
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি বর্বর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভে উত্তাল ছিল দেশ। বিশ্বব্যাপী ‘নো ওয়ার্ক নো স্কুল’ কর্মসূচিতে সাড়া দিয়ে গতকাল সকাল থেকেই রাস্তায় নেমে আসেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। মিছিল-স্লোগানে প্রতিবাদ জানান জায়নবাদী ইসরাইলের গণহত্যা ও বর্বর আগ্রাসনের। কাজ বন্ধ রেখে সড়কে নেমে প্রতিবাদী মিছিলে শামিল হন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। প্রতিবাদ বিক্ষোভে রাজধানী কার্যত মিছিলের নগরী হয়ে ওঠে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয় ঢাকাসহ সারা দেশে।
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম, পল্টন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহবাগ, মহাখালী, মিরপুর, রামপুরা, বাড্ডা, গুলশান, বারিধারাসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিক্ষোভকারীর উপস্থিতি দেখা গেছে। যেখান থেকে দাবি উঠেছে অবিলম্বে আগ্রাসন বন্ধের। যে দাবিতে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি রাজপথে স্লোগান দিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন। মিছিল-সমাবেশ থেকে নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানানোর পাশাপাশি ইসরাইলি পণ্য বয়কটেরও ডাক দেয়া হয়েছে। স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়েছে- ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন। ফরম দ্য রিভার টু দ্য সী, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি। এদিন বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে। ইসরাইলি পণ্য রাখা বা দেশটিকে সমর্থন দেয়ার অভিযোগে ভাঙচুর করা হয়েছে বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে। এ ছাড়াও ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের কাছাকাছি বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এক বিবৃতিতে, আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘের প্রস্তাব এবং শান্তি, মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের জন্য ফিলিস্তিনিদের আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানে পৌঁছাতে কাজ করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানায় বাংলাদেশ।
ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের পাশাপাশি রাজপথে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তারা। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ঢাকার পাশাপাশি রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে হয় প্রতিবাদ সমাবেশ। এ ছাড়াও ব্র্যাক, ইস্ট ওয়েস্ট, কানাডিয়ান, নর্থ সাউথসহ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরাও ছিলেন রাজপথে। যোগ দিয়েছিলেন মেডিকেল, মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীরাও। দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন স্লোগানে মুখরিত ছিল চারদিক। এই আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন ঢাকার বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও। বিক্ষোভ থেকে শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে জাতিসংঘসহ বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। একইসঙ্গে মুসলিম বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোর নীরব ভূমিকারও সমালোচনা করা হয় বিক্ষোভ থেকে। বক্তারা বলেন, ইসরাইলি সহিংসতা বন্ধ করে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানে পৌঁছাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে। নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াতপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। এক বিবৃতিতে সংগঠনটি বলে, গাজায় চলমান ইসরাইলি আগ্রাসন, দখলদারিত্ব এবং নির্মম গণহত্যা যেন গোটা বিশ্বের সচেতন মানুষকে বাকরুদ্ধ করে তুলেছে। ইসরাইলের খুনি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর রক্তপিপাসু নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া এখন শুধু মানবিক দায়িত্ব নয়, বরং এটি মুসলমান এবং মানুষ হিসেবে সকলের কর্তব্য। এদিন দুপুরে মানববন্ধন করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে যোগ দেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকরাও। জেরুজালেম ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনিদের পূর্ণ অধিকার রয়েছে এবং তাদের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম বৈধ ও ন্যায্য বলে জানান তারা।
এদিকে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর নৃশংস হামলার প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের কাছাকাছি কয়েকটি স্থানে একাধিক বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। বেলা পৌনে ২টায় মার্কিন দূতাবাসের উল্টো দিকের পদচারী সেতুর সামনে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একদল শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করে। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গুলশানে মার্কিন দূতাবাস এলাকায় মিছিল বের করেন একদল তরুণ। মার্কিন দূতাবাসের সামনের সড়কে অবস্থান নেন তারা। এ সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মিছিলটির সামনে ছিলেন পুলিশ সদস্যরা। সকাল থেকে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনী কলেজ, ঢাকার শিক্ষার্থীরা মার্কিন দূতাবাসের সামনের সড়কে অবস্থান নেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে ছিলেন পুলিশ সদস্যরা। মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভকে ঘিরে দূতাবাস এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। নিরাপত্তা নিশ্চিতে এলাকাটিতে কঠোর অবস্থানে ছিলেন সেনাবাহিনী, বিজিবি, এপিবিএন, এসবি, সিআইডি, পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা। এ ছাড়া নিরাপত্তা জোরদার করা হয় গুলশান এলাকায় থাকা অন্য দূতাবাসগুলোতেও।
