
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খানের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এবিষয়ে ফারুক খান বলেছেন, কারাগার থেকে কীভাবে স্ট্যাটাস দেব? এটা মিথ্যা কথা।
বুধবার ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
এদিন ২০১৫ সালে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলা ঘটনায় মতিঝিল থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক মন্ত্রী ফারুক খান, হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ খান মেননকে রিমান্ড শুনানির জন্য নিয়ে আসা হয়। পরে আদালত শুনানি শেষে তাদের পাঁচদিনের রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম।
পরে আদালত থেকে নামিয়ে তাদের গারদখানায় নিয়ে যাওয়ার সময় এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, 'আপনি কি কারাগার থেকে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন? জবাবে ফারুক খান বলেন, কারাগার থেকে কীভাবে স্ট্যাটাস দেব? এটা মিথ্যা কথা।
আরেক সাংবাদিক একই প্রশ্ন করেন, তখন তিনি আবার বলেন, ‘কারাগার থেকে কি স্ট্যাটাস দেওয়া যায়? কারাগার থেকে কিভাবে স্ট্যাটাস দেব। তখন ওই সাংবাদিক প্রশ্ন করেন আপনার ভেরিফাইড ফেসবুক থেকে পোস্ট হয়েছে। তখন ফারুক খান চুপ করে থাকেন। পরে তাকে গারদখানার ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিন তাদের আদালতে হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত পাঁচদিনের মঞ্জুর করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল নির্বাচনি প্রচারের সময় বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত পথসভায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে আসামিরা অস্ত্রসহ তার গাড়িবহরে হামলা চালান। এসময় তারা খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের ১২ থেকে ১৪টি গাড়ি ভাঙচুর করে, ৪টি মোটরসাইকেলে আগুন দেয় এবং নেতাকর্মীদের মারধর করেন। হামলায় খালেদা জিয়ার নিরাপত্তারক্ষীরা আহত হন। খালেদা জিয়াকে লক্ষ্য করে আসামিরা ইট-পাথর নিক্ষেপ করলে সাধারণ পথচারীরা আহত হয়। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট এবং এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর ২০০ থেকে ৩০০ নেতাকর্মী দেশি অস্ত্র হাতে নিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। হামলার সময় আসামিরা মূল্যবান জিনিস ছিনিয়ে নেয় ও জোরপূর্বক আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি করে। এ ঘটনায় গত ২৫ আগস্ট মতিঝিল থানায় মামলা করেন ব্যান্ড সংগীত শিল্পী মো. শাহরিয়ার ইমাম আসিপ।