
বাংলাদেশ এক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানির ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রেখেছে। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রতিযোগী দেশের পোশাকের রপ্তানির পরিমাণ কমলেও বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে। মার্কিন সরকারের টেক্সটাইল ও পোশাক অফিস (ওটেক্সা) এর তথ্য অনুসারে গত এক দশকে বিভিন্ন দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মোট পোশাক আমদানির পরিমাণ কমেছে ৫ দশমিক ৩০ শতাংশ। একই সময়ে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি বেড়েছে ২৬ দশমিক ৬২ শতাংশ।
এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাকের প্রতি ইউনিটের দাম কমেছে ১ দশমিক ৭১ শতাংশ। আর এ সময়ে বাংলাদেশের পোশাকের প্রতি ইউনিটের দাম বেড়েছে ৭ দশমিক ৩০ শতাংশ।
মার্কিন সরকারের টেক্সটাইল ও পোশাক অফিস (ওটেক্সা) জানায়, ২০১৫ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সারাবিশ্ব থেকে পোশাক আমদানির পরিমাণ ৫ দশমিক ৩০ শতাংশ কমেছে। এ সময়ে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানির পরিমাণ বেড়েছে ২৬ দশমিক ৬২ শতাংশ। একই সময়ে বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশ চীনের কমেছে ১৮.৩৬ শতাংশ। ইন্দোনেশিয়ায় কমেছে ১৯.৮২ শতাংশ। দক্ষিণ কোরিয়ার কমেছে ৪৫ দশমিক ০৩ শতাংশ। এ ছাড়া ভিয়েতনাম ৩২.৯৬% ও ভারতে ৩৪.১৩% বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া ইউনিটের দামের ক্ষেত্রে, সারাবিশ্ব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি কমেছে ১ দশমিক ৭১ শতাংশ। সেখানে বাংলাদেশে ৭ দশমিক ৩০ শতাংশ বেড়েছে। আর চীনের কমেছে ৩৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। ভারতের ৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ কমেছে। যেখানে ভিয়েতনাম ৬.৬৪% ও ইন্দোনেশিয়ায় ৭.৩৮% বৃদ্ধি পেয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, ২০২৪ সালে চীন ও ভিয়েতনামের রপ্তানি মূল্য প্রায় সমান ছিল। অথচ ভিয়েতনামের রপ্তানি পরিমাণ চীনের অর্ধেকেরও কম। কারণ ভিয়েতনাম উচ্চ মূল্যের পণ্য রপ্তানি করে।
বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সারাবিশ্ব থেকে যে পরিমাণ পোশাক আমদানি করে সে হিসাবে আমাদের রপ্তানি ঠিক আছে। তবে ইউনিটের দামের তুলনায় আমাদের প্রতিযোগী ভিয়েতনাম এবং ভারত ভালো করছে। তার মানে তারা আমাদের থেকে বেশি দামের পোশাক রপ্তানিতে এগিয়ে আছে। আমরা যদি দামি পোশাক রপ্তানি বেশি করতে পারি তাহলে এ পরিমাণ রপ্তানি করেও আরও অনেক ভ্যালু বাড়তে পারে। সে দিকে আমাদের মনোনিবেশ করতে হবে। কম দামি পণ্য থেকে বেশি দামি পণ্যের দিকে আমাদের মনোযোগ বাড়াতে হবে।