Image description

ঢাকা কলেজের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কনসার্টে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে বর্জনের ডাক দিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সংগঠক মোহাম্মদ রাকিব। বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাতে নিজের ফেসবুক ওয়ালে দেয়া এক পোস্টে তিনি এ ডাক দেন।

মোহাম্মদ রাকিব লিখেছেন, আগামীকাল (২০ নভেম্বর) ঢাকা কলেজের ১৮৫ বছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ঐতিহ্য সুরের কনসার্টে প্রধান অতিথি হিসবে দাওয়াত পাওয়া ছাত্র উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে বর্জন করলাম। যে উপদেষ্টা ছাত্রদের প্রতিনিধি হওয়ার কথা ছিলো, তা না করে এক বছর রাজনীতি করে গেছে।

তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় কথা হলো তিনি ছাত্রদের হিস্যা বুঝিয়ে দেন নাই। লাখ লাখ ছাত্রদের ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করেছেন।আমার ক্যাম্পাসের কেউ না তিনি।তিনি কিভাবে ঢাকা কলেজ এর কনসার্টে আসেন। তাকে এর আগে কয়েকবার ঢাকা কলেজ এর বিভিন্ন প্রোগ্রামে আমন্ত্রিত করা হলেও সে আসেনি।এখন রাজনীতি করার জন্য আসতে পারেন না।

সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও ঢাকা কলেজের এই শিক্ষার্থী বলেন, আমি রাকিব আমাদের ঢাকা কলেজ এর কোনো হিস্যা কোথাও বুঝে পাইনি।জুলাই মুভমেন্ট থেকে যখন ঢাবির ক্যাম্পাস বন্ধ হয়ে যায় তখন জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে ত্বরান্বিত করে মাদ্রাসা,প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকার সবগুলো কলেজ ও স্কুলের ছোট ছোট বাচ্চারা।

মোহাম্মদ রাকিব লেখেন, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদকে ছাত্রদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো কিন্তু আপনারাই বলেন কি পেয়েছেন তার থেকে? সে এখন ঢাকা -১০ এ নির্বাচন করবেন সেজন্য অপ্রাসঙ্গিক প্রোগ্রামেও তার আসতে হবে এসমস্ত রাজনীতি ঢাকা কলেজ করতে দিবে না।আরও বিস্তারিত লিখবো। শুধু বলতে চাই আপনি ঢাকা কলেজে অপ্রাসঙ্গিক।

তিনি বলেন, ‘জুলাইয়ের উপর ভর করে জুলাই গণঅভ্যুত্থান বাস্তবায়ন না করার ব্যর্থতার দায় একদিন নিতে হবে। ‘Sorry I couldn't invite you to the Dhaka College concert. Honourable advisor asif Mahmud bro’। বিশেষ দ্রষ্টব্য— তার সাথে আমার ব্যক্তিগত কোনো খারাপ সম্পর্ক নাই। কিন্তু আমি আমার ক্যাম্পাসে এই মুহূর্তে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ভাইকে অপ্রাসঙ্গিক মনে করছি।‘

ঢাকা কলেজের মোহাম্মদ ইউসুফ নামের আরেক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ‘অভ্যুত্থান এর পরবর্তীতে অনেক প্রাসঙ্গিক বিষয়ে, ঢাকা কলেজের কত অনুষ্ঠান, কত প্রোগ্রাম হলো—একবারও আসিফ মাহমুদ সজিব ভূইয়াকে দাওয়াত দিলে সে আসেনি। তাহলে এখন কেন আসবে? কারণ সামনে নির্বাচন, ঢাকা-১০ আসনে নির্বাচন করতে ঢাকা কলেজকে ম্যানেজ করতে হবে—তাই হঠাৎ করে রাজনীতি মনে পড়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আমার প্রশ্ন হলো-আমরা কেন তাকে আবার ঢাকা কলেজে স্পেস দেব? মাত্র ২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ঢাকা কলেজকে ‘ম্যানেজ’ করা যায়—এমন ধারণা কি তৈরি করতে চাই।’