
ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, যে নির্বাচন পদ্ধতির মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট, খুঁনি, চাঁদাবাজ তৈরী হয়-এমন নির্বাচন বাংলাদেশে আমরা দেখতে চাইনা।
তিনি বলেন, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির নির্বাচনের কথা উঠলেই কেউ কেউ ভয় পায়। কারণ, এই পদ্ধতি চালু হলে চাঁদাবাজি, ভোটডাকাতি, দলীয়করণ ও বিদেশে অর্থ পাচার-এসব বন্ধ হয়ে যাবে। অথচ যারা এর বিরোধিতা করছে, তারা আজও যৌক্তিকভাবে কোনো অসুবিধা তুলে ধরতে পারেনি।
শুক্রবার পুরানা পল্টনের কার্যালয়ে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত ‘জুলাই জাগরণ ও স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষে ‘জুলাইয়ের শিক্ষা: নীরবতা মানে গোলামী’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসুরের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মাহবুবুর রহমান নাহিয়ান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে চরমোনাই পীর আরো বলেন, আমাদের কানে এখনও বাজে মুগ্ধের ‘পানি লাগবে পানি’। আবু সাঈদের মতো নিরপরাধ মেধাবী ছাত্রকে যেভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারিনি। মায়েদের বুকফাটা কান্না আমরা সহ্য করতে পারিনি। এই নির্মমতা ও জুলুমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে একমাত্র আমরাই রাজনৈতিক দলের ব্যানারে মাঠে নেমেছিলাম।
তিনি আরো বলেন, আমরা ইসলাম, দেশ ও মানবতার জন্য সংগ্রাম করছি। রাষ্ট্র সংস্কার ও গণহত্যার বিচার চাই। কিন্তু একটি দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যেন উন্মাদ হয়ে উঠেছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেন,পীর সাহেব চরমোনাই একটি যুগোপযোগী, বাস্তবসম্মত এবং দেশ ও জাতির মঙ্গলকামী প্রস্তাব দিয়েছেন-দেশে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজনের। এই পদ্ধতি চালু হলে নির্বাচনী অনিয়ম, ভোট চুরি, চাঁদাবাজি এবং রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অবসান ঘটবে ইনশাআল্লাহ। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, কিছু দল এই পদ্ধতির বিরোধিতা করছে। কারণ তারা জানে-পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে তাদের অবৈধ আধিপত্য, দুর্নীতি ও অন্যায়ের সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন,চরমোনাই পীরের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। দেশবিরোধী এই অপতৎপরতা সম্পর্কে আমরা সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানাই। আমরা সবসময় সজাগ ও প্রস্তুত থাকবো।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মাওলানা কে এম আতিকুর রহমান।
উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল ইমরান হোসাইন নূর, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, কেন্দ্রীয় নেতা ফয়জুল ইসলাম, মুহাম্মাদ আশিকুল ইসলাম, এস এম কামরুল ইসলাম, মাইমুন ইসলাম, ইউসুফ পিয়াস, শেখ মুহাম্মাদ মাহদী ইমাম, মুহাম্মাদ খাইরুল কবির, আবদুল আজিজ নোমান, এম ইব্রাহীম নাসরুল্লাহ, মুহাম্মাদ তুহিন মালিকসহ অন্যান্য নেতারা।