ। ৫ আগস্ট সারা দেশের ন্যায় মাজার মসজিদে ইসলামী গজল ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান শুরুর আগে জেলা প্রশাসক ইসরাইল হোসেন মাজার মসজিদের খতিবকে ডেকে নির্দেশ দেন দাঁড়িয়ে কিয়াম করা যাবে না। মাজার ও মসজিদের সাথে জড়িত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান, যুগযুগ ধরে মিলাদ মাহফিল হলে কিয়াম হয়। আর কিয়াম হলো মিলাদের সময় মহানবী (সা.) এর সম্মানে দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করা। পূর্ণাঙ্গ মিলাদ করতে না পারায় উপস্থিত মুসল্লিদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এ ধরনের ঘটনা জেলা (কোর্ট) জামে মসজিদেও একাধিক বার ঘটেছে।

বৈষম্যবিরোধী মামলার আসামীর জামিন নিয়ে বাণিজ্য :
বৈষম্যবিরোধী মামলার আসামির জামিন নিয়ে গোপন আঁতাতে বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে জেলা প্রসাসক মো. ইসরাইল হোসেনের বিরুদ্ধে। মৌলভীবাজার শহরের শীর্ষ সন্ত্রাসী যুবলীগ নেতা আনিসুল হক চৌধুরী তুষার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ৪ আগস্ট সরাসরি আন্দোলন দমাতে গুলি করে। ওই মামলার আসামি তুষারের জামিন এবং জেল গেইটে মুক্তি পাওয়ার বিষয়ে জেলা শহরে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। কুলাউড়ার আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার প্রটোকল অফিসারের ভাই কামরুল ইসলাম, চেয়ারম্যান আজাদ আহমদ, চেয়ারম্যান মাহবুব আহমদ, বড়লেখায় বন ও পরিবেশ মন্ত্রী সাহাব উদ্দিনের ভাগ্নে সালেহ আহমদ জুয়েল, মৌলভীবাজার-৩ আসনের সাবেক এমপির ভাই জিয়াউল হক, কনকপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রুবেল আহমদসহ আরো অনেকেই। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এদের সবার জামিন কনট্রাক মাধ্যমে হয়। ওই কনট্রাক্টের নেপথ্যে থাকে একটি গোয়েন্দা সংস্থা। এদের অনেকেই কনট্রাক্টে মৌলভীবাজার জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান। আবার অনেককেই প্রক্সি মামলায় ঢুকিয়ে মৌলভীবাজার কারাগার থেকে সিলেট কারাগারে প্রেরণ করে সেখান থেকে জামিনে বের হওয়ার তথ্য মিলেছে। জেল গেইট কনট্রাক্ট ৫ লাখ থেকে ১২ লাখ পর্যন্ত। ওই কনট্রাক্ট-এর টাকার বড় একটি ভাগ পান জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন।
মৌলভীবাজার জেলা কারাগার সূত্রে জানা যায় ৫ আগস্ট পরবর্তী মামলার যে সকল আসামির জামিন মঞ্জুরের কাগজ কারাগারে আসে তাদের তথ্য ৫টি পৃথক হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে জানানো হয়।

শ্রীমঙ্গল আনওয়ারুল উলুম মাদরাসার গভর্নিং বডির সভাপতি নিয়োগে হস্তক্ষেপ :
শ্রীমঙ্গল আনওয়ারুল উলুম ফাজিল মাদরাসার গভর্নিং বডির সভাপতি মনোনয়ন নিয়ে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদ্রসার ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল আব্দুল লতিফ সুপারিশ করে পাঠান। ১৫ সেপ্টেম্বর ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাদরাসার গভর্নিং বডির সভাপতি ও বিদ্যোৎসাহী প্রতিনিধি অনুমোদন দেয়া হয় মো. সামসুদ্দোহা খানকে। এর আগে পদাধিকার বলে সভাপতি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি)। তবে মাদরাসার কয়েকজন শিক্ষক জেলা প্রশাসকের পরামর্শে ২৩ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসক ও ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সভাপতি রাখার জন্য আবেদন করতে বাধ্য হন।

মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল আব্দুল লতিফ এর সাথে এ প্রতিবেদকের কথা হলে তিনি জানান, তার ২ মাস রয়েছে পেনশনে যাওয়ার। তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলতে আগ্রহ প্রকাশ করেননি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদরাসার শিক্ষকরা জানান, গভর্নিং বডির সভাপতি অনুমোদনের পর মাদ্রসার ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল আব্দুল লতিফকে জেলা প্রশাসক তার কার্যলয়ে ডেকে নিয়ে তুচ্চতাচ্ছিল্য করে নানা হুমকি ধমকি দেন।
এদিকে ছাত্ররা মাদরাসার স্ষ্ঠুু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা ও ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক দীর্ঘ কয়েক বছর পর গভর্নিং বডির সভাপতি স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিকে মনোনীত করায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানান। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, একটি কুচক্রী মহল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই সিদ্ধান্তকে বাতিলের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনো প্রদক্ষেপ নেয়া হলে শিক্ষার্থীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন, যথাযথভাবে দাফতরিক কাজ বন্ধ রাখা ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালনর হুমকি দেন। এ বিষয়ে তারা ২৪ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ জমা দেন।
জেলা প্রশাসকের ক্ষমতার দাপটে অতিষ্ট মৌলভীবাজারের জনগণের একটাই দাবি, অনতিবিলম্বে তাকে এ জেলা থেকে প্রত্যাহার করা হয়।