‘আমরা এখন কাকে বাবা বলে ডাকব। আমার বাবা অনেক ভালো মানুষ ছিলেন। আমার ভালো বাবাটাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। আমরা চার বোন এতিম হয়ে গেছি। আমরা বাবার হত্যাকারীদের বিচার চাই।’ কুমিল্লায় যৌথ বাহিনী তুলে নেওয়ার পর মারা যাওয়া যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামের (৪০) বড় মেয়ে তাসফিয়া আক্তার মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে এভাবেই বলছিলেন। তাদের পরিবারের কান্না যেন থামছে না।
মানববন্ধনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তৌহিদুলের স্ত্রী ইয়াসমিন নাহার বলেন, ‘বিনা অপরাধে আমার স্বামীকে সেনাবাহিনী তুলে নিয়ে যায়। এরপর অমানবিক নির্যাতন করে আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। আমি স্বামী হত্যার বিচার চাই। আমার অবুঝ মেয়েগুলোকে যারা এতিম করেছে, তাদের বিচার চাই। আইন যদি সবার জন্য সমান হয়, তাহলে আমরা কেন বিচার পাব না?’ শুধু তৌহিদুলের পরিবার নয়, সর্বস্তরের মানুষ এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়েছেন।
তৌহিদুল ইসলামের (৪০) বাড়িতে এখন কান্নার রোল। কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে স্বজনেরা তার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যান। গতকাল শনিবার দুপুরে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। মাত্র ছয় দিন আগে তৌহিদুলের বাবা মোখলেছুর রহমান (৮৫) বার্ধক্যের কারণে মারা যান। তার কুলখানির আয়োজন করা হয়েছিল গত শুক্রবার। সেটি শেষ পর্যন্ত আর হয়নি। তৌহিদুলের মৃত্যুতে এলোমেলো হয়ে গেছে সবকিছু। পুরো পরিবার এখন বিপর্যস্ত।
তৌহিদুল ইসলাম কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি একই ইউনিয়নের ইটাল্লা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি চট্টগ্রাম বন্দরে একটি শিপিং এজেন্ট কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তারা চার ভাই ও তিন বোন। ভাইদের মধ্যে তৌহিদুল তৃতীয়। তৌহিদুলের মা প্রায় ২০ বছর আগে মারা গেছেন। তার নিজের সংসারে স্ত্রী ও চার মেয়ে আছে। চার জনের মধ্যে বড় মেয়ে তাসফিয়া আক্তারের বয়স ১৪ বছর, অন্যরা এখনো শিশু। বাবার মৃত্যুর খবরে চার দিন আগে চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লায় আসেন তিনি।
গতকাল সন্ধ্যায় কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিকালে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।’ ওসি আরো বলেন, ‘২০১৮ সালে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন করার অপরাধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে তৌহিদুলের বিরুদ্ধে একটি মামলা ছিল। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আর কোনো অভিযোগ নেই।’
শরীরে অসংখ্য নির্যাতনের ক্ষত
তৌহিদুলের শরীরে নির্যাতনের অসংখ্য ক্ষতচিহ্ন থাকার কথা জানিয়েছেন চিকিত্সক ও স্বজনেরা। কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মহিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি এবং ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ হস্তান্তর করেছি। এখন বিষয়টির তদন্ত চলছে।’
তৌহিদুলের ভাই সাদেকুর রহমান বলেন, ‘তাকে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। তার কোমর থেকে পায়ের নিচ পর্যন্ত এমনভাবে পিটিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে যে কালো ফোলা জখমের চিহ্ন রয়েছে। আমার ভাইয়ের পেট, বুক, পিঠ, পা, গলাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে শুধুই নির্যাতনের চিহ্ন।’ তৌহিদুলের ভগ্নিপতি সোহেল মহিউদ্দিন বলেন, ‘কতটা অমানবিক নির্যাতন করে তৌহিদুলকে মেরে ফেলা হয়, তা ভাষায় প্রকাশ করে শেষ করা যাবে না। তার বিরুদ্ধে মামলা তো দূরের কথা, একটি জিডিও ছিল না। আমরা এ ঘটনায় অবশ্যই মামলা করব। থানায় মামলা না নিলে আদালতে যাব। তৌহিদুলের চারটি মেয়ে এতিম হয়ে গেল।’
তৌহিদুল ইসলামের বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমার ভাইকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। যৌথ বাহিনীর সদস্যরা যখন আমাদের বাড়িতে তল্লাশি করে, তখন বারবার বলছিল, অস্ত্র কোথায়। আমরা কোথা থেকে তাদের অস্ত্র দিতাম? ভিত্তিহীন একটি তথ্যে আমার ভাইকে নির্যাতন করে মেরে ফেলল তারা। আমরা এ ঘটনার সঠিক তদন্ত ও বিচার চাই। শরীরে এত নির্যাতন ছিল যে, তাকানোই যাচ্ছিল না।’
