নির্যাতন-নিপীড়ন, ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন ও হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ কাঁধে নিয়ে অনেক স্বৈরশাসক জনরোষের মুখে ক্ষমতা ছেড়েছেন। কেউবা দেশ ছেড়েই পালিয়েছেন। কিন্তু প্রত্যর্পণ থেকে রেহাই পারেননি। শুধু প্রত্যর্পণই নয়; অনেকে নিজ দেশে গ্রেপ্তার হয়ে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর হয়েছেন। তেমনিই কয়েকজন স্বৈরশাসককে নিয়ে এ আয়োজন।
স্বৈরশাসকেরা প্রায়ই মনে করেছেন, ক্ষমতা হারানোর পর অন্য দেশে আশ্রয় নেওয়া মানেই নিরাপত্তা। নির্বাসন, পালিয়ে যাওয়া বা রাজনৈতিক আশ্রয়—তাঁদের জন্য একধরনের নিরাপদ স্বর্গ মনে হয়েছে। কিন্তু ইতিহাস বারবারই দেখিয়েছে, এই শাসকেরা কখনো পুরোপুরি দায়বোধ থেকে মুক্ত হতে পারেননি। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, স্থানীয় আদালত ও জাতিসংঘ-সমর্থিত ট্রাইব্যুনালগুলোর চাপের কাছে শেষ পর্যন্ত তাঁদের আশ্রয়দাতারাও নতি স্বীকার করেছেন।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে এমন স্বৈরশাসকদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ, প্রত্যর্পণ ও বিচারপ্রক্রিয়া সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক:

হিসেনে হ্যাব্রে
চাদের সাবেক নেতা হিসেনে হ্যাব্রে ক্ষমতায় ছিলেন ১৯৮২ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত। তাঁর শাসনকাল ছিল এককথায় অমানবিক ও দমনমূলক। গোপন পুলিশ ‘ডিডিএস’ ব্যবহার করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, নির্দিষ্ট জাতিগোষ্ঠী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়।
৪০-৫০ হাজার মানুষ ডিডিএসের হাতে গ্রেপ্তার, নির্যাতন বা হত্যার শিকার হয়েছিলেন। ফ্রান্স ও অন্য পশ্চিমা দেশগুলো হ্যাব্রেকে প্রাথমিকভাবে সমর্থন করলেও ক্ষমতা হারানোর পর তিনি সেনেগালে নির্বাসনে যান। প্রথম দিকে শান্তিপূর্ণ জীবন উপভোগ করলেও ২০০০ সালে সেনেগালে গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের পর তাঁর অবস্থান অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। মানবাধিকার সংস্থা ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের চাপের মুখে সেনেগাল সরকার ‘এক্সট্রা অর্ডিনারি আফ্রিকান চেম্বার্স’ গঠন করে হ্যাব্রেকে বিচার করার জন্য গ্রেপ্তার করে।
মামলার সময় প্রায় ৯৩ জন সাক্ষীর জবানবন্দি নেওয়া হয়। ডিডিএসের গোপন নথিপত্র ব্যবহার করে প্রতিটি হত্যাকাণ্ড, অপহরণ ও নির্যাতনের প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়। আদালত ভুক্তভোগীদের সাক্ষ্যকে বিশেষ গুরুত্ব দেন। ২০১৬ সালের ৩০ মে আদালত তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। ২০১৭ সালে আপিল আদালত সেই দণ্ড বহাল রাখেন। আদালত ভুক্তভোগীদের জন্য ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করতে নির্দেশ দেন; যাতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা আর্থিকভাবে পুনর্বাসনের সুযোগ পান। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ উভয় সংস্থা এ রায়কে মানবাধিকার ইতিহাসের মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেছে।

চার্লস টেইলর
লাইবেরিয়ার চার্লস টেইলর দেশটিতে গৃহযুদ্ধের সময় প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। অভিযোগ ওঠে, সে সময় আরইউএফ বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে অস্ত্র, অর্থ, সমর্থন দিয়েছেন তিনি; যা সিয়েরা লিওনের নাগরিকদের হত্যায় ব্যবহৃত হয়েছে।
লাইবেরিয়ার গৃহযুদ্ধ অবসানে আন্তর্জাতিকভাবে মধ্যস্থতাকৃত একটি শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে ২০০৩ সালে টেইলর নাইজেরিয়াতে নির্বাসনে গিয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে তাঁর আশ্রয়দাতারা (নাইজেরিয়া) তীব্র পশ্চিমা চাপের মুখে তাঁকে সিয়েরা লিওনের বিশেষ আদালতের (স্পেশাল কোর্ট ফর সিয়েরা লিওন) কাছে হস্তান্তর করে।
মামলার বিচার চলাকালে ৮০০ জনের বেশি সাক্ষী উপস্থিত ছিলেন। আদালত তাঁকে ১১টি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেন। ২০১২ সালে ৫০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাঁকে।
গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জেরে ১৯৫৮ সালে ভেনেজুয়েলার মার্কোস পেরেজ ক্ষমতা হারান। তিনি প্রথমে ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র, পরে যুক্তরাষ্ট্র ও এরপর স্পেনে আশ্রয় নেন। ১৯৬৩ সালে স্পেন আন্তর্জাতিক চাপের মুখে তাঁকে ভেনেজুয়েলায় প্রত্যর্পণ করে। রাজনৈতিক দুর্নীতি, নিপীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে আদালতে তাঁর বিচার হয়।

