Image description
গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর : সেনা সরাচ্ছে ইসরাইল, গাজা ও তেল আবিবে আনন্দ-উল্লাস, থাকছে আশঙ্কাও মধ্যপ্রাচ্যে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে তুরস্ক

দীর্ঘ দুই বছর নৃশংস গণহত্যা চালানোর পর অবশেষে গাজা উপত্যকার কয়েকটি এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে ইসরাইল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিন ধাপে গাজা ভূখ- থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হবে। তবে সেনা প্রত্যাহার শুরু হলেও গাজার ৫০ শতাংশের বেশি এলাকা এখনো ইসরাইলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

গতকাল যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর উত্তর গাজার দিকে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি রওনা দেন ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি দেখতে। তারা আগাম কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। গাজার প্রায় ২২ লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় সবাই ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরাইলের বিধ্বংসী হামলার কারণে স্থানচ্যুত হয়েছে। হামাসের সীমান্ত পেরিয়ে ইসরাইলের বসতি ও সামরিক স্থাপনায় হামলার পর ইসরাইলি আক্রমণ শুরু হয়, যা গাজাকে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত করেছে। ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর তথ্যমতে, শুক্রবার দুপুর ১২টা (জিএমটি ০৯০০) থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। ঘোষণার পর গাজার উত্তরাঞ্চলে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে অবস্থিত সাবেক বাড়ি দেখার জন্য ফিলিস্তিনিরা সমুদ্রপথের সড়ক ধরে ফিরে যেতে শুরু করেন, যখন ইসরাইলি সেনারা অঞ্চল থেকে সরে যাচ্ছিল। এ যুদ্ধবিরতি দেবে ক্ষয়ক্ষতির পর কিছু স্বস্তি, তবে গাজার মানুষের সামনে এখনও মানবিক সংকট ও পুনর্গঠনের বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে।

টানা দুই বছর ধরে ইসরাইলের হামলায় শোকে কাতর হয়ে পড়া গাজাবাসী যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর বাড়ি ফিরতে পেরে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছে। খান ইউনিস থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরপরই হাজার-হাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি গাজা অভিমুখে যাত্রা করে। প্রথমে ভয় পেলেও বিপুল সংখ্যক ফিলিস্তিনি গাজা সিটির পথে রওনা হয়। মধ্য গাজার অপেক্ষাকৃত নিরাপদ এলাকা থেকে দলবেঁধে হেঁটে গাজা সিটির দিকে যাচ্ছে তারা।

রাস্তায় হাঁটার সময় লোকজন আনন্দে ‘আল্লাহু আকবার’ সেøাগান দিচ্ছে, উল্লাস করছে এবং অনেকে শিস বাজিয়ে আনন্দ প্রকাশ করছে। বাস্তুচ্যুত গাজা সিটির ৪০ বছর বয়সী ইব্রাহিম আল-হেলু বলেন, আমি আবেগাপ্লুত হলেও সতর্ক ছিলাম। পরিস্থিতি বিপজ্জনক ছিল, গুলিবর্ষণ হচ্ছিল, সে কারণে আমি একটু অপেক্ষা করে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করছিলাম। তিনি আরো বলেন, রাস্তায় কোনো বাধা নেই, এখন আমরা গাজায় আমাদের বাড়ি ফিরে সেখানকার পরিস্থিতি দেখার উদ্দেশ্যে একসঙ্গে রওনা দিয়েছি।

গাজার বাসিন্দারা স্থানীয় সংবাদদাতাদের জানিয়েছেন, ইসরাইলি বাহিনী গাজা সিটির উত্তর-পশ্চিম প্রান্ত থেকে পূর্ব দিকে সরে গেছে। ইসরাইলি গণমাধ্যমও নিশ্চিত করেছে, প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) গাজার কিছু অংশ থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, সেনারা এমন স্থানে ফিরে যাবে, যেখানে ইসরাইল গাজা উপত্যকার প্রায় ৫৩ শতাংশের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক পোস্টে বলেছেন, ‘একটি নির্ধারিত সীমারেখা পর্যন্ত সেনা প্রত্যাহার করা হবে।’ গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউস একটি মানচিত্র প্রকাশ করে জানায়, কোন কোন এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হবে। মানচিত্রে হলুদ রেখা দিয়ে ইসরাইলি বাহিনীর প্রাথমিক প্রত্যাহারের সীমারেখা দেখানো হয়, যা তিন ধাপের প্রথম ধাপ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

গাজা ও তেল আবিবে আনন্দ-উল্লাস, থাকছে আশঙ্কাও : যুদ্ধ বন্ধে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে সমঝোতা চুক্তির ঘোষণা আসার পর গাজায় ফিলিস্তিনিরা শোক আর ধ্বংসস্তূপের মাঝেও আনন্দ-উল্লাস করেছেন। কেবল গাজায় নয়, আনন্দ-উল্লাস চলছে ইসরাইলের তেল আবিবেও। জিম্মি পরিবারগুলোর সদস্যরাও আনন্দ উদযাপনে রাস্তায় নেমে এসেছেন।

