
কানাডার মাটিতে এক শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে তলানিতে পৌঁছে যাওয়া ভারত-কানাডা সম্পর্কের বরফ ধীরে ধীরে গলছে। প্রথমবারের মতো ভারত সফরে গেছেন কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অনিতা আনন্দ।
দু'দিনের এই সরকারি সফরে রোববার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে পৌঁছান তিনি। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, আনন্দের এই দিল্লি সফর ভারত-কানাডা সম্পর্কের ইতিবাচক গতি বাড়াতে সহায়তা করবে।
এর মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় ব্যবস্থাকে পুনরুজ্জীবিত করা যাবে, অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও দৃঢ় হবে এবং দুই দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ আরও শক্তিশালী হবে।
সফরকালে সোমবার দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও বৈঠক করেছেন আনন্দ।
জয়শঙ্করের সঙ্গে আনন্দর বৈঠকে কয়েকদফা পদক্ষেপ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ নিয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনা শুরু করার বিষয়টিও।
দুই মন্ত্রীর যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এই অংশীদারিত্ব পুনরুজ্জীবীত করলে তা কেবল অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানো সুযোগই সৃষ্টি করবে না বরং বৈশ্বিক জোট পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট দুর্বলতাও কমাবে।”
সফরকালে কানাডায় ভারতের বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান নিয়েও আলোচনার কথা রয়েছে অনিতার।
২০২৩ সালে খলিস্তানপন্থি শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডে 'ভারতীয় এজেন্টের' জড়িত থাকার অভিযোগ করেছিলেন কানাডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। যার পরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক সর্বকালের সর্বনিম্নে পর্যায়ে পৌঁছেছিল।
গত বছরের অক্টোবরে অটোয়ায় নিজ্জর মামলার জেরে কানাডায় অবস্থিত হাইকমিশ থেকে হাইমিশনার এবং আরও পাঁচ কূটনীতিককে ভারত ফিরিয়ে নিয়েছিল।
ভারতও কানাডিয়ান কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছিল। তবে মার্ক কার্নি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ফের বরফ গলতে শুরু করেছে দুই দেশের সম্পর্কে। এ পরিস্থিতিতে অনিতা আনন্দের ভারত সফর তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।