
বুরকিনা ফাসোর সামরিক সরকার জানিয়েছে, তারা নেদারল্যান্ডসভিত্তিক মানবিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল এনজিও সেফটি অর্গানাইজেশনের (আইএনএসও) আট কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ- ‘গোয়েন্দাগিরি ও রাষ্ট্রদ্রোহ।’ তবে সংস্থাটি এসব অভিযোগ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে।
দেশটির নিরাপত্তামন্ত্রী মাহামাদু সানা জানান, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন একজন ফরাসি নাগরিক, একজন ফরাসি-সেনেগালি নারী, একজন চেক নাগরিক, একজন মালিয়ান এবং চারজন বুরকিনাবি। তিনি দাবি করেন, আইএনএসও-কে তিন মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল ‘অনুমতি ছাড়া সংবেদনশীল তথ্য সংগ্রহের’ অভিযোগে। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার পরও সংস্থার কর্মীরা গোপনে তথ্য সংগ্রহ ও বৈঠক চালিয়ে গেছেন।
মন্ত্রী আরো অভিযোগ করেন, এই কর্মীরা এমন তথ্য বিদেশী শক্তির কাছে সরবরাহ করেছেন, যা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর। এমনকি সংস্থার কান্ট্রি ডিরেক্টরও নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার সময় গ্রেফতার হয়েছিলেন। অন্যদিকে, হেগ-ভিত্তিক আইএনএসও এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা কেবল মানবিক কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য তথ্য সংগ্রহ করে, যা গোপন নয় এবং সাধারণত প্রকাশ্য তথ্য। সংস্থাটি তাদের সহকর্মীদের নিরাপদ মুক্তির জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বুরকিনা ফাসোর সামরিক সরকার পশ্চিমা দেশগুলো থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। ফ্রান্সসহ পশ্চিমা শক্তির সাথে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা কমিয়ে তারা রাশিয়ার সাথে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছে। প্রতিবেশী মালি ও নাইজারের সাথে মিলে তারা অ্যালায়েন্স অব সাহেল স্টেটস নামে নতুন জোট গঠন করেছে।
বর্তমানে বুরকিনা ফাসো, মালি ও নাইজার আল-কায়েদা-সংযুক্ত সশস্ত্রগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়ছে। এসব গোষ্ঠী সেনাঘাঁটিতে হামলা চালাচ্ছে এবং কিছু এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো অভিযোগ করেছে, বিদ্রোহী, সেনা ও তাদের সহযোগী বাহিনী সবাই সম্ভাব্য নৃশংসতায় জড়িত।