
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগাম হাওয়া বইতে শুরু করেছে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে। কোন দলে কে প্রার্থী হচ্ছেন, কার পক্ষে প্রচারণা ভালো চলছে—এসব নিয়ে স্থানীয় ভোটারসহ অন্যান্য মানুষজনের মধ্যে চলছে তুমুল আলোচনা। আলোচনা চলছে ঘরে-বাইরে। চায়ের আড্ডায় একত্র হলেই আলোচনা পাচ্ছে নতুন মাত্রা।
জানা গেছে, এই পার্বত্য জেলায় ৯ উপজেলা ও তিন পৌরসভা নিয়ে গঠিত হয়েছে একমাত্র সংসদীয় আসনটি। এখানে ভোটার পাঁচ লাখ ৪২ হাজার ৫৯৪ জন। এই আসনে বড় দল বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশীর তালিকায় আছেন দুইবারের সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক ওয়াদুদ ভূইয়া, ওয়াদুদ ভূইয়ার ভাতিজা শহীদুল ইসলাম ভূইয়া (ফরহাদ)।
এই আসনে প্রসিত খীসাপন্থী পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি আঞ্চলিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সমর্থনে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। এই আসনে ইউপিডিএফের সঙ্গে আরেক আঞ্চলিক দল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এম এন লারমা) অংশের নির্বাচনী সমঝোতার কথাও শোনা যাচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কেউ তা এখনো নিশ্চিত করেননি। দলগুলোর পক্ষ থেকে কারা প্রার্থী হতে পারেন, তা-ও এখনো প্রকাশ্যে জানানো হয়নি।
ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, ‘নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ থাকলে নির্বাচনমুখী দল হিসেবে ইউপিডিএফ অবশ্যই অংশ নেবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এখানে দলের জেলা কমিটির অন্যতম নীতি-নির্ধারক অ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলী চৌধুরীকে দলের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। খাগড়াছড়িতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাওলানা কাউছার আজিজী। এই পার্বত্য আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে ভোটের মাঠে লড়তে প্রস্তুতি নিচ্ছেন দলের দক্ষিণাঞ্চল সংগঠক অ্যাডভোকেট মনজিলা ঝুমা।
ভোটের মাঠে প্রার্থী হিসেবে দেখা যেতে পারে জাতীয় পার্টির মিথিলা রোয়াজাকে।
প্রার্থী হিসেবে দেখা দিতে পারেন ডা. শহীদ তালুকদার, বাসন্তী চাকমা, খাগড়াছড়ি পৌরসভার সাবেক মেয়র রফিকুল আলম ও পাহাড়ি নেতা শুভমঙ্গল চাকমা (সুদর্শী)। তাঁরা হতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থী।