ইউক্রেনের ওডেসায় কয়েকটি ঐতিহাসিক ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। হামলায় গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভবনগুলো। এছাড়া অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। রোববার এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি হামলাটিকে একটি ‘ইচ্ছাকৃত হামলা’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন এবং পুনরায় ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেছেন, হামলার সময় ঐতিহাসিক এলাকায় নরওয়েজিয়ান কূটনীতিকরাও অবস্থান করছিলেন। জেলেনস্কি আরও বলেছেন, ‘এটি সরাসরি শহরের ওপর হামলা, সাধারণ বেসামরিক ভবনগুলোর ওপর হামলা।’
ওডেসা অঞ্চলের গভর্নর ওলেহ কিপার জানিয়েছেন, আহত সাতজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কিপার ও ওডেসার মেয়র হেন্নাদি ট্রুখানভের অনলাইনে শেয়ার করা ছবিতে দেখা গেছে, ১৯শ’ শতকের শেষের দিকে নির্মিত বিলাসবহুল ব্রিস্টল হোটেল হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। হোটেলের বিপরীতে অবস্থিত ওডেসা ফিলহারমনিক কনসার্ট হলও গুরুতর ক্ষতির শিকার হয়েছে। এর বহু জানালা ভেঙে পড়েছে। অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ঐতিহাসিক ওডেসা অপেরা হাউসের কাছাকাছি রাস্তায় ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে রয়েছে। ওই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি জাদুঘরও হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গভর্নর কিপার বলেছেন, তিনটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। যা রাশিয়ার পরিচিত সামরিক কৌশল-একই লক্ষ্যবস্তুর ওপর একাধিকবার আঘাত হানা। তিনি আরও বলেছেন, ‘এবার কংক্রিট ভেদ করতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। যা স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দেয় যে বেসামরিক হোটেলটিকে ইচ্ছাকৃতভাবে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।’
রুশ বাহিনীর সঙ্গে চলমান যুদ্ধে প্রতি মাসে প্রায় ৫০ হাজার সেনা হারাচ্ছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। ছয় মাস ধরে এমন ঘটছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জানুয়ারি মাসে ৫১ হাজার ৯৬০ সেনা হারিয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী, তার আগের মাস ডিসেম্বরে এই সংখ্যা ছিল ৪৮ হাজার ৪৭০ জন এবং নভেম্বরে ছিল ৬০ হাজার ৮০৫ জন। তবে সে তুলনায় নিয়োগে ঘাটতি থেকে যাচ্ছে।