
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের কোনো করিডোর নেই, করিডোর হবেও না। প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানও বিষয়টি পরিষ্কার করে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন, করিডোর বিষয়ে কারো সঙ্গেই কোনো কথা হয়নি।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় একটি হোটেলে কক্সবাজার প্রেস ক্লাব আয়োজিত সাংবাদিকদের একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যের পর প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১১টি জঙ্গিগোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে। যদিও আমরা কেবল আরসা ও আরএসওর বিষয়টিই কেবল জানি। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে ওই জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর নাম উঠে এসেছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্বরত সব এনজিও ‘ভালো মানসিকতা’ নিয়ে কাজ করছে না বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এদের মধ্যে কারা ‘মানবিকতা’ ছাড়া অন্য কিছুকে বেশি ফোকাস করছে, সেদিকে সাংবাদিকদের নজর রাখতে হবে।
ক্যাম্পে সংঘটিত সব ঘটনাই ‘দুর্ঘটনা’ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্যাম্পের সব অগ্নিকাণ্ডই নিছক অগ্নিকাণ্ড নয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ‘অগ্নিসংযোগ’ করা হয়েছে।
‘উপকূলীয় অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও চ্যালেঞ্জ এবং ফ্যাক্ট চেকিং’, ‘স্টোরিটেলিং, উপসম্পাদকীয়’ এবং ‘প্রান্তিক ও সীমান্ত অঞ্চলে সাংবাদিকতা’ বিষয়ে আয়োজিত এ কর্মশালায় সহযোগিতা করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘ফ্রেন্ডশীপ’।
উখিয়া ও বালুখালী এলাকায় এসে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি মালপত্র কিনে নিয়ে যাচ্ছে এমন প্রশ্নে না সূচক জবাব দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ বিষয়ে প্রতিবেদন করার পরামর্শ দেন। এরকম বিষয় পাওয়া গেলে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এতে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, বৈশাখী টিভির হেড অব নিউজ জিয়াউল কবির সুমন ও ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় বিভাগের প্রধান ইরেশ ওমর জামাল।
কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সভাপতি মাহবুবর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (অ্যাডিশনাল আরআরআরসি) শামসুদ্দোহা নয়ন।