
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় ধর্ষণচেষ্টাকালে সজল হোসেন নামের নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতার গোপনাঙ্গ কেটে দেন এক গৃহবধূ। পরে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই নেতা।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) মধ্যরাতে উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের হরিহরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত সজল হোসেন একই গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চাচাতো ভাতিজার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া চলছিল দুই সন্তানের জননীর। সম্পর্ক জানাজানি হওয়ায় স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদও ঘটে ওই গৃহবধূর। পরে বিষয়টি নিয়ে গ্রাম্য সালিশ থেকে শুরু হয়ে থানা পুলিশে গড়ায় ঘটনাটি।
ওই গৃহবধূ বলেন, ‘বিচ্ছেদের পরে সজলের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক ছিল না। মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ আমার ঘরে ঢুকে আমাকে জোর করে ধর্ষণ করার চেষ্টা করছিল। আমি নিজেকে বাঁচাতে বটি দিয়ে কোপ দিয়েছি।
এ বিষয়ে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান বলেন, ‘ঘটনাটি লোকমুখে শুনেছি। তবে এ নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’