
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) গণিত ডিসিপ্লিনের ‘ম্যাথমেটিকস অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন’র উদ্যোগে শহীদ মীর মুগ্ধ বৃত্তি চালু করা হয়েছে। প্রথমবার এ বৃত্তি পেয়েছেন গণিত ডিসিপ্লিনের চার শিক্ষার্থী।
বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- চতুর্থ বর্ষের দ্বিতীয় টার্মের মো. আনিচুর রহমান পলাশ, তৃতীয় বর্ষের দ্বিতীয় টার্মের নূর আলম, তৃতীয় বর্ষের প্রথম টার্মের মো. আব্দুল আলীম ও প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় টার্মের আহসান হাবীব।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউআরপি লেকচার থিয়েটারে এক অনুষ্ঠানে এই বৃত্তি প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম।
এ সময় তিনি বলেন, ‘শহীদ মীর মুগ্ধ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে আজ বিশ্বব্যাপী এক অনন্য নাম। তিনি ছিলেন এক বিশাল ব্যক্তিত্বের অধিকারী। তার মননে ও চিন্তায় সদা জাগরূক ছিল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়। জুলাই অভ্যুত্থানে আত্মত্যাগের মাধ্যমে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। তার স্মৃতিকে অম্লান রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের নামকরণ, ১৮ জুলাইকে ‘শহীদ মীর মুগ্ধ দিবস’ হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি, স্মৃতি কর্নার ও পানি কর্নার স্থাপনসহ একাধিক উদ্যোগ ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। ভবিষ্যতে স্মৃতিফলক নির্মাণসহ আরও কিছু পরিকল্পনা রয়েছে।’
উপাচার্য আরও বলেন, ‘ম্যাথমেটিকস অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন যে মহান উদ্যোগে আজ এই বৃত্তি চালু করেছে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আমি আশা করি, এই বৃত্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যেমন অনুপ্রাণিত হবে, তেমনি সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মুগ্ধ-এর স্মৃতি আরও গভীরে প্রোথিত হবে। আমি এই মহতী উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হারুনর রশীদ খান। তিনি বলেন, ‘শহীদ মীর মুগ্ধর মতো তরুণরা জীবনের বিনিময়ে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার করেছে। তারা দেশের জন্য গর্ব। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি মুগ্ধর মমত্ববোধ ছিল গভীর, যা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তার আত্মিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। আজকের এই বৃত্তি তার প্রতি সম্মান ও ভালোবাসার প্রতিফলন এবং স্মৃতিকে অম্লান রাখার প্রয়াস।’
গণিত ডিসিপ্লিন প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আজমল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. নূরুন্নবী, ছাত্রবিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. নাজমুস সাদাত, শহিদ মীর মুগ্ধর বড়ভাই মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মীর মাহমুদুর রহমান দীপ্ত, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুন্সী আনিস।