
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একইস্থানে আপ ও ডাউন লাইনে দু’টি ট্রেন দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে। ফলে ১১ ঘণ্টা বন্ধ থাকে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের রেল যোগাযোগ। শুক্রবার রাতে এবং শনিবার সকালে পুনিয়াউট এলাকায় লাইনচ্যুত হয় দুই ট্রেনের দুই বগি। বগি দু’টি উদ্ধারের পর শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
পুনিয়াউটের ওইস্থানে এর আগেও ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু কেন সেখানে বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে, কোথায় সমস্যা। রেলট্র্যাকে ঠিকঠাকভাবে কাজ না হওয়া, সিগন্যালে ত্রুটি ছিল কিনা, নাকি অন্য কোনো দোষে ঘটছে দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার পর সাধারণের মাঝে এমন অনেক প্রশ্ন সামনে এলেও মুখে কুলুপ থাকে রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তাদের। শনিবার সকালে দুর্ঘটনাস্থলে আসেন রেলওয়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা। পড়ে যাওয়া বগি উদ্ধারে হুকুমে তৎপর দেখা যায় তাদের। কিন্তু দুর্ঘটনা নিয়ে কথা বলতে চান না তারা। এমনি নিজের নাম পরিচয়ও প্রকাশ করেন না। বেশ কিছু সময় ঘটনাস্থলে থেকে তারা চলে যান স্টেশনে ভিআইপি ওয়েটিংয়ে।
গত শুক্রবার রাত সোয়া ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের আউটারে পুনিয়াউট এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে আসা মালবাহী ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে ডাউন লাইনে কাত হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরে আখাউড়া রেল জংশন থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন এসে দুর্ঘটনাকবলিত বগিটি উদ্ধারে কাজ শুরু করে। ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে দুর্ঘটনাকবলিত বগিটি উদ্ধার কাজ শেষ হয়। এরপর লাইন ক্লিয়ার হলে ভোর ৫টা থেকে আপ ও ডাউন লাইনে ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।
এর এক ঘণ্টা পর ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী কক্সবাজার এক্সপ্রেসের একটি বগি সেখানে লাইনচ্যুত হয়। ফলে ডাউন লাইনে আবারো ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে থাকা উদ্ধারকারী ট্রেন এক ঘণ্টায় লাইনচ্যুত ওই বগি উদ্ধার করে। তবে ওই বগিটি কেটে রেখে ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছেড়ে যায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. জসিম উদ্দিন জানান, দুর্ঘটনাকবলিত মালবাহী ট্রেনের বগিটি ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে এবং কক্সবাজার এক্সপ্রেসের বগিটি সকাল সোয়া ৭টায় উদ্ধার করা হয়। তবে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত রেললাইন ও স্লিপার মেরামত শেষে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।