ইসরাইলি বাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা-বিবৃতি, যুক্তরাষ্ট্রের হাইকমিশনারকে তলব করে জবাবদিহি চাওয়ার দাবিতে আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ঢাবি শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফরম ‘আজাদ ফিলিস্তিন’। একইসঙ্গে নেতানিয়াহু ও ট্রাম্পের কুশপুত্তলিকা দাহ করাসহ মার্কিন দূতাবাস অভিমুখে মার্চ করবে বলে জানান প্ল্যাটফরমের সংগঠক ঢাবি’র বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মোসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কর্মসূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে পদযাত্রা শুরু হবে। ইসরাইলের বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে শুরু হয়ে এ মিছিল বাহাদুর শাহ পার্ক ঘুরে রফিক ভবনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। রাজধানী জুড়ে সরব ছিল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরা। ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে সোমবার রাজপথে নেমে আসেন। সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তারা মধ্যবাড্ডা ও উত্তর বাড্ডা এলাকায় সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেন। আফতাবনগরে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তারা রামপুরা ব্রিজসহ আশপাশের এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। একই এলাকায় প্রতিবাদ জানান কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরাও। বসুন্ধরা এলাকায় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (এনএসইউ), ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (আইইউবি), আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (এআইইউবি) ও ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক ও কর্মকর্তারা।
বিক্ষোভে উত্তাল বায়তুল মোকাররম:
মাদ্রাসা শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়েছিলেন বায়তুল মোকাররম এলাকায়। ফিলিস্তিনের ওপর ইসরাইলের নির্মম হামলার প্রতিবাদ ও গাজাবাসীর ডাকা বিশ্বব্যাপী ধর্মঘটের সমর্থনে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনে সমবেত হন মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এদিন বাদ জোহর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের ডাকে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। বিকালে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামী। মিছিলটি পল্টন হয়ে শান্তিনগরে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। মিছিলপূর্ব সমাবেশে দক্ষিণ জামায়াতের আমীর নুরুল ইসলাম বুলবুল বক্তব্য রাখেন।
বিকালে রাজধানীর মহাখালী চৌরাস্তায় কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করে ইসরাইলি বাহিনীর নৃশংস গণহত্যা ও উপর্যুপরি বিমান হামলার প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে বর্বরোচিত হামলা বন্ধের দাবিতে’ ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিলটি মহাখালী ওভারব্রিজ থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মগবাজার হাতিরঝিল মোড়ে গিয়ে সংক্ষিপ্ত পথ সভার মধ্যদিয়ে শেষ হয়। সমাবেশে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, জায়ানবাদী ইসরাইলিরা সকল প্রকার আইন-কানুন, নীতি- নৈতিকতা ও যুদ্ধ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে উপর্যুপরি বিমান হামলার মাধ্যমে পুরো গাজা নগরীতে ধ্বংসের শহর ও মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে। তারা প্রতিনিয়ত মানবতাবিরোধী অপরাধ করে প্রমাণ করেছে। ইসরাইল কোনো রাষ্ট্র নয় বরং মধ্যপ্রাচ্যের অবৈধ ও সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র। তাদের এ বর্বরতা ও নির্মমতা ইতিহাসের সকল নিষ্ঠুরতাকে হার মানিয়েছে। বাদ আসর হেফাজতে ইসলাম ঢাকা জেলা উত্তরের উদ্যোগে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিলটি সাভার মডেল মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে সাভার বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়। বেলা সাড়ে ৩টায় রাজধানীর মিরপুর-১০ গোল চত্বরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন নেতাকর্মীরা। মিছিল-১০ নম্বর গোল চত্বর থেকে শুরু হয়ে ছয় নম্বর হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মিরপুর-১ নম্বরে গিয়ে শেষ হয়।
গাজার প্রতি বৈশ্বিক সংহতির অংশ হিসেবে রাজধানীতে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগর উত্তর, নারায়ণগঞ্জ মহানগর, সিলেট মহানগরসহ সারা দেশের বিভিন্ন শাখায় সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বিকাল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে সংহতি সমাবেশ করে বাংলাদেশ লেবার পার্টি। বিকাল ৫টায় জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সোহেল মিঞার নেতৃত্বে ব্যানার, প্ল্যাকার্ড হাতে মিছিল বের করা হয়। গাজায় গণহত্যা বন্ধ করার দাবিতে’ বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে মিছিলটি হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালের সামনে থেকে শুরু করে শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় ফাউন্ডেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা জাহিদ হাসান, ভেরিফিকেশন সেলের মাহফুজ, আরিফ, সাবরিনা আফরোজ, শাহমিন আহম্মেদসহ জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। রামপুরায় ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন বলে স্লোগান তুলে বিক্ষোভ করেছে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী। দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে রামপুরায় অবস্থিত ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে এ বিক্ষোভ শুরু হয়। এ সময় তারা আমেরিকাসহ ইসরাইলের বিপক্ষে নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।
শাহবাগে এনসিপি’র সমাবেশ: গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন ও ভারতের বিতর্কিত ওয়াক্ফ বিলের বিরুদ্ধে এনসিপি’র ঢাকা মহানগর কমিটি শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। বাংলাদেশে যেমন ‘জুলাই বিপ্লব’ ঘটে গেছে, তেমনি ফিলিস্তিনের মাটিতেও একদিন ‘জুলাই’ আসবে বলে আশা করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন।
গোয়েন্দা তৎপরতার জন্য ইসরাইল থেকে আওয়ামী লীগের আমলে যেসব যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে, সেগুলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকিস্বরূপ বলে সমাবেশে উল্লেখ করেন আখতার হোসেন। এ ধরনের প্রতিটি চুক্তি অবিলম্বে বাতিল করার দাবি জানান তিনি। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে বাংলাদেশকে উচ্চকণ্ঠ হতে সরকারের প্রতি তিনি আহ্বান জানান। সমাবেশে এনসিপি নেতারা বক্তব্য রাখেন।