Image description

আচরণবিধি লঙ্ঘন করে শিক্ষার্থীদের খাওয়ানোর অভিযোগ উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক পদপ্রার্থী স্বাধীন আহমেদের বিরুদ্ধে।

বুধবার (২৭ আগস্ট) রাত সাড়ে আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের দোকানে ১৩২ শিক্ষার্থীকে রাতের খাবার খাওয়ানো হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের হল পাড়ার অর্থাৎ কবি জসীমউদ্‌দীন হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, শেখ মুজিবুর রহমান হল, বিজয় একাত্তর হলসহ বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা এক সঙ্গে খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। যাদের খাওয়ানো হয়েছে তাদের বেশিরভাগই প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। পাশাপাশি ফলের জুসও খাইয়েছেন অনেককে।

খোঁজ নিয়ে স্বাধীনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়। সজীব নামের এক শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি বলেন, ‘স্বাধীন ভাই খাওয়াচ্ছে’।

হলের দোকানে গিয়ে খাবারের দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৭০ শিক্ষার্থী মুরগি ও ডিম খিচুড়ি এবং ৬২ শিক্ষার্থী ডিম ও মুরগি পোলাও খেয়েছেন।

দোকানদার রাসেল রাত নয়টার দিকে কালবেলাকে বলেন, ‘এ পর্যন্ত ৬৭ জন খেয়েছে। আরও তিনজন খাবে।’

আরেক দোকানদার আব্দুল কাদের বলেন, ‘৬২ জন খাবার নিয়েছে।’ সবাই একজনের নামেই খাবার নিয়েছে কিনা জানতে চাইলে উভয় দোকানদার বলেন, ‘হ্যাঁ’।

ডাকসুর নির্বাচন আচরণ বিধিমালার ৯(খ)-তে বলা হয়েছে, নির্বাচনী প্রচার চলাকালে ও নির্বাচনের দিন ভোটারদের কোনোরূপ পানীয় বা খাদ্য পরিবেশন করা যাবে না। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত প্রচারণা চালানো যাবে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্বাধীন আহমেদ। তিনি কালবেলাকে বলেন, এগুলো ভিত্তিহীন কথা। আমার পরিচিতি দেখে অনেকেই ঈর্ষান্বিত হয়ে এ ধরনের মিথ্যা তথ্য ছাড়াচ্ছে। শিক্ষার্থী সংসদ গ্রুপেও আমাকে নিয়ে নানাভাবে মানহানি করা হয়। আমি সন্ধ্যায় ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী যারা আমার ছাত্র তাদের সঙ্গে দেখা করে বাসায় চলে আসছি। কোনো ধরনের খাওয়া দাওয়ার সঙ্গে আমি জড়িত নই।

এ বিষয়ে চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, ‘এটা স্পষ্ট আচরণবিধি লঙ্ঘন। কাউকে খাওয়ানো যাবে না এটা স্পষ্টভাবে বলা আছে। এরপরও করলে আমরা ছাড় দিব না।’