Image description

চট্টগ্রামে আন্ডারওয়ার্ল্ডে চলছে দখলের লড়াই। আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, বালুমহালের দখল কিংবা ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে হচ্ছে হামলা থেকে খুন। চলছে গোলাগুলি। এসব নিয়ন্ত্রণে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো সক্রিয় থাকলেও আন্ডারওয়ার্ল্ডের জটিল নেটওয়ার্ক এবং জড়িত প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কারণে অনেক সময় তাদের বেগ পেতে হচ্ছে। ফলে আন্ডারওয়ার্ল্ডের বাসিন্দারা হয়ে উঠছে অপ্রতিরোধ্য। সিএমপির জনসংযোগ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মাহমুদা বেগম বলেন, নগরীর অপরাধ দমনে কাজ করছে পুলিশের সব বিভাগ। বিশেষ করে চাঁদাবাজি, ছিনতাই এবং আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনাগুলো গুরুত্বসহকারে নিচ্ছে। এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারও করা হচ্ছে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকারের মতে, ৫ আগস্টের পর চট্টগ্রামে যতগুলো খুন এবং সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে তার সবগুলোর নেপথ্য কারণ আধিপাত্য বিস্তার। কিছু সন্ত্রাসী চাঁদাবাজি, জায়গা দখল-বেদখল, বালুমহাল দখল এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে এগুলো ঘটাচ্ছে। আমরা প্রশাসনকে অনুরোধ করে আসছি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। অনুসন্ধানে জানা যায়, চট্টগ্রাম নগরী ও জেলায় নতুন করে উত্থান হয় অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসীর। সবমিলিয়ে চট্টগ্রামের আন্ডারওয়ার্ল্ডে নতুন করে শতাধিক মাফিয়ার আবির্ভাব ঘটে। এরপর থেকে নগরী এবং জেলার বিভিন্ন সন্ত্রাসীবাহিনীর মধ্যে আধিপত্য বিস্তার, ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজি ও দখলবাজি নিয়ে প্রায়শই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, পরিবহন খাত, বালুমহাল এমনকি ব্যক্তিগত সম্পত্তিও চাঁদাবাজ ও দখলদারদের টার্গেট হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় এসব অপকর্ম পরিচালিত হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।