Image description
২০০ শিশুর নমুনা পরীক্ষার ফলে ১৩ শতাংশ পজিটিভ

করোনা মহামারির পর বাংলাদেশ-চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন আতঙ্ক হিসেবে দেখা গেছে ভাইরাসজনিত রোগ হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি)। ভাইরাসটি শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে ছড়ায় বেশি। সম্প্রতি বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) গত নভেম্বর থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত এ ভাইরাস সংক্রান্ত একটি গবেষণা করে। পরবর্তী সময়ে প্রকাশিত ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানী ঢাকায় ৫ বছরের কম বয়সী ২০০ শিশুর কাছ থেকে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষা করে ২৬ জনের বা ১৩ শতাংশের এইচএমপিভি ভাইরাস পজিটিভ পাওয়া গেছে, যা রীতিমতো উদ্বেগজনক ও আতঙ্কের। আক্রান্তদের জ্বর, কাশিসহ শ্বাসতন্ত্র সংক্রমিত হয়, যা তীব্র হয়ে থাকে। করোনার মতো হাতের স্পর্শ বা ছোঁয়া থেকে এবং ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির স্পর্শ করা দূষিত বস্তু থেকে এ ভাইরাস ছড়াতে পারে। এইচএমপিভি ভাইরাসে আক্রান্তদের প্রাণহানির তথ্য থাকলেও কোনো ধরনের টিকা বা অ্যান্টিভাইরাস আবিষ্কার হয়নি। সাধারণ জ্বর-সর্দির ওষুধ দিয়েই এ ভাইরাসের চিকিৎসা হচ্ছে। তাই রোগটি প্রতিকারের পাশাপাশি প্রতিরোধের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, মাস্ক পরা, দূরত্ব বজায় রাখা বা করোনা প্রতিরোধে যেসব সতর্কতামূলক পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো অনুসরণ করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণার বরাত দিয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছুদিন আগে চীনের উহানে রোগটি ব্যাপক হারে ছড়াতে শুরু করে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা শিশুদের নিম্ন শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণের দ্বিতীয় প্রধান কারণ হিসেবে রোগটিকে শনাক্ত করেছে এবং সংক্রামক রোগটিকে পর্যবেক্ষণে রেখেছে।

আইইডিসিআরের গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রথম ২০০১ সালে এইচএমপিভি শনাক্ত হয়। ২০০৯ সাল থেকে হাসপাতালভিত্তিক ইনফ্লুয়েঞ্জা সার্ভেইল্যান্স (এইচবিআইএস) সিস্টেম, ইনফ্লুয়েঞ্জা সার্ভেইলেন্স প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে এইচএমপিভি পর্যবেক্ষণ করা হয়। আইইডিসিআরের রেসপিরেটরি ইভেন্ট বেইজড সার্ভেইল্যান্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ২০১৭ সাল থেকে এইচএমপিভি শনাক্ত করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে এইচএমপিভিজনিত কোনো মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ১৪ বছর ও তার কম বয়সীদের মধ্যে এইচএমপিভি সংক্রমণ বেশি। বিশ্বব্যাপী এইচএমপিভি রোগের প্রকোপ লক্ষণীয়। ২০১৮ সালে এইচএমপিভি প্রায় ১১ দশমিক ১ মিলিয়ন মানুষের তীব্র নিম্ন শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়। যার ফলে পাঁচ লাখের বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয় এবং প্রায় এক লাখ ১৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।

এইচএমপিভি নতুন ভাইরাস নয়: যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) তথ্য বলছে, ২০০১ সালে প্রথম এ ভাইরাস শনাক্ত হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘আরও অনেক যুগ আগে থেকেই এ ভাইরাসের অস্তিত্ব ছিল পৃথিবীতে।’ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই ঘাবড়ানোর কিছু নেই। এইচএমপিভি ভাইরাস নিয়ে চীনের সরকার বা বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিউএইচও কেউই এখনো আনুষ্ঠানিক সতর্কতা জারি করেনি। এ ভাইরাস ভয়াবহ আকার ধারণ করবে কিনা, সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞরাও কোনো সতর্কবার্তা দেননি। তবে, রোগটি যাতে না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

