
২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে আবারও স্থলমাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না, সূত্র নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে বিস্ফোরণের পর বন্য হাতির চিৎকারের শব্দ শুনতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা।
আজ সোমবার বাংলাদেশ–মিয়ানমার সীমান্তের ৪২ নম্বর পিলারের নাইক্ষ্যংছড়ি জোনের কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির নিকুছড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ বিপি-৪২-সংলগ্ন পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে গতকাল রোববার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাঁড়ি বিওপির এলাকায় টহলের সময় স্থলমাইন বিস্ফোরণে ৩৪ বিজিবির নায়েক মো. আকতারের ডান পায়ের গোড়ালি উড়ে যায় এবং বাম পা ক্ষতবিক্ষত হয়। আজ তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা সিএমএইচ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান বিজিবি সেক্টর কমান্ডার (রামু) কর্নেল মহিউদ্দিন।
সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুরের দিকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ড থেকে অন্তত ২৫০ মিটার দক্ষিণে মিয়ানমার অভ্যন্তরে আরাকান আর্মির (এএ) দখল করা অংজু ক্যাম্প এলাকায় স্থলমাইনটি বিস্ফোরণ হয়।
আবদুল সালাম নামের এক কলাচাষি জানান, তিনি তখন কলাবাগানে কাজ করছিলেন। সীমান্তঘেঁষা আরাকান আর্মির দখল করা অংজু ক্যাম্পসংলগ্ন জিরো লাইনে বিকট শব্দ শোনার সঙ্গে সঙ্গে একটি বন্য হাতি চিৎকার দিয়ে ওঠে। তবে দুর্গম ও জনশূন্য এলাকা হওয়ায় সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো প্রাণীর পায়ে লেগে এ মাইন বিস্ফোরণ হয়েছে কি না, জানা যায়নি। তাঁর ধারণা, হাতির পায়ে লেগে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে এবং হাতিটি আহত হয়ে মিয়ানমারের দিকে চলে যায়।
এদিকে ঘুমধুমের বাইশফাঁড়ি সীমান্তে নো-ম্যান্স ল্যান্ডে স্থলমাইন বিস্ফোরণের পর আজ সেনাবাহিনীর ৩০ সদস্যের মাইন ডিসপোজাল টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায়। দলটি প্রথমে বিজিবি ক্যাম্পের দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার-৪০-সংলগ্ন প্রস্তাবিত রেজু আমতলী বিজিবির নতুন স্থান পেয়ারা বুনিয়া দেখতে যায়। সেখানে তারা মূলত পরিত্যক্ত একটি হ্যান্ড গ্রেনেড ও মর্টার শেল পরীক্ষার উদ্দেশ্যে যায়। পরিদর্শন শেষে সেনাসদস্যরা বিকেলে রামু সেনানিবাসে ফিরে যান।
এ বিষয়ে ৩৪ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল খাইরুল আলমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তিনি নেটওয়ার্কের বাইরে অবস্থান করায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।