Image description
 

পৃথিবীর মানচিত্র থেকে ইসরায়েলকে গুঁড়িয়ে দিতে মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ড. মু. রেজাউল করিম।আজ সোমবার বিকেল ৪টায় রাজধানীতে এক বিক্ষোভ মিছিল শেষে এসব কথা বলেন রেজাউল করিম।জামায়াত নেতা বলেন, সারা পৃথিবীর কাছে কুখ্যাত সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে খ্যাত ইসরায়েল ফিলিস্তিনের গাজাবাসী নারী ও শিশুকে হত্যা করে আইয়ামে জাহেলিয়াতের বর্বর যুগের ইতিহাসকে হার মানিয়েছে। ইসরায়েল গণহত্যা পরিচালনার মাধ্যমে পৃথিবীর মানচিত্রে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত হয়েছে। এই সন্ত্রাসী রাষ্ট্রকে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে মুসলমানদের গুঁড়িয়ে দিতে হবে।রেজাউল করিম বলেন, ‘জায়নবাদী ইসরায়েলিরা সকল প্রকার আইন-কানুন, নীতি-নৈতিকতা ও যুদ্ধবিরতি চুক্তি লংঘন করে উপর্যুপরি বিমান হামলার মাধ্যমে পুরো গাজা নগরীতে ধ্বংসের শহর ও মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে। তারা প্রতিনিয়ত মানবতাবিরোধী অপরাধ করে প্রমাণ করেছে ইসরায়েল কোনো রাষ্ট্র নয় বরং মধ্যপ্রাচ্যের অবৈধ ও সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র। তাদের এ বর্বরতা ও নির্মমতা ইতিহাসের সকল নিষ্ঠুরতাকে হার মানিয়েছে।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘মুসলিম উম্মাহ তাদের এমন হত্যাযজ্ঞ ও নির্মমতাকে বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেবে না। বরং মধ্যপ্রাচ্যের দুষ্টক্ষত ইসরায়েলি দখলদারদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।’অবিলম্বে গাজায় ধ্বংস ও হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে জাতিসংঘ, ওআইসিসহ বিশ্ব সংস্থাগুলোকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহবান জানান তিনি। অন্যথায় মুসলিম বিশ্ব ঘরে বসে তামাশা দেখবে না।বিশ্ববাসীকে আহ্বান জানিয়ে রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা শুধু ইসরায়েলি পণ্য বয়কট করতে চাই না। পৃথিবীর বুকে যেখানেই ইহুদি থাকবে, সেখানেই তাদের বয়কট করা হবে।’তরুণ-যুবকদের উদ্দেশে ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি বলেন, ‘জ্ঞানবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষ হয়ে তৈরি হওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েলকে বয়কট করে গাজাবাসীর পাশে দাঁড়াতে হবে। সন্ত্রাসী ইসরায়েলের কালো থাবা থেকে তাদের মুক্ত করতে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও দক্ষতার মাধ্যমে চূড়ান্ত লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।’

 

ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের সেক্রেটারি বলেন, ‘অবিলম্বে গাজায় গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ, হামলা বন্ধ করুন। যদি তা করা না হয়, তাহলে গোটা মুসলিম উম্মাহ দুর্বার বৈশ্বিক আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবে।’সামাবেশে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকামহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ডা. ফখরুদ্দীন মানিক ও ইয়াছিন আরাফাত, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পােট আতিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য জিয়াউল হাসান, মুহিবুল্লাহ, জামাল উদ্দীন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার, নাসির উদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান, জননেতা অধ্যক্ষ আশরাফুল হক, ছাত্রনেতা আনিসুর রহমান, সালাহ উদ্দিন প্রমুখ।