Image description
 

‘আয়নাঘর’ নামে কুখ্যাতি পাওয়া রাজধানীর গোপন একটি বন্দিশালায় পাওয়া গেছে ভয়ংকর বৈদ্যুতিক চেয়ার। সেই চেয়ারে বসিয়ে নির্যাতন করা হতো গুম হওয়া ব্যক্তিদের।  

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আগারগাঁওয়ে তৈরি একটি নির্যাতনকেন্দ্রে ব্যবহৃত ওই বৈদ্যুতিক চেয়ার আজ বুধবার দেখানো হয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে। আরও দুটি বন্দিশালা ঘুরে দেখেন তিনি। উপদেষ্টা পরিষদের কয়েকজন সদস্য এবং গুম তদন্ত কমিশনের সদস্যরাও এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস অফিস থেকে জানানো হয়।

আগারগাঁওয়ে আয়নাঘর পরিদর্শনে দেখা যায়, বন্দিশালার একটি কক্ষে স্টিলের চেয়ার। সেখানে রয়েছে ইলেক্ট্রিক শকের সব ধরনের ব্যবস্থা। ভুক্তভোগীদের মতে, নির্যাতনের জন্যেই এই চেয়ার ব্যবহার করা হতো। বেশির ভাগ সময়েই ‘হাই ভ্যালু’ বন্দীদের ইলেক্ট্রিক শক দিতে ব্যবহার হতো এই চেয়ার। ডিজিএফআইয়ের কাউন্টার টেরোরিজম ইন্টিলিজেন্স ব্যুরো (সিটিআইবি) ছিল এই আয়নাঘরের দায়িত্বে।

প্রেস অফিস জানায়, প্রধান উপদেষ্টাকে ঢাকার আগারগাঁওয়ের একটি নির্যাতনকেন্দ্রে ব্যবহৃত একটি বৈদ্যুতিক চেয়ার দেখানো হয়। একজন গুমের শিকার ব্যক্তি কচুক্ষেত এলাকায় প্রধান উপদেষ্টাকে নির্যাতন সেলের দেয়াল দেখান।

আয়নাঘরের একটি সেলের দেয়ালে লেখা রয়েছে, ‘লা ইলাহ ইল্লাহ আন্তা সোবহানাকা ইন্নি কুন্তু মিনহাশ জোয়ালেমিন।’ অপর এক সেলের দেয়ালে ওপর-নিচ করে রোমান হরফে তিনটি নম্বর লেখা রয়েছে। এগুলো হলো ‘১৬৩, ১৫০, ১১৩’।

কুখ্যাত বন্দিশালার অপর সেলের দেয়ালে রোমান হরফে রয়েছে ‘জেড ১৭৪’। আরেক টর্চার চেয়ালের কালো রঙের দেয়ালে লেখা রয়েছে অনেক কথাই, যার অধিকাংশই অস্পষ্ট। এ দেয়ালে রোমান হরফে লেখা রয়েছে, ‘আই লাভ মাই ফ্যামিলি’। এ ছাড়া রোমান হরফে ‘১২৩০ দিন’ লেখা রয়েছে। এর নিচে বাংলায় ওপর-নিচ করে মাসুদ ও ইব্রাহিম নাম লেখা রয়েছে। 

গোপন বন্দিশালা পরিদর্শন শেষে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আইয়ামে জাহেলিয়া বলে একটা কথা আছে না, গত সরকার আইয়ামে জাহেলিয়া প্রতিষ্ঠা করে গেছে। এটা (গোপন বন্দিশালা) তার একটি নমুনা।’

May be an image of 6 people