Image description
 

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, রাশিয়া এবং ইরানের মধ্যে সই হওয়া কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি পশ্চিমা শক্তির বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ।  তার দাবি, পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে মস্কো এবং তেহরান স্বাধীন নীতি বাস্তবায়নে সক্ষম।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে মেহর নিউজ।

ইরান বলছে, আলোচিত কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি দু দেশের জন্য একটি নতুন যুগের সূচনা। যেখানে তারা একে অপরকে পূর্ণ সহযোগিতা এবং সমর্থন দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এই চুক্তি মিত্র দুটি দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি, তাদের পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও গভীর করার পথ প্রশস্ত করবে।  

 

কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি সম্পর্কে পেজেশকিয়ান বলেন, এই চুক্তি প্রমাণ করে যে দুই দেশ একে অপরের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক বজায় রাখতে প্রস্তুত। যদি তারা বাইরের কোনো নির্দেশনা অনুসরণ করতো, তাদের নীতি অনেকবার পরিবর্তিত হতো।

তিনি বলেন, এটি প্রমাণিত হয়েছে যে আমরা স্বাধীনভাবে নীতি অনুসরণ করতে পারি এবং আমাদের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।

১৭ জানুয়ারি, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইরানি প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান ক্রেমলিনে বৈঠক শেষে এই কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি সই করেন। এই চুক্তি নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই, শক্তি, অর্থনীতি, পরিবহন, শিল্প, কৃষি, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে।

তিনি আরো বলেন, মস্কো এবং তেহরান নিজেদের স্বাধীন নীতি অনুসরণ করতে সক্ষম এবং এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনতে একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।  আমরা পশ্চিমের সাহায্য ছাড়াই নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধন করতে পারি।

যুক্তরাষ্ট্র বিশেষভাবে ইরানের মধ্যপ্রাচ্যে বাড়তি প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন।  আর এই অংশীদারিত্ব রাশিয়ার অবস্থানকেও শক্তিশালী করতে পারে।  তবে এ নিয়ে হোয়াইট হাউস এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি।