Image description

চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে এসেছিল ২৪০ কোটি ৪১ লাখ ডলার। ফলে গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় এ বছরের সেপ্টেম্বরে প্রবাসী আয় ১০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। চলতি বছরের আগস্টের তুলনায়ও সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স বেড়েছে। গত আগস্টে প্রবাসী আয় আসে ২৪২ কোটি ১৮ লাখ ডলার। সেই অনুযায়ী এক মাসের ব্যবধানে রেমিট্যান্স আয় বেড়েছে ১০ দশমিক ৯০ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

ব্যাংক খাত সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এখনও রেমিট্যান্স আয়ের ধারাবাহিকতা রয়েছে। এ ধারাবাহিকতা থাকলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরো বাড়বে। পাশাপাশি মুদ্রাবাজারে ডলারের ওপর চাপ আরও কমে আসবে। অবৈধ পথে অর্থ পাঠানোর বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ এবং বৈধ পথে প্রবাসী আয় পাঠানোকে উৎসাহিত করতে সরকারের দেওয়া নানা প্রণোদনা প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, গত কয়েক মাসে বিদেশি সব বকেয়া দেনা পরিশোধ হয়ে গেছে। লেনদেনের ভারসাম্যে উন্নতি হওয়ায় ডলারের ওপর চাপ কমে গেছে। আবার বাংলাদেশের প্রতি বিদেশি ব্যাংকগুলোর আস্থাও ফিরতে শুরু করেছে, যা বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করছে।

গত মাসে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ৬৯ কোটি ৮৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে। তারপরে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ২৫ কোটি ৮২ লাখ ডলার, জনতা ব্যাংক ১৭ কোটি ডলার এবং ব্র্যাক ব্যাংক ১৬ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে।

গত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে প্রবাসী আয়ে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত আছে। তাতে গত মার্চে প্রবাসী আয়ে রেকর্ড হয়। ওই মাসে ৩২৯ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল, যা এখন পর্যন্ত এক কোনো এক মাসে দেশে আসা সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়। এরপর প্রবাসী আয় এক মাসে আর ৩০০ কোটি ডলার ছাড়ায়নি। প্রবাসী আয় বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, অর্থপাচার কমে আসায় অবৈধ হুন্ডি ব্যবসা কমে গেছে। এ ছাড়া ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলারের বিনিময় হার স্থিতিশীল রয়েছে। এ জন্য বৈধ পথে আয় আসা বেড়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৩০ বিলিয়ন ডলারের বেশি প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় যা ছিল প্রায় সাড়ে ৬ বিলিয়ন বা ২৭ শতাংশ বেশি।