দুই বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে ইসরাইলের অবিরাম বোমা বর্ষণে গাজার মানুষের প্রাণ হয়ে উঠেছিল ওষ্ঠাগত। যুদ্ধবিরতির এই ঘোষণা তাদের মধ্যে খানিকটা হলেও স্বস্তি এনে দিয়েছে। চুক্তির খবরে কেউ খুশিতে কাঁদছেন-হাততালি দিচ্ছেন, কেউ বাঁশি বাজাচ্ছেন, কেউ গান গাইছেন, নাচানাচি করছেন এবং চিৎকার করে বলছেন ‘আল্লাহু আকবর’। অবরুদ্ধ গাজায় চুক্তির কথা ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের বাসিন্দারা বুধবার রাতেই রাস্তায় নেমে উদযাপন শুরু করেন। চুক্তির খবরে ফিলিস্তিনিরা ও ইসরাইলে জিম্মিদের পরিবারগুলোও আনন্দ উদযাপন করছেন।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে আনন্দে আত্মহারা আব্দুল মজিদ আব্দ রাব্বো রয়টার্সকে বলেন, ‘এই যুদ্ধবিরতির জন্য, রক্তপাত ও হত্যাকা- বন্ধের জন্য আল্লাহকে ধন্যবাদ। শুধু আমিই খুশি না, পুরো গাজার মানুষ খুশি। এই রক্তপাত বন্ধে যুদ্ধবিরতি হওয়ায় আরবের সব মানুষ ও পুরো বিশ্ব খুশি। আমাদের পক্ষে যারা দাঁড়িয়েছেন সবাইকে ধন্যবাদ ও ভালোবাসা।’ ইমান আল কৌকা নামের এক তরুণী বিশ্বাসই করতে পারছেন না যে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘আজ আমাদের আনন্দের দিন, আজ আমাদের দুঃখেরও দিন। এটা এমন দিন যার জন্য আমরা হাসব-আবার যুদ্ধে আমরা যাদের হারিয়েছি, যা যা হারিয়েছি- সেসব স্মরণ করে কাঁদব। আমরা শুধু আমাদের বন্ধু, স্বজন এবং বাড়িঘরই হারাইনি। আমরা আমাদের শহর হারিয়েছি। এই যুদ্ধের মাধ্যমে ইসরাইল আমাদের প্রাগৈতিহাসিক আমলে ঠেলে দিয়েছে।’

ইসরাইলি বাহিনীর বোমায় বাড়িঘর হারিয়ে গত বছর খান ইউনিসের দেইর আল বালাহ এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন গাজার অপর বাসিন্দা আহমেদ দাহমান। রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘অবশেষে গাজায় রক্তপাত বন্ধ হচ্ছে এবং আমাদের জীবন রক্ষা পাচ্ছে- এটা আনন্দের খবর। তবে আমি যুদ্ধ-পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে কিছুটা শঙ্কিত। আমরা যখন ফিরব, তখন দেখব যে কিছুই আর অবশিষ্ট নেই।’ চুক্তির খবর শুনে ইসরাইলের তেল আবিবে তথাকথিত জিম্মি চত্বরে গাজায় হামাসের হাতে বন্দি এক জিম্মির মা আইনভ জাঙ্গাউকার অত্যন্ত আনন্দিত ছিলেন। উদযাপনের লাল অগ্নিশিখার আলোতে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘আমি দম নিতে পারছি না, আমি দম নিতে পারছি না, আমি কী অনুভব করছি ব্যাখ্যা করতে পারব না, এত আনন্দ হচ্ছে আমার।’

তবে গাজাবাসীর জন্য আনন্দের পাশাপাশি আছে শঙ্কাও। তাদের ভবিষ্যৎ এখন নির্ভর করছে নানা পক্ষের সদিচ্ছার ওপর। টেকসই শান্তি আদৌ আসবে কি না, তা সেসবের ওপরই নির্ভর করছে আপাতত। এ মুহূর্তে গাজার সামনে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এসব জটিল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা কীভাবে করা হচ্ছে, বিষয়গুলো কোন দিকে মোড় নিচ্ছে, সেগুলোর ভিত্তিতেই মূলত আসবে শেষ ফলাফল। তবে ফলাফল ইতিবাচক না হলে তা নেতিবাচকভাবে প্রভাব ফেলতে পারে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে।