মার্কোস পেরেজ
ভেনেজুয়েলার মার্কোস পেরেজ হিমেনেজ ১৯৫২-১৯৫৮ পর্যন্ত দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তাঁর শাসন পদ্ধতি ছিল সামরিক ও স্বৈরশাসনের কায়দায়। কঠোর নিয়ন্ত্রণ, রাজনৈতিক দমন ও গণমাধ্যমের ওপর নজরদারি ছিল বিশেষভাবে লক্ষণীয়। নাগরিক অধিকার ছিল সীমিত এবং বিরোধী দল ও সাংবাদিকদের ওপর চলত হুমকি-ধমকি, গ্রেপ্তার। যদিও তাঁর আমলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়, কিন্তু মানবাধিকার লঙ্ঘন ছিল প্রবল।
১৯৫৮ সালে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে মার্কোস পেরেজ ক্ষমতা হারান। তিনি প্রথমে ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র, পরে যুক্তরাষ্ট্র ও এরপর স্পেনে আশ্রয় নেন। ১৯৬৩ সালে স্পেন আন্তর্জাতিক চাপের মুখে তাঁকে ভেনেজুয়েলায় প্রত্যর্পণ করে। রাজনৈতিক দুর্নীতি, নিপীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে আদালতে তাঁর বিচার হয়।
এর আগে ভেনেজুয়েলায় পৌঁছানোর পর পেরেজকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে রাখা হয় এবং তাঁর বিচার শুরু হতে আরও পাঁচ বছর লেগে যায়। অর্থ তছরুপের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়ে চার বছরের কারাদণ্ড পেলেও তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। কারণ, তিনি বিচার শুরুর আগেই জেলখানায় এর চেয়ে বেশি সময় কাটিয়েছেন। এরপর স্পেনে নির্বাসিত করা হয় তাঁকে।

লুইস গার্সিয়া মেজা
বলিভিয়ার লুইস গার্সিয়া মেজা ১৯৮০-১৯৮১ সালে সামরিক শাসক ছিলেন। তাঁর শাসনামলে রাজনৈতিক হত্যা, বন্দীদের ওপর নির্যাতন, দমনমূলক নীতি অনুসরণ এবং কোকেন-ভিত্তিক অর্থনৈতিক অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ ওঠে।
ক্ষমতা হারানোর পর লুইস গার্সিয়া আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলে আশ্রয় নেন। তবে ব্রাজিলের পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে ১৯৯৫ সালে বলিভিয়ায় প্রত্যর্পণ করে। আদালত তাঁকে ৩৬টি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত ও সর্বোচ্চ ৩০ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন।
গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিচার শুরু হলেও যুগোস্লাভ নেতা মিলোসেভিচের অসুস্থতাসহ নানা কারণে এটি বিলম্বিত হয়। দীর্ঘ সময় ধরে চলা শুনানিতে হাজার হাজার নথি, সাক্ষীর বর্ণনা ও সামরিক নথিপত্র যাচাই করা হয়। ২০০৬ সালের ১১ মার্চ তাঁকে কারাগারে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

স্লোবোদান মিলোসেভিচ
স্লোবোদান মিলোসেভিচ সার্বিয়া ও পরে (১৯৯৭-২০০০ সাল) যুগোস্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় ছিলেন। তাঁর শাসনামল ছিল জাতীয়তাবাদী নীতি ও নানা হুমকিতে ভরা। ১৯৯০-এর দশকে ক্রোয়েশিয়া, বসনিয়া ও কসোভোতে জাতিগত শুদ্ধি অভিযান এবং গণহত্যা চালানোর জন্য আন্তর্জাতিকভাবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে।
যুগোস্লাভিয়া ভেঙে পড়ার সময় মিলোসেভিচকে রাজনৈতিক ও সামরিক অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে আটক করা হয়। ২০০১ সালে সার্বিয়ার পুলিশ তাঁকে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল ট্রাইব্যুনাল ফর যুগোস্লাভিয়ায় (আইসিটিওয়াই) হস্তান্তর করে।
গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিচার শুরু হলেও মিলোসেভিচের অসুস্থতাসহ নানা কারণে এটি বিলম্বিত হয়। দীর্ঘ সময় ধরে চলা শুনানিতে হাজার হাজার নথি, সাক্ষীর বর্ণনা ও সামরিক নথিপত্র যাচাই করা হয়। ২০০৬ সালের ১১ মার্চ তাঁকে কারাগারে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
মিলোসেভিচ মৃত্যুবরণ করায় তাঁর বিরুদ্ধে রায় কার্যকর হয়নি ঠিক, তবে আইসিটিওয়াইয়ের প্রক্রিয়াটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে বিচারকাজ পরিচালনা ও রাষ্ট্রপ্রধানদের বিচার করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নজির হিসেবে বিবেচিত হয়।

অগাস্তো পিনোশে
অগাস্তো পিনোশে ১৯৭৩ সালে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে চিলির ক্ষমতায় আসেন। তাঁর শাসনামলে বিরোধীদের হত্যা ও কারাবন্দী করা হয় এবং হাজারো নাগরিককে নির্যাতনের শিকার হতে হয়। ১৯৯০ সালে তিনি শান্তিপূর্ণভাবে পদত্যাগ করেন ও নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট পাত্রিসিও আইলউইন আজোকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
তবে পিনোশে ক্ষমতায় থাকাকালে করা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো থেকে বাঁচতে পারেননি। ১৯৯৮ সালে গ্রেট ব্রিটেনে তাঁকে গৃহবন্দী রাখা হয়। কিছু শারীরিক জটিলতার কারণে দুই বছর পর তাঁকে চিলিতে ফিরতে দেওয়া হয়।
এরপরও আইনি লড়াই চলতে থাকে। পিনোশের স্বাস্থ্যের দ্রুত অবনতি ঘটছিল তখন। ২০০৬ সালের ৩ ডিসেম্বর ৩৬টি অপহরণ, ২৩টি নির্যাতন ও ১টি হত্যার অভিযোগে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত হওয়ার দুই মাসের কম সময়ের মধ্যে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন তিনি। ১০ ডিসেম্বর নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে তিনি মারা যান।
দেশেই গ্রেপ্তার ও আদালতে হস্তান্তর
কম্বোডিয়ার খিউ সাম্পান ১৯৭৫-১৯৭৯ সালে খেমাররুজ সরকারের নেতা ছিলেন। এই সময়কালে প্রায় ১৭ লাখ মানুষ নিহত হন। খেমাররুজ শাসনের সময় ব্যাপক রাজনৈতিক হত্যা, শ্রমশিবির এবং প্রায়ই অমানবিক কার্যকলাপ চলে।
২০০৭ সালে খিউ সাম্পানকে এক্সট্রা অর্ডিনারি চেম্বার্স ইন দ্য কোর্টস অব কম্বোডিয়াতে (ইসিসিসি) গ্রেপ্তার করা হয় ও বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৪ সালে এ আদালত তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। জাতিসংঘ-সমর্থিত আদালতে এ মামলার বিচার আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়। কারণ, এটি প্রমাণ করে যে দীর্ঘস্থায়ী নির্বাসনও স্বৈরশাসককে বিচারের হাত থেকে রক্ষা করতে পারে না।
ভুক্তভোগীরা আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে তাঁদের অমানবিক অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন; যা বিচারকে ন্যায্য ও প্রমাণভিত্তিক করেছে।
এদিকে আইভরি কোস্টের লরাঁ ব্যাগবো ২০০০-২০১০ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০১০ সালের নির্বাচনের পর তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক সহিংসতা, হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগ ওঠে। ২০১১ সালের এপ্রিলে আটক করে দ্য হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) তাঁকে হস্তান্তর করা হয়।
এ বিচারপ্রক্রিয়া ছিল জটিল। কারণ, রাজনৈতিক উত্তেজনা, নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা ও আন্তর্জাতিক চাপ একটি ভারসাম্যপূর্ণ রায় নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছিল। আইসিসির তদন্তে অনেক সাক্ষী, নথিপত্র ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অন্তর্ভুক্ত ছিল।
আইসিসি ব্যাগবোর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি অভিযোগ আনে। অভিযোগ ছিল, তিনি হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতা, নিপীড়ন, মানবতাপরিপন্থী অন্যান্য কর্মকাণ্ডে ‘পরোক্ষ সহ-অপরাধী’ হিসেবে জড়িত ছিলেন। নাটকীয়ভাবে ২০১৯ সালের ১৫ জানুয়ারি আইসিসি বিচারকেরা তাঁকে অভিযোগ থেকে খালাস দেন।
তবে আইভরি কোস্টের একটি আদালতে ব্যাগবোকে অর্থ তছরুপ ও অন্যান্য অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
পরিশেষে বলতে হয়, এই স্বৈরশাসকদের বিচার আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারে নজির তৈরি করেছে। আদালত প্রমাণ করেছেন যে রাষ্ট্রপ্রধান হওয়া, নির্বাসন বা রাজনৈতিক আশ্রয় থাকা মানেই অপরাধের দায় থেকে মুক্তি নয়। ভুক্তভোগীদের সাক্ষ্য এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সক্রিয় ভূমিকা তাঁদের বিচার করাকে বৈধতা ও ন্যায্যতা দিয়েছে।
এই স্বৈরশাসকদের বিচারপ্রক্রিয়া অনেক ক্ষেত্রে দীর্ঘ হলেও এটি শেষ পর্যন্ত ন্যায় প্রতিষ্ঠা করেছে এবং ভুক্তভোগীদের জন্য ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের পথ খুলে দিয়েছে।
[তথ্যসূত্র: বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান, আল-জাজিরা, রয়টার্স, ডয়চে ভেলে, এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ]