
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চরম্বা ইউনিয়নে প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একাধিক মামলার আসামি সৈয়দ হোসেন।বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম স্বাক্ষরিত একটি অফিস আদেশে তাকে প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।
জানা গেছে, জুলাইয়ের আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে লোহাগাড়া থানায় দুটি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেফতার না করে উল্টো তাকে প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ।
এ বিষয়ে চরম্বা ইউনিয়নের কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, ১৭ বছর আমরা আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের হাতে শাষিত হয়েছি। ৫ আগস্ট তাদের হাত থেকে দেশ মুক্ত হলেও এখনো কিছু কিছু জায়গায় তাদের দোসররা ঘাপটি মেরে বসে আছে এবং বিভিন্ন মাধ্যম ধরে পজিশন সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তারই একটি প্রমাণ চরম্বা ইউনিয়নের নবনিযুক্ত প্যানেল চেয়ারম্যান সৈয়দ। আমরা অতিদ্রুত তার অপসারণ চাই।
এদিকে তাকে প্যানেল চেয়ারম্যান ঘোষণার পর থেকে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আবু রেজা নদভী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সঙ্গে সৈয়দ আহমদের নানা ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভেসে বেড়াচ্ছে। এসব ছবি নিয়ে নানারকম মন্তব্য ও করছেন নেটিজনরা।
অভিযুক্ত সৈয়দ হোসেনের কাছে এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে নিজেকে বিএনপি নেতা দাবি করে বলেন, মানুষ আমার নামে ষড়যন্ত্র করছে। আমি চরম্বা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। থানা কমিটির বর্তমান সদস্য এবং চরম্বা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।
এদিকে তার নামে লোহাগাড়া থানায় থাকা মামলা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে বা যারা মামলা দিয়েছে তারাই বলতে পারবেন সেটা কেন দিয়েছেন। তবে মামলা বাণিজ্য করার জন্যই এসব করেছে বলে আমি মনে করি।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্রনেতা মির্জা তামিম বলেন, ৫ আগস্টের পরে স্বৈরাচারের কোনো দোসর এ রকম একটা গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকতে পারবে না। এটি আমাদের শহীদদের সঙ্গে গাদ্দারি হবে। তাদের রুহের শান্তি পাবে না। একটি রাজনৈতিক দলের বিশেষ সুপারিশে এমনটি হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
জানতে চাইল লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইনামুল হাছান বলেন, এটি জেলা প্রশাসকের বিষয়। এখনো অফিসিয়ালি কিছু জানানো হয়নি। জানার পর বিস্তারিত বলা যাবে।