
ব্যাংকগুলোতে ডলারের দাম আরও কমেছে। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমেছে প্রায় ২ টাকা ৪০ পয়সা। ডলারের সর্বনিম্ন দর এখন ১২০ টাকা ৩০ পয়সায় নেমেছে। সর্বোচ্চ দর নেমেছে ১২১ টাকা ২০ পয়সায়।
এর আগে সর্বোচ্চ দর ১২৩ টাকায় উঠেছিল। রেমিট্যান্স প্রবাহ, রপ্তানি আয় ও বৈদেশিক ঋণ প্রবাহ বাড়ার কারণে বাজারে ডলারের সরবরাহ বেড়েছে। এতে ডলারের দামও কমতে শুরু করেছে। একইসঙ্গে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও বাড়ছে।
২০২২ সালের এপ্রিল থেকে দেশে ডলার সংকট শুরু হয়। বিগত সরকার ক্ষমতায় থাকা পর্যন্ত এই সংকট ছিল। গত বছরের ৫ আগস্ট সরকারের পতন হলে বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। তখন থেকে ডলার পাচার বহুলাংশে কমার কারণে ডলার সংকটও কেটে যায়। অর্থাৎ ডলারের পাচারের কারণেই ছিল সংকট।
রোববার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে সর্বনিম্ন ১২০ টাকা ৩০ পয়সা দরে ডলার বিক্রি হয়েছে। সর্বোচ্চ বিক্রি হয়েছে ১২১ টাকা ২০ পয়সা দরে। গত দাম ছিল ১২০ টাকা ৬০ পয়সা। এর আগে দুই সপ্তাহ আগে ডলারের দাম সর্বোচ্চ ১২৩ টাকায় উঠেছিল। গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়। এর দাম সর্বোচ্চ এক টাকা বাড়লেও এখন অনেকটা কমে এসেছে।
ডলারের দাম কমার কারণে টাকার মান বেড়েছে। এতে মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ আরও কমছে। পাশাপাশি ডলারের বাড়তি দামের কারণে আমদানিজনিত মূল্যস্ফীতির চাপও কমবে। একই সঙ্গে বৈদেশিক দেনা পরিশোধের ক্ষেত্রেও কম দামে ডলার পাওয়া যাবে। এতে দায়ও কমবে।
এদিকে ডলারের দাম কমার কারণে রেমিট্যান্সের ওপর যাতে কোনো নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে সেজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক সতর্ক রয়েছে। দুর্বল কিছু ব্যাংক এখনও চড়া দামে রেমিট্যান্স কিনছে। ফলে রেমিট্যান্সের একটি অংশ ওইসব ব্যাংকের মাধ্যমে আসছে।