Image description

গণঅভ্যুত্থানের আট মাস পরও আসামি ধরতে বাধা, থানা ভাঙচুরসহ নানা কারণে চ্যালেঞ্জের মুখে পুলিশের মনোবল—বলছেন অপরাধ বিশ্লেষকেরা। তবে মাঠ কর্মকর্তারা বলছেন, বদলি হওয়া অনেক সদস্যই রাজধানীর কর্মপন্থায় অভ্যস্ত নন। এটিও অপরাধ দমনে অন্তরায়। এদিকে ৫ আগস্টের পর যে জনবল ও সরঞ্জাম সংকট তৈরি হয়, তা এখনও পুরোপুরি কাটেনি।

তবে এখনও নানা সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে পুলিশ সদস্যদের। আসামি ধরতে গিয়ে বাধার মুখে পড়া থেকে শুরু করে মারধর এমনকি থানা ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটছে। এমন বাস্তবতায় পুলিশের মনোবল ফেরানোই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন অপরাধ বিশেষজ্ঞরা।

অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলেন, ‘ রাজধানীর অপরাধ পরিস্থিতি বিবেচনায় অপরাধীদের বৈশিষ্ট্য ও অপরাধের ধরনের প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে এখানে সোর্সগুলোকে অ্যাক্টিভ করা প্রয়োজন।’  

পুলিশ বাহিনীর মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বলছেন, ঢাকায় বদলি হওয়া বেশিরভাগ পুলিশ দীর্ঘদিন জেলা পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। রাজধানীতে কাজের ধরনের সঙ্গে অভ্যস্ত নন অনেকেই। এটি মাথায় রেখেই কর্মপরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘যারা সমাজে ভালো মানুষ তাঁরা আক্রমণ করছে না। অপরাধী, সুবিধাভোগী তারাই চেষ্টা করছে পুলিশের মনোবল ভাঙতে। তবে পুলিশের একটুও ভাঙেনি।’ 

রাজধানীর খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দাউদ হোসেন বলেন, ‘কেউ যদি মব সৃষ্টি করে কোনো অন্তরায় সৃষ্টি করতে চায় তাহলে আমরা আইনের ভেতর থেকে সেইসব গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বদ্ধপরিকর।’ 

পুলিশ সদরদপ্তর বলছে, পুলিশের কাজে বাধা, মব সৃষ্টি করে হামলার ঘটনা নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে থাকবে সদস্যরা।

পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর বলেন, ‘পুলিশ যখন দায়িত্ব পালন করে তখন কিন্তু অনেক চ্যালেঞ্জ নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হয়। পুলিশের ওপর যদি আঘাত আসে তাহলে আইনগতভাবে যেটা করা দরকার তা আমরা করব।’ 

এদিকে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর যে পুলিশে জনবল আর লজিস্টিক সংকট তৈরি হয়েছিল, তা এখনো পুরোপুরি কাটেনি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। যদিও এ সংকট সমাধানে এরইমধ্যে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।