Image description

নামসর্বস্ব, কর্মক্রমহীন, অস্তিত্বহীন—এমনকি নিজেদের ওয়েবসাইট পর্যন্ত নেই এমন অনেক সংস্থারই নাম রয়েছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পর্যবেক্ষক সংস্থার তালিকায়। জঙ্গলের মধ্যে পরিত্যক্ত ভবনকে অফিস দেখিয়ে নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তালিকায় নাম ওঠানোর অভিযোগও রয়েছে। ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করা সংস্থাসহ রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এমন কয়েকটি সংস্থারও নাম রয়েছে ইসির গণবিজ্ঞপ্তিতে থাকা পর্যবেক্ষক তালিকায়। তাই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে পর্যবেক্ষক নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে নির্বাচন কমিশন বলছে, যাচাই-বাছাই করে সঠিক সংস্থা চূড়ান্ত করতেই পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পাওয়ার পর এগুলো আবার ‘রিভিউ’ করবে নির্বাচন কমিশন।

উল্লেখ্য, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য গত ২৮ সেপ্টেম্বর ৭৩টি স্থানীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। পত্রিকায় প্রকাশিত ইসির গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এসব স্থানীয় সংস্থা নিয়ে কারও কোনও আপত্তি থাকলে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে হবে। এসব সংস্থার মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনসহ ঢাকা জেলায় রয়েছে ২৭টি সংস্থার প্রধান কার্যালয়। বাকিগুলো দেশের বিভিন্ন জেলায়।

ঢাকার ২৭টি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার মধ্যে তিনটির অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যায়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে। ইসির গণবিজ্ঞপ্তির তালিকায় থাকা সংস্থার ঠিকানা অনুযায়ী ঢাকার বাইরেও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের খোঁজ পাওয়া যায়নি। ঢাকা এবং ঢাকার বাইরের বেশ কিছু সংস্থার ওয়েবসাইটও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

ইসির গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত সংস্থাগুলোর ঠিকানা অনুযায়ী, যশোরের মনিরামপুর উপজেলার যশোর-রাজগঞ্জ সড়ক এলাকার দিঘিরপাড় বাজারের পাশে জঙ্গলে ঘেরা একটি পরিত্যক্ত ভবনে সার্ভিসেস ফর ইকুয়িটি অ্যান্ড ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টের (সীড) অফিসের খোঁজ মিলেছে। তবে সেখানে সংস্থাটির ভাঙাচোরা ভবনের কক্ষগুলোর কোনও দরজা-জানালা অবশিষ্ট নেই। ভেতরে কাদাপানি মাখা চেয়ার-টেবিলও ঘুণ ধরে ভেঙে পড়েছে। মেঝেতে জমে থাকা পানিতে দেখা মিলেছে কীটপতঙ্গের। স্যাঁতসেঁতে দেয়ালের এক প্রান্তে অস্পষ্টভাবে লেখা ‘ম্যানেজারের কক্ষ’। ঝোপঝাড়ের মাঝে জীর্ণদশার ভবনটিতে নেই মানুষের যাতায়াত।

অন্যদিকে, মিরপুরের রূপনগর আবাসিক এলাকায় বাইতুল মুকাদ্দিম মসজিদের পাশে একটি তিনতলা সাদা ভবনের নিচতলায় ইসির তালিকাভুক্ত ‘অ্যাকটিভ এইড ওয়েলফেয়ার অরগানাইজেশন’র অফিস রয়েছে। সেখানে ছোট একটি কক্ষের ভেতরে তিন-চারটি ডেস্ক, কয়েকটি কম্পিউটার, বেশ কয়েকটি চেয়ার ও সোফা দেখা গেছে।

ইসির তালিকায় থাকা একটি প্রতিষ্ঠান ‘বাসাবো জনকল্যাণ সংস্থা (বিজেএস)’। ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে মিরপুরের দক্ষিণ পীরেরবাগ, পশ্চিম আগারগাঁও, ৬০ ফিট, ওসমান গনি রোড, ভাঙা ব্রিজসংলগ্ন, একুশে টাওয়ার। ঠিকানাটি আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবন থেকে দেড়-দুই কিলোমিটার দূরে। কিন্তু সেই ঠিকানায় একটি নির্মাণাধীন ভবন পাওয়া গেলেও সেখানে কোনও মানুষই বাস করেন না। নেই কোনও কার্যালয়।