এইচএমপিভির উপসর্গ: এইচএমপিভি সংক্রমিত হলে সাধারণ জ্বর বা ফ্লুর মতো উপসর্গ দেখা যায়। সঙ্গে কাশি, জ্বর, নাক বন্ধ এবং শ্বাসকষ্ট হতে পারে। সঙ্গে চামড়ায় র‍্যাশ বা দানা দানা দেখা দিতে পারে। তবে, কারও কারও জন্য এসব উপসর্গ মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। সিডিসির তথ্যানুযায়ী, এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে যে কোনো বয়সী মানুষের ব্রংকাইটিস বা নিউমোনিয়ার মতো অসুখ হতে পারে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এটি শিশু, বয়স্ক মানুষ এবং যাদের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল, তাদের মধ্যেই বেশি দেখা গেছে। আক্রান্ত হওয়ার পর লক্ষণ প্রকাশ পেতে তিন থেকে ছয় দিন সময় লাগে। কিন্তু আক্রান্ত হলে ঠিক কতদিন ভুগবেন একজন মানুষ, তা নির্ভর করে সংক্রমণের তীব্রতা ও আক্রান্ত ব্যক্তির শারীরিক সক্ষমতার ওপর। সংক্রমণের তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে লক্ষণ প্রকাশ পায়। সাধারণ উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, কাশি, নাক বন্ধ হওয়া এবং শ্বাসকষ্ট, যা সাধারণত সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে সেরে যায়। কিছু ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, ক্রমাগত জ্বর এবং পানিশূন্যতার মতো গুরুতর উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

একজন মানুষ একাধিকবার এইচএমপিভি আক্রান্ত হতে পারেন। এর মধ্যে প্রথমবারের সংক্রমণের তীব্রতা বেশি থাকে। এরপর শরীরে এক ধরনের ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়, যার ফলে পরবর্তী সময়ে সংক্রমণের তীব্রতা বেশি হয় না। তবে এর ব্যতিক্রম হতে পারে যদি আক্রান্ত ব্যক্তির ক্যান্সার বা এইচআইভির মতো দীর্ঘমেয়াদি অসুখ থাকে।

যেভাবে ছড়ায়: এইচএমপিভি সাধারণত আক্রান্ত মানুষের হাঁচি বা কাশি থেকে ছড়ায়। এ ছাড়া স্পর্শ বা করমর্দনের মতো ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে এইচএমপিভি ছড়াতে পারে। এইচএমপিভি সংক্রমিত ব্যক্তি থেকে অন্যদের মাঝে হাঁচি এবং কাশির নিঃসরণ থেকে, পারস্পরিক সংস্পর্শ, যেমন স্পর্শ করা বা হাত মেলানো কিংবা দূষিত বস্তুর স্পর্শে সংক্রমিত হতে পারে। নাক, মুখ এবং চোখ জীবাণু প্রবেশের পথ হিসেবে বিবেচিত। শিশু, বয়স্ক এবং যাদের দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, দীর্ঘমেয়াদি রোগ (ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, ক্যান্সার, কিডনি রোগ ইত্যাদি), ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) এবং হাঁপানির মতো অসুস্থতা আছে, তাদের ক্ষেত্রে এ রোগজনিত জটিলতার ঝুঁকি বেশি হতে পারে।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল এবং যারা দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকে, তাদের এ ভাইরাসের সংক্রমণ বেশি হয়। ভাইরাসটি বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত এবং মৌসুমের সঙ্গে এর আক্রান্তের হার পরিবর্তন হয়। নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ুতে ও শীতকালে এবং বসন্তের প্রথম দিকে বেশি আক্রান্ত হয়। সাম্প্রতিক প্রতিবেদনগুলো মালয়েশিয়া, ভারত ও কাজাখস্তানের মতো দেশগুলোর বিভিন্ন অঞ্চলে এ ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যাপক হারে দেখা যায়।

এখনো আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু হয়নি: বাংলাদেশের ভাইরোলজিস্ট এবং যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসি জানিয়েছে, এইচএমপিভি নিয়ে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এর বড় কারণ হচ্ছে, এটি কভিডের মতো নতুন কোনো ভাইরাস নয়।

২০০১ সালে প্রথম এ ভাইরাস শনাক্ত হয় এবং বাংলাদেশে ২০১৬ বা ২০১৭ সালের দিকে এ ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল। ভারত, চীনসহ বিভিন্ন দেশে ইনফ্লুয়েঞ্জা ধাঁচের এ ভাইরাসে আগেও মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এর অর্থ হলো মানুষের মধ্যে কিছুটা হলেও এ ভাইরাসের বিরুদ্ধে ইমিউনিটি গড়ে উঠেছে। মানে কেউ ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও তার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একে মোকাবিলা করতে পারবে।

বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ভাইরোলজিস্ট মাহবুবা জামিল বলেছেন, কভিড ফুসফুসের যতটা ক্ষতিগ্রস্ত করে, এইচএমপিভিতে ততটা ক্ষতি হয় না। তিনি জানিয়েছেন, শিশু, বয়স্ক, অন্তঃসত্ত্বা বা কঠিন কোনো রোগে আক্রান্তদের মধ্যে এ ভাইরাসের সংক্রমণ তীব্র হতে পারে। কারণ, তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অপেক্ষাকৃত দুর্বল থাকে।

