
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্যাতনে আসামি নিহত হওয়ার ঘটনা বন্ধ হচ্ছে না। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জে গ্রেপ্তারের পর দু’জন আসামি মৃত্যুবরণ করেন। আর গণ-অভ্যুত্থানের পর সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত ৯ মাসে নিহত হয়েছেন ২৫ জন। হেফাজতে মৃত্যুর এসব ঘটনায় মানবাধিকার সংস্থাগুলো উদ্বেগ জানিয়েছে।
মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা।
মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন মানবজমিনকে বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে মৌলিক কোনো পরিবর্তন আমার চোখে পড়ছে না। আগেও যে অবস্থা ছিল সেটির পুনর্বহাল হয়েছে। আমরা দেখতাম থানা হেফাজতে নির্যাতন করে মেরে ফেলছে। এসব বিষয় এখনো আছে। মাঝখানে ৫ই আগস্টের পর কিছুদিন বন্ধ ছিল। কারণ ওই সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিজেদের গুছিয়ে আনতে পারেনি। কিন্তু কয়েকমাসের ভেতরে আমরা দেখছি নির্যাতন করে মেরে ফেলার ঘটনাগুলো সামনে এসেছে। তিনি বলেন, যদিও এখন পর্যন্ত পূর্বের অবস্থায় ফিরে গেছে এটা বলা শোভনীয় হবে না। কিন্তু সিস্টেমটা একই রয়েছে। যে মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে মানুষ গণ-অভ্যুত্থান করেছিল সেই হিসেবে মানুষ আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আস্থার জায়গা পাচ্ছে না। আগে যা ঘটেছে সে ধরনের ঘটনাই মানুষ অবলোকন করছে নির্বোধের মতো। মানুষের ধারণা তাদের পক্ষে আর কিছু করার নেই। এ ধরনের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয় না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হয় না এটা বলা ঠিক হবে না। এটা নির্ভর করে সরকারের পলিসির উপরে। তাদের সদিচ্ছার উপর। একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে গণ-অভ্যুত্থানের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে ডিমরালাইড অবস্থা রয়েছে। তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। ফলে এখানে শক্ত অবস্থান নেয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা দোদুল্যমানতা আছে।