Image description

মৌসুম শুরুর আগেই সক্রিয় হয়েছে সুন্দরবনের জলদস্যুরা। মুক্তিপণের দাবিতে গত সোম ও মঙ্গলবার সুন্দরবনসংলগ্ন বিভিন্ন নদী থেকে চার জেলেকে অপহরণ করেছে তারা।

অপহৃত জেলেরা হলেন– মীরগাং গ্রামের সাকাত সরদারের ছেলে মো. ইবরাহিম, পারশেখালী গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে আব্দুল হামিদ, টেংরাখালী গ্রামের সুজন মুন্ডার ছেলে সুজিত ও কালিন্চি গ্রামের কেনা গাজীর ছেলে রকিবুল ইসলাম।

 
 

অপহরণের শিকার জেলেদের সহকর্মী আবুল হোসেন ও আব্দুল আজিজের ভাষ্য, আগামী সোমবার থেকে তারা সুন্দরবনের গভীরে মাছ ধরতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এর প্রস্তুতি হিসেবে সুন্দরবনের দাঁড়গাং নদীসংলগ্ন খালে নৌকা ও জাল মেরামতের কাজ করছিলেন তারা। গত সোম ও মঙ্গলবার একদল জলদস্যু দুই দফা সেখানে হানা দেয়। তারা চারটি নৌকা থেকে চার জেলেকে অপহরণ করে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ লালটু বলেন, জলদস্যুরা নিজেদের কাজল বাহিনীর সদস্য বলে পরিচয় দিয়েছে। তারা জেলেদের মুক্তিপণ বাবদ মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা দাবি করেছে। তিনি দাবি করেন, স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি তিন-চার দিন আগে জলদস্যুদের রান্না করে খাওয়ার জন্য বিপুল পরিমাণ পণ্য বাজার-সদায় করে সুন্দরবনে পাঠিয়েছে।

পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. ফজলুল হক জানান, এখন সুন্দরবনে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বৈধভাবে কেউ বনে যেতে পারছে না। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে জেলেরা মাছ ধরার জন্য সুন্দরবন যাবে। সুন্দরবনের পার্শ্ববর্তী খাল থেকে কয়েক জেলেকে অপহরণ করা হয়েছে বলে লোকমুখে শুনেছেন তিনি। তবে নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকায় ভুক্তভোগী জেলে পরিবারের সদস্যরা তাদের কিছু জানাননি।

শ্যামনগর থানার ওসি মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির মোল্লা জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের উদ্দেশে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছে। জলদস্যুদের কেউ সহায়তা করে থাকলে প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।