এইচএমপিভি ভাইরাস আসলে কী: হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস নিউমোভিরিনি উপগোত্র এবং মেটানিউমোভাইরাস গণের অন্তর্গত। চীনের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশান বা সিডিসির ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, এইচএমপিভি কভিড-১৯-এর মতোই একটি আরএনএ ভাইরাস। অর্থাৎ এর জিনের গঠন একই। এ ভাইরাসও শ্বাসযন্ত্রে আক্রমণ করে। তবে এরা একই পরিবারের ভাইরাস নয়। অর্থাৎ কভিডের টিকা নেওয়া থাকলে বা আগে কখনো কভিড হলেও আপনার এইচএমপিভির সংক্রমণ হতে পারে। কভিডের ইমিউনিটি আপনাকে এইচএমপিভি থেকে সুরক্ষা দেবে না। ল্যানসেট গ্লোবাল হেলথের ২০২১ সালের এক প্রতিবেদনে তথ্যানুযায়ী, তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণে মারা যাওয়া পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর ১ শতাংশের মৃত্যুর জন্য দায়ী এইচএমপিভি।

প্রতিরোধের ব্যবস্থা: করোনা মোকাবিলায় যেসব সতর্কতা নেওয়া হয়েছিল, একই ধরনের পদক্ষেপে এ ভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব। যেমন বাইরে গেলেই মাস্ক পরা। ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান-পানি দিয়ে ঘন ঘন হাত ধোয়া। হাত দিয়ে নাক-মুখ স্পর্শ না করা। আক্রান্তদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা। জনসমাগমস্থল এড়িয়ে চলা। হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় মুখ টিস্যু দিয়ে ঢেকে নেওয়া এবং ব্যবহৃত টিস্যুটি সঙ্গে সঙ্গে মুখবন্ধ করা ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে হাত সাবান-পানিতে ধুয়ে ফেলা। যদি টিস্যু না থাকে, তাহলে কনুই ভাঁজ করে সেখানে মুখ গুঁজে হাঁচি দেওয়া। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি ও শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম করা। সর্দি-কাশি, জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। রো

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, বিশেষ করে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি সাবান এবং পানি দিয়ে নিয়মিত হাত ধোয়া বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা। শ্বাসপ্রশ্বাসের শিষ্টাচার—হাঁচি ও কাশির সময় নাক ও মুখ ঢেকে রাখা। মাস্ক পরিধান—জনাকীর্ণ বা বায়ুপ্রবাহ কম, এমনস্থানে মাস্ক ব্যবহার করা।

চিকিৎসা ব্যবস্থা: এ ভাইরাসের জন্য বর্তমানে কোনো নির্দিষ্ট অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ নেই বা বিশেষ কোনো চিকিৎসা পদ্ধতিও নেই। চিকিৎসকরা সাধারণত লক্ষণ বুঝে তা নিরাময়ের চেষ্টা করে থাকেন। যেমন জ্বর হলে তাপমাত্রা কমানোর ওষুধ দেন। সর্দি ও গলাব্যথা বা শ্বাস নিতে সমস্যা হলে সে অনুযায়ী চিকিৎসা বা ওষুধ দেওয়া হয়। চিকিৎসকরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোগীকে বিশ্রাম, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পর্যাপ্ত পানি জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে এ ভাইরাসের চিকিৎসায় অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ ব্যবহার করার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন বাংলাদেশের ভাইরোলজিস্টরা।

এইচএমপিভির জন্য কোনো অনুমোদিত অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ বা ভ্যাকসিন না থাকায় ব্যথা, জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের জন্য লক্ষণভিত্তিক ওষুধ দেওয়া হয়। গুরুতর ক্ষেত্রে, হাসপাতালে ভর্তি এবং অক্সিজেন সরবরাহের প্রয়োজন হতে পারে।

বিশেষজ্ঞ মতামত: এ প্রসঙ্গে আইইডিসিআরের সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. মনজুর হোসেন বলেন, বর্তমানে দেশে ফ্লুর প্রাদুর্ভাব দেখা দিলেও এইচএমপিভি তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। তবে এটি আইইডিসিআরের নজরদারিতে আছে। যদি সংক্রমণের ব্যাপকতা বাড়ে, তাহলে বিষয়টি সরকারের সংশ্লিষ্টদের জানানো হবে। তবে এ ধরনের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি।