Image description

চলতি বছরের মে মাসে ভারতের সঙ্গে চারদিনের সামরিক সংঘাতে পাকিস্তান ‘সফল’ বা কার্যত ‘জয়ী’ হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি কমিশন। বুধবার (১৯ নভেম্বর) কমিশনটি তাদের তদন্ত–প্রতিবেদন মার্কিন কংগ্রেসের কাছে জমা দিয়েছে। এতে ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধ এবং এ সংঘাতে চীনের সম্পৃক্ততা বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

‘দ্য ইউএস–চায়না ইকোনোমিক অ্যান্ড সিকিউরিটি রিভিউ কমিশন ২০২৫’ শীর্ষক এই প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের মে মাসের যুদ্ধ ছিল গত পঞ্চাশ বছরে দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র লড়াই। এর পটভূমিতে ছিল গত এপ্রিলে জম্মু–কাশ্মিরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা, যাতে ২৬ জন নিহত হন। ওই হামলার জন্য দায়ী করে ৭ মে পাকিস্তানের ভেতরে অভিযানে যায় ভারত, যার জবাবে পাল্টা হামলা শুরু করে পাকিস্তান—এভাবেই চারদিনের যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে।

প্রতিবেদন বলছে, এই সংঘাতে দুই দেশ গত অর্ধশতকে একে–অপরের ভেতরে সবচেয়ে গভীর হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তান চীনা অস্ত্র ব্যবহার করেই এ যুদ্ধে উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখাতে সক্ষম হয়েছে—যা এসব অস্ত্রের কার্যকারিতাও সামনে নিয়ে এসেছে। যুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তান চীনের সরবরাহ করা গোয়েন্দা তথ্যও ব্যবহার করেছে বলে উল্লেখ করা হলেও, পাকিস্তান এ দাবি এখনো স্বীকার করেনি।

ভারতের বিরুদ্ধে এ সংঘাতে পাকিস্তান চীনের জে–১০ যুদ্ধবিমান, পিএল–১৫ আকাশ–থেকে–আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র এবং এইচকিউ–৯ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ যুদ্ধ সরাসরি এসব চীনা অস্ত্রের বাস্তব পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ তৈরি করেছে।

এছাড়া চীন বর্তমানে পাকিস্তানের মোট সামরিক অস্ত্রের প্রায় ৮২ শতাংশ সরবরাহ করে—এ তথ্যও জানিয়েছে মার্কিন কমিশনটি।