ইসরাইলি হামলায় গোটা গাজা পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। গাজার পুনর্গঠন এখন এক বিশাল মানবিক ও আর্থিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের যৌথ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা পুনর্গঠনে আগামী ১০ বছরে লাগবে প্রায় ৫৩ বিলিয়ন ডলার বা ৫ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। এর অর্ধেকেরও বেশি খরচ হবে শুধু বাসস্থান ও অবকাঠামো নির্মাণে। গাজার যুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জটি হলো- ফিলিস্তিনিদের শারীরিক ও মানসিকভাবে আবারও ঠিক করে তোলা। আর এটি একদিনে হওয়া সম্ভব নয়। যুদ্ধের ভয়াবহতার গভীর প্রভাব পড়েছে তাদের মনে। যুদ্ধ থামলেও ক্ষুধা, অপুষ্টি, পানির সংকট ও রোগব্যাধি গাজার মানুষের জীবনে বহুদিন প্রভাব ফেলবে। পানি ও স্যানিটেশনব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কারণে সেখানে রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে।

মধ্যপ্রাচ্যে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে তুরস্ক : তুরস্ক গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং এর ধারা বাস্তবায়ন তত্ত্বাবধানকারী একটি ‘টাস্ক ফোর্সে’ অংশ নেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান বলেছেন, আঙ্কারা আলোচনা এবং চুক্তি বাস্তবায়ন উভয় ক্ষেত্রেই একটি গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

একজন ঊর্ধ্বতন তুর্কি কর্মকর্তা পৃথকভাবে রয়টার্সকে বলেছেন যে, তুরস্ক ইসরাইল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং মিশরের সাথে একটি যৌথ টাস্ক ফোর্সে অংশ নেবে - যা গাজায় মৃত জিম্মিদের মৃতদেহ সনাক্ত করার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যাদের অবস্থান অজানা। মিশরে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অংশগ্রহণকারী তুরস্ক, গাজায় ইসরাইলের আক্রমণের অন্যতম কঠোর সমালোচক, এটিকে গণহত্যা বলে অভিহিত করেছে। দুই বছর আগে গাজায় ইসরাইল আক্রমণ শুরু করার পর থেকে, ন্যাটো মিত্র তুরস্ক শান্তি প্রচেষ্টায় মূলত পরোক্ষভাবে জড়িত থাকলেও সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে তা আরও জোরদার ভূমিকা পালন করেছে। ‘আল্লাহুর ইচ্ছায়, আমরা তুরস্ক হিসেবে টাস্ক ফোর্সে অংশ নেব যারা চুক্তির বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ করবে,’ আঙ্কারার এক ভাষণে এরদোগান বলেন, তিনি আরও বলেন যে তুরস্ক গাজার পুনর্গঠনেও অবদান রাখবে।
তিনি এই প্রক্রিয়ায় তুরস্কের ভূমিকা তুলে ধরেন, চুক্তির পূর্ববর্তী ঘটনাবলী বর্ণনা করেন - জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গাজা বৈঠক থেকে শুরু করে গত মাসে হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে এই বিষয়ে তার আলোচনা এবং গত সপ্তাহে পরবর্তী ফোন কল পর্যন্ত। এরদোগান এবং জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা একই টাস্ক ফোর্সের কথা বলছেন কিনা, নাকি ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী ‘স্থিতিশীলকরণ বাহিনীর’ কথা বলছেন তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়। তুরস্কের গোয়েন্দা প্রধান ইব্রাহিম কালিন মিশরে আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন, যেখানে তিনি হামাসকে কীভাবে এগিয়ে যেতে হবে সে সম্পর্কে আঙ্কারার মতামত এবং নির্দেশনা প্রদান করেছিলেন, একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তার মতে, তিনি আরও বলেন, কালিন ইসরাইলি পক্ষ ছাড়া সকল পক্ষের সাথে পৃথকভাবে আলোচনা করেছেন। তুরস্ক হামাসকে একটি প্রতিরোধ গোষ্ঠী বলে মনে করে।

এরদোগান বলেছেন যে, তিনি ট্রাম্পকে ব্যাখ্যা করেছেন যে গাজায় শান্তি কীভাবে অর্জন করা যেতে পারে এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট হামাসকে তার পরিকল্পনা মেনে নিতে রাজি করাতে আঙ্কারার সাহায্য চেয়েছেন। তুরস্ক বলেছে যে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত বিশ্রাম নেবে না। ‘আমি খুবই খুশি যে শারম আল-শেখে অনুষ্ঠিত হামাস-ইসরাইল আলোচনা, তুরস্ক হিসেবে আমাদের অবদানের ফলে, গাজায় যুদ্ধবিরতি হয়েছে,’ এরদোগান বৃহস্পতিবার এক্স-এ পোস্ট করেছেন। তিনি ট্রাম্পকে ‘ইসরাইলি সরকারকে যুদ্ধবিরতির জন্য উৎসাহিত করার জন্য প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি প্রদর্শন করেছেন’, সেইসাথে কাতার এবং মিশরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, যোগ করেছেন যে একটি সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত আঙ্কারা থামবে না। সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি, আল-জাজিরা।