ইসির তালিকায় থাকা আরেকটি সংস্থা ‘বিয়ান মনি সোসাইটি (বিএমএস)’। মোহাম্মদপুরের বাবর রোডের ১৬/১৬ ঠিকানায় এমন কোনও প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব মেলেনি। কাফরুলের সেনপাড়া পর্বতায় অলাভজনক সেবামূলক সংস্থা পাথওয়ের কার্যালয়। ইসির তালিকায় নাম থাকা এই সংস্থাটি তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের স্বাবলম্বী করতে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জলবায়ুসহ নানা বিষয়ে কাজ করে।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের চাঁদট বাজারে ‘মানব চাঁদ উন্নয়ন সংস্থা’র অফিস। সংস্থাটির ওয়েবসাইটটিতে আগে সচল না থাকলেও বর্তমানে সচল দেখা যাচ্ছে। ওয়েবসাইটে দেখা গেছে, মানব উন্নয়ন সংস্থা একটি সামাজিক সংস্থা। এই সংস্থাটি বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কার্যক্রম, যেমন- বন্যাদুর্গতদের সহায়তা, বৃক্ষরোপণ এবং অন্যান্য সেবামূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে থাকে বলে দেখা গেছে ওয়েবসাইটে। তাদের মূল কাজ বন্যাদুর্গতদের সহায়তা করা, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পরিচালনা করা। নির্বাচনকাজে পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনের কোনও অভিজ্ঞতা নেই সংস্থাটির।

সংস্থাটির একটি অঙ্গসংগঠন ‘চাঁদ পাঠাগার’। সেটির পাশেই চাঁদ মানব উন্নয়ন সংস্থার ছোট অফিস রয়েছে। সংগঠনের সদস্য থাকলেও বেতনভুক্ত কর্মচারী নেই।

রাজশাহীর বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কর্ম উন্নয়ন কেন্দ্র (ডব্লিউডিসি)-এর ঠিকানা দেওয়া আছে ২৮৯, তেরখাদিয়া, সেনানিবাস, রাজপাড়া, রাজশাহী। সেখানে দোতলা ফ্ল্যাটের চার ইউনিটবিশিষ্ট বাড়িতে এটির কার্যালয়ের সাইনবোর্ড রয়েছে। সংস্থার প্রধানের শ্বশুরবাড়িতে করা হয়েছে এই কার্যালয়। কম্পিউটার শেখানো হয় এখানে।

নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসাবে প্রাথমিকভাবে নিবন্ধন পাওয়া গাইবান্ধার দুটি প্রতিষ্ঠান—গণউন্নয়ন কেন্দ্র (জিইউকে) ও সমাজ উন্নয়ন পল্লী সংস্থা (এসডিআরএস)। গণউন্নয়ন কেন্দ্রের কার্যালয় গাইবান্ধা সদরের নশরতপুরে।

সমাজ উন্নয়ন পল্লী সংস্থা ২০০৩ সালে লিগ্যাল এইড ও হস্তশিল্প কর্মসূচি দিয়ে কাজ শুরু করে। সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে ২০ জন কর্মী রয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সংস্থার প্রধান গোলাম মোস্তফা বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী মন্ত্রী ও নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন।

কুড়িগ্রামের কোদালকাঠিতে ইসির তালিকাভুক্ত গরিব উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আবদুল লতিফের বাড়ি। সাইনবোর্ড রয়েছে, তবে এক কক্ষের অফিস চালান বাবা আর ছেলে। সংস্থাটির মূল কাজ সচেতনতা বৃদ্ধি। তারা কোরবানির ঈদের সময় বিদেশি দাতা সংস্থার কাছ থেকে গরু নিয়ে গরিব মানুষের মধ্যে মাংস বিতরণ করে। আগে গরিব মানুষের মধ্যে ছাগল বিতরণ কার্যক্রম ছিল তাদের, তবে বর্তমানে তা নেই।

ইসির দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী ঝিনাইদহ সদরের খড়িখালীর আলোকিত সমাজকল্যাণ সংস্থার কোনও কার্যালয় পাওয়া যায়নি।

রাজধানীর দক্ষিণ পীরেরবাগের সংগতি সমাজকল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক বশীর আহাম্মেদ ছাত্রদলের সাবেক নেতা। ঝালকাঠির হিলফুল ফুজুল সমাজকল্যাণ সংস্থার সহসভাপতি মোক্তার হোসেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।

কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাটের সিন্দুরমতির ‘অগ্রযাত্রা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা’ নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের পর্যবেক্ষক হিসেবে তালিকায় স্থান পেয়েছে। সংস্থাটির বর্তমানে কোনও কার্যক্রম নেই। একসময় প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষা ও নারীদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ করত। ২০২০ সালে মহিলা বিষয়ক অধিদফতর থেকে ভিজিডি (দুস্থ নারীদের জন্য চাল সহায়তা) কার্যক্রমের দায়িত্ব পেয়েছিল সংস্থাটি। তবে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে মহিলা বিষয়ক অধিদফতর সংস্থাটির নামে মামলা করে। মামলাটি এখনও চলমান।

জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সঠিক তথ্য জানার জন্যই তো আমরা পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। সরেজমিন তো আমাদের পক্ষে যাওয়া সম্ভব না। আমরা কাগজপত্র দেখে করেছি। আবেদন পাওয়ার পর আমাদের প্রাথমিক বিবেচনায় মনে হয়েছে, ঠিক আছে। এখন আমরা পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। আপনারা (সাংবাদিকরা) আপনাদের দায়িত্ব পালন করেছেন, আপনারা দেখে জানিয়েছেন যে এগুলো বানোয়াট। এখন দায়িত্ব আমাদের।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রাথমিক তালিকা করার ক্ষেত্রেও নির্বাচন কমিশনের যে মানদণ্ড আছে, মৌলিক সূচক আছে, তার মাধ্যমে যদি চায় কোনও প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা আছে কিনা, গ্রহণযোগ্যতা আছে কিনা, এটা যাচাই করা রকেট সায়েন্স না। এটা করে তারপর তালিকাটা করলে ভালো হতো, তাহলে বিতর্কটা হতো না। আমি আশা করবো যেহেতু বিতর্ক তৈরি হয়েছে, অবশ্যই তাদের একটি পরিকল্পনা ছিল, আরও যাচাই করবে, একইসঙ্গে এই যাচাই প্রক্রিয়াটা যেন কঠোর হয়।’

কীভাবে এমনটা হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এটি নতুন কিছু না। নির্বাচন পর্যবেক্ষণ এটা এক ধরনের ইন্ডাস্ট্রির মতো, ব্যবসার মতো। নির্বাচন পর্যবেক্ষণের নামে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেতে চায়। আর্থিক সুযোগ সুবিধার সম্ভাবনা আছে। তার কারণ নির্বাচন যখন হয়, তখন নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের জন্য দেশি-বিদেশি অর্থ সহায়তা পাওয়া যায়। এটা এক ধরনের গ্রোথ ইন্ডাস্ট্রি। আর এই নির্বাচনে সেটার তুলনামূলকভাবে সম্ভাবনা বেশি, কারণ আন্তর্জাতিকভাবে এই নির্বাচন নিয়ে উৎসাহ আছে, দাতা সংস্থাগুলোও অর্থ সহায়তা দেবে বলে ধারণা করেছে, সেদিক থেকে সুবিধা অর্জন ও সম্পদের বিকাশের সুবিধা হিসেবে দেখেছে। তার কারণেই সংস্থাগুলোর দক্ষতা না থাকার পরও আবেদন করেছে। আর এ কারণেই যাচাই করার মানদণ্ড আরও কঠোর হওয়া উচিত।’

তিনি বলেন, ‘অনেকেই রয়েছেন আর্থিক না হলেও অন্যান্য সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করেন, যারা রাজনৈতিক দলগুলোর আনুগত্য প্রতিষ্ঠার জন্য সুযোগ নেয়। পর্যবেক্ষণের নামে নির্বাচনকে প্রভাবিত করা, স্বার্থান্বেষী ভূমিকা পালন করে এ ধরনের কারণগুলো কাজ করেছে।’

ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের উচিত যে বিতর্ক উঠছে, যাদের নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে, নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব জনবলের মাধ্যমে দক্ষতা অভিজ্ঞতা যাচাই করবে। এবার আরও হওয়া উচিত যে এটা এক ধরনের স্বাভাবিক অবস্থায় রূপান্তর হয়ে গেছে যেহেতু, প্রতারণামূলকভাবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণকে দেখা। সে কারণে অস্তিত্বহীন, নামসর্বস্ব, ব্রিফকেসসর্বস্ব যারা আছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক জবাবদিহি নিশ্চিত করা উচিত, যাতে এই প্রতারণা বন্ধ হয়। মানদণ্ডের আলোকে যাদের দক্ষতা, যোগ্যতা নেই তাদের আবেদন করা প্রতারণামূলক। কিছু প্রতিষ্ঠানকে যারা ন্যূনতম মানদণ্ডও পূরণ করতে পারছে না, তাদের দৃষ্টান্তমূলক জবাবদিহি নিশ্চিত করা যায়, তাহলে ভবিষ্যতে এটি একটি বার্তা হবে, যাতে করে এই ধরনের প্রতারণামূলক উদ্যোগ নিয়ন্ত্রণে আসে।’

কমিশনের শর্ত কী কী

নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পর্যবেক্ষক নীতিমালায় উল্লেখ রয়েছে, গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে কাজ করছে এবং নিবন্ধিত গঠনতন্ত্রের মধ্যে এ বিষয়সহ সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান বিষয়ে নাগরিকদের মধ্যে তথ্য প্রচার ও উদ্বুদ্ধকরণের অঙ্গীকার রয়েছে, কেবল সেসব বেসরকারি সংস্থা নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে পারবে। নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন বা আছেন—এমন কেউ পর্যবেক্ষণের জন্য আবেদনকারী কোনও সংস্থার প্রধান নির্বাহী কিংবা পরিচালনা পর্ষদে থাকলে ওই সংস্থাকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধন দেওয়া হবে না।

তবে, নির্বাচন কমিশন পর্যবেক্ষক হওয়ার শর্ত নির্ধারিত থাকলেও অযোগ্য অনেক প্রতিষ্ঠানই আবেদন করেছে নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে তালিকাভুক্ত হতে।