তৌহিদুলের আরেক ভগ্নিপতি খান-ই-আলম বলেন, ‘বাড়ির পাশের একটি পরিবারের সঙ্গে তৌহিদুলদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ আছে। আমরা সন্দেহ করছি, তারাই আর্মিকে ভুয়া তথ্য দিয়েছে, তৌহিদুলের কাছে অস্ত্র আছে। আমরা পুরো ঘটনার তদন্ত চাই। যারা ঘটনার নেপথ্যে ছিল, অবশ্যই তাদের আমরা বিচার চাই।’
লাশবাহী গাড়ি রেখে মানববন্ধন, এলাকাবাসীর ক্ষোভ
গতকাল দুপুরে একটি লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে করে কফিনে থাকা তৌহিদুর রহমানের মরদেহ নিয়ে কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সামনে আসেন তার পরিবার ও এলাকাবাসী। তারা প্রতিবাদী সাংবাদিক সম্মেলন ও মানববন্ধন করেন। তৌহিদের স্ত্রী ও স্বজনদের অভিযোগ, মরদেহ গোসল করানোর সময় তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে থেতলানো ও রক্ত জমাটবাধা অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী তৌহিদুলের বাড়িতে ভিড় করেছেন তাকে শেষবারের মতো একনজর দেখার জন্য। উপস্থিত সবাই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে ইটাল্লা গ্রামের সড়কের ওপর লাশবাহী গাড়ি রেখে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন শত শত মানুষ। ঐ যুবদল নেতাকে তুলে নিয়ে ‘নৃশংসভাবে হত্যা’ করা হয়েছে দাবি করেন এলাকাবাসী। চার মেয়েকে নিয়ে কর্মসূচিতে অংশ নেন তৌহিদুলের স্ত্রীও। মানববন্ধনে স্থানীয় বাসিন্দা ফজলুর রহমান বলেন, ‘একজন ভালো মানুষকে তারা তুলে নিয়ে হত্যা করল। আমরা বিষয়টি কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না।’
তৌহিদুল ইসলামের ভাই সাদেকুর রহমান ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘গত ২৬ জানুয়ারি আমার বাবা মারা যান। মৃত্যুর খবর পেয়ে ঐ দিনই চট্টগ্রাম থেকে বাড়িতে আসে আমার ভাই তৌহিদুল ইসলাম। শুক্রবার বাবার কুলখানি ছিল। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে আমরা বাড়িতে কুলখানির আয়োজন নিয়ে কাজ করছিলাম। রাত আড়াইটার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা আমাদের বাড়িতে আসে। তাদের সঙ্গে পুলিশের পোশাক পরা কাউকে দেখিনি, তবে সাদাপোশাকে পাঁচ জন যুবক ছিল। বাড়িতে প্রবেশ করেই তারা তৌহিদুলকে আটক করে। এরপর আমাদের সবার কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে যায়। তারা আমাদের ঘরে ব্যাপক তল্লাশি করে, তবে কিছু পায়নি। আমরা বারবার জিজ্ঞাসা করি, তৌহিদুলকে কেন আটক করছেন? কিন্তু তারা কোনো উত্তর দেয়নি। শুধু বলে, অস্ত্র কোথায়? একপর্যায়ে তারা আমার ভাইকে বাড়ি থেকে ধরে তাদের গাড়িতে করে নিয়ে যায়। এরপর শুক্রবার সকালে আবারও সেনাবাহিনীর সদস্যরা বাড়িতে এসে ব্যাপক তল্লাশি করে, তখনো কিছু পায়নি।’
সাদেকুর রহমান আরো বলেন, ‘শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোরশেদ আলম আমাদের অন্য ব্যক্তির মাধ্যমে কল করে জানান, তৌহিদুলের অবস্থা খুব খারাপ। আমরা যেন দ্রুত কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসি। হাসপাতালে আসার পর দেখি, তৌহিদুল আর নেই।’
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ সাইফুল মালিক বলেন, ‘শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে থানা-পুলিশকে বলা হয় তৌহিদুল ইসলামকে নেওয়ার জন্য। যখন পুলিশের কাছে তৌহিদুলকে হস্তান্তর করা হয়, তখন তিনি অজ্ঞান অবস্থায় ছিলেন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিত্সক তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন। তাকে কেন আটক করা হয়েছিল বা কীভাবে তিনি মারা গেছেন, সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না। আমরা বিষয়টির বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি। আর ময়নাতদন্তে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’
দ্রুত তদন্তের নির্দেশ
নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে কুমিল্লায় যুবদল নেতা মো. তৌহিদুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনার দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। গতকাল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বিবৃতিতে সরকারের এই নির্দেশনার কথা জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে যে কোনো ধরনের নির্যাতন ও হত্যার কঠোর নিন্দা জানায়। জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মানবাধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করাই এই সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য, যেখানে দেশের শীর্ষ মানবাধিকার কর্মীরা সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে রয়েছেন। তৌহিদুলের মৃত্যুর বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
ক্যাম্প কমান্ডার প্রত্যাহার, উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন
সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে যৌথবাহিনীর অভিযানে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলা হতে আটককৃত মো. তৌহিদুল ইসলাম (৪০), একই দিন কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এই অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক ঘটনাটি তদন্তে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে, উক্ত সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডারকে তাত্ক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়াও, মৃত্যুর সঠিক কারণ উদ্ঘাটনের জন্য একটি উচ্চপদস্থ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সেনা আইন অনুযায়ী যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নিরাপত্তা হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন রিজভীর
যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনা প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, কুমিল্লায় যুবদলের একটা ছেলেকে ধরে নিয়ে গিয়ে মৃত অবস্থায় ফিরিয়ে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ড. ইউনূসের আমলে এ ঘটনা ঘটবে কেন? গতকাল দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে ভাসানী মিলনায়তনে ঠিকানা বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির পরিচিতি সভায় এমন প্রশ্ন তুলেছেন রিজভী। রিজভী বলেন, যদি ঐ ছেলেটি অপরাধী হন, তাহলে তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নেওয়া যেত। কিন্তু গ্রেফতার করে ভয়াবহ নির্যাতন করে মেরে ফেলে মা-বাবার কাছে ফেরত দেওয়া—এইটা এ আমলে হবে কেন?
হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্তদের বিচার দাবি
কুমিল্লায় যৌথ বাহিনীর হাতে আটক যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও মানবাধিকার সংগঠন। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এক বিবৃতিতে বলেছে, এ ধরনের ঘটনা মানবাধিকার ও আইনের শাসনের পরিপন্থি। এ ধরনের মৃত্যুর ঘটনা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। পৃথক বিবৃতিতে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) বলেছে, নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে আনা নির্যাতনে মৃত্যুর অভিযোগের বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত, যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। এদিকে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে এ ধরনের অমানবিক নির্যাতন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড দেশবাসীর জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয় বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ। যৌথ বাহিনীর অভিযানের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি।
নির্যাতনের পরে হত্যার যে অভিযোগ উঠেছে তার লক্ষণ ভালো নয় বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। তিনি বলেন, দেশের মানুষ সরকারের কাছে তার আটকের কারণ জানতে চায়। একজন নাগরিককে যদি কোনো কারণে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেই তবে তার শরীরে নির্যাতনের ক্ষতচিহ্ন কেন থাকবে? তবে কি নির্যাতন করে হত্যার উদ্দেশ্যে তৌহিদুল ইসলামকে যৌথ বাহিনী আটক করেছিল?