Image description

সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, ৭১ ছিল বলে স্বাধীন দেশ হয়েছে, আমরা ২৪ পেয়েছি। ১৫ বছরের দুঃশাসন এক-দুই বছরে শেষ করা যাবে না। আগামী দিনগুলো চ্যালেঞ্জিং, সামনে নির্বাচন, নির্বাচন যদি চান শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করুন, রাজনৈতিক দলগুলো মিলে একটা সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারেন, রাজনৈতিক ও সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে দেশকে গঠন করতে হবে।

 

 

বুধবার নিজ গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার নাসিরাবাদ গ্রামে নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

 

শারমীন এস মুরশিদ বলেন, পারিবারিক নারী সহিংসতা দুর করতে হবে, সাইবার বোলিং রোধে সাইবার ইউনিট খোলা হয়েছে,নারী ও শিশুদের জন্য বাসযোগ্য নবীনগর গড়তে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।

 

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মব জাস্টিসটা কিভাবে তৈরি হয় জানেন তো মোবাইলটার কারণে, এই সাইবার ক্রাইমকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সরকারের সফলতা বিফলতা নয় এটা নতুন একটা সমস্যা, এটাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে তরুণ সমাজকে আইটি সেক্টরে পারদর্শী হতে হবে।

 

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে তিনি বলেন, প্রশাসনের একার পক্ষে সম্ভব নয়, জনসাধারণকে বালুখেকোদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মেঘনা নদীর ভাঙনে অনেক পরিবার ঘর-বাড়ি, ফসলি জমি ও জীবিকার সহায় সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। নদী ভাঙ্গনে অন্যতম কারণ নাসিরাবাদ বালু মহালে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর তীরবর্তী চরলাপাং, মানিকনগর, সাহেবনগরসহ একাধিক গ্রাম শতাধিক খননযন্ত্রের গর্জনে দিনরাত কাঁপছে। ফসলি জমি, মসজিদ, মাদ্রাসা ও শত শত ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। তিনি এসব প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে নির্দেশ প্রদান করেন।

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপদেষ্টার একান্ত সচিব তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া, বাংলাদেশ হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি (পূর্ব বিভাগ) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান খান, জেলা প্রশাসক দিদারুল আলম, জেলা পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক, এনডিসি আবু মোছা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুর রহমান, ইউএনও রাজিব চৌধুরী, সহকারী পুলিশ সুপার নবীনগর সার্কেল পিয়াস বসাক, সহকারী কমিশনার (ভূমি) খালেদ বিন মনসুর, অফিসার ইনর্চাজ শাহিনুর রহমান, প্রেস ক্লাব সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন শান্তি।

 

শারমীন এস মুরশিদের দাদা আলী আহাম্মদ খান ১৯৪৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী মুসলিম লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন এবং ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে আওয়ামী মুসলিম লীগের হয়ে নবীনগর ও বাঞ্ছারামপুর আসন থেকে এমএলএ নির্বাচিত হন।

 

শারমীন এস মুরশিদের মা নূরজাহান মুরশিদ শেখ মুজিবুর রহমান সরকারের সমাজকল্যাণমন্ত্রী ছিলেন। পরে আদর্শিক কারণে ১৯৭৪ সালে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। তাজউদ্দীনসহ জাতীয় চার নেতা হত্যার পর তিনি রাজনীতি থেকে সরে আসেন।

 

শারমীন এস মুরশিদের পিতা শিক্ষাবিদ ডক্টর সারোয়ার মোর্শেদ খান ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক।