Image description
নির্বাচনের দিন চায় বিএনপি, জামায়াত নভেম্বরে

দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত বৈঠক করা হলেও শেষ পর্যন্ত গণভোট ইস্যুতে একমত হতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন নেতারা। কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, এভাবে আলোচনা চলতে থাকলে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে না। গণভোট নির্বাচনের আগে না পরে, এ ইস্যুতে আটকে গেছে দলগুলো। কয়েকটি দল বিষয়টিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন অথবা সরকারের ওপর দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছে।

গতকাল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক শেষে এ চিত্র পাওয়া যায়।

রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে প্রণীত ‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫’ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে যতই আলোচনা হচ্ছে, ততই নতুন নতুন প্রস্তাব যুক্ত হচ্ছে। এ নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের সিদ্ধান্ত হলেও সেই গণভোট কবে ও কীভাবে হবে, তা নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি দলগুলো। একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তাব করেছে বিএনপিসহ বেশির ভাগ দল। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি দল আগামী নভেম্বরে গণভোট দাবি করেছে। দীর্ঘ বিতর্কের পর রাজনৈতিক দলগুলো এ বিষয়ে কমিশনকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। কমিশন ১৬ অক্টোবরের মধ্যে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার কথা জানিয়েছে।

দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে সভাপতিত্ব করেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। সূচনা বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদ নিয়ে ১০ অক্টোবরের মধ্যে সরকারের কাছে কমিশনের চূড়ান্ত সুপারিশ জমা দেওয়া হবে। ১৫ থেকে ১৬ অক্টোবরের মধ্যে জুলাই জাতীয় সনদে দলগুলোর স্বাক্ষরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার লক্ষ্য রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘যখন আমরা ১১ সেপ্টেম্বর বাস্তবায়নপ্রক্রিয়া নিয়ে প্রথম সংলাপে বসি, তখন অনেকের মনেই সংশয় ছিল আমরা এক জায়গায় আসতে পারব কি না। কিন্তু আমরা অনেক দূর অগ্রসর হয়েছি। বাকি পথটা সবাই মিলে নিঃসন্দেহে অতিক্রম করে এক জায়গায় পৌঁছাতে পারব। সে ক্ষেত্রে আপনাদের পক্ষ থেকে যদি সুনির্দিষ্ট ও সুস্পষ্ট একটি প্রস্তাব আসে, কমিশন সরকারের কাছে সেটাই উপস্থাপন করবে এবং কমিশন চাইবে, সেটাই বাস্তবায়িত হোক।’

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়া ‘নোট অব ডিসেন্ট’ বা ভিন্নমতের অংশগুলোও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদে যে বিষয়গুলো আছে সেখানে যেহেতু কিছু নোট অব ডিসেন্ট আছে, সেটা আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে। সবই একভাবে বিবেচনা করা যাবে, তা আমরা মনে করছি না। কারণ যেসব দল নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে, তারা তাদের অবস্থানের দিক থেকে দিয়েছে, তাদের শুধু দলীয় অবস্থান নয়, আমরা আশা করি যে তারা অন্যান্য বিবেচনা থেকেও দিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘জনগণের সম্মতি নিশ্চিত করার সময় এসব ভিন্নমত যেন যথাযথভাবে জানানো হয়, সেটিই হবে গণভোটের মূল উদ্দেশ্য। আমাদের দেখতে হবে জনগণের যে সম্মতি, সে সম্মতির ক্ষেত্রে যেন তারা এটা জেনেশুনেই সম্মতি নিতে পারে যে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কিছু দলের এ বিষয়ে আপত্তি আছে।’

কমিশন সূত্র জানান, সংলাপে দলগুলো গণভোটের সময় ও বিষয়বস্তু নিয়ে ভিন্নমত তুলে ধরে। বিক্ষিপ্ত আলোচনায় অধিকাংশ দল এ বিষয়ে কমিশন ও সরকারকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আহ্বান জানায়। তারা মনে করে, এ ইস্যুতে দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারবে না। কেউ কেউ জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের দাবি জানালেও অধিকাংশই মনে করে, এতে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় হবে। ভোটার উপস্থিতি ১০-১৫ শতাংশে নেমে আসবে, যাতে সর্বস্তরের মানুষের মতামতের প্রতিফলন ঘটবে না। এমনকি জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে; যা নতুন সংকট তৈরি করতে পারে। সে ক্ষেত্রে একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট হলে অর্থ সাশ্রয় হবে। আর জুলাই সনদ গণভোটে পাস হলে সংসদের প্রথম অধিবেশনে উত্থাপন করে বাস্তবায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হবে।

সংলাপ থেকে বেরিয়ে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে একমত দলগুলো। তবে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন আলাদা বিষয়। তাই জাতীয় নির্বাচনের আগে নভেম্বরের শেষ দিকে গণভোট দিতে হবে। গণভোটের রায়ের ভিত্তিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে। সে ক্ষেত্রে ডিসেম্বরের প্রথম দিকে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা সম্ভব।’ তিনি বলেন, ‘অনেকেই বলেছেন গণভোট এবং জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে হয় বা একসঙ্গে হলে ভালো হয়। আমরা বলেছি না, গণভোট একটি আলাদা বিষয়, জাতীয় নির্বাচন একটি আলাদা বিষয় এবং দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গণভোটটি হবে আমাদের সমস্ত সংস্কার জুলাই সনদ হিসেবে যেটাকে আমরা একটি প্যাকেজ হিসেবে বিবেচনা করছি। সেটাকে নিয়ে গণভোট হবে। সুতরাং গণভোটটা আগেই হয়ে যাওয়া দরকার। জনগণ যদি গ্রহণ করে, সেই গণভোটের ভিত্তিতেই পরবর্তী প্রক্রিয়াগুলো হবে, নির্বাচন হবে। আর জনগণ যদি বাতিল করে দেয়, তাহলে তো সেটা এখানে শেষ হয়ে যাবে। সুতরাং বিষয়টা খুব স্পষ্ট হবে। নির্বাচনের আগেই গণভোট হবে এবং নির্বাচন তার ভিত্তিতে হবে।’

দুটি নির্বাচন একসঙ্গে হলে ভালোর চেয়ে মন্দ বেশি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মন্দ দিকটা হচ্ছে জুলাই চার্টারে এমন কিছু ইস্যু আছে, যা আগামী নির্বাচনের একটি বিষয়বস্তু হবে। যেমন আপার হাউসের একটি সাবজেক্ট আছে। আপার হাউসের যদি আমরা গণভোটটা গ্রহণ করি, তাহলে আপার হাউস তো আগামী নির্বাচনের একটি অংশ হবে। যদি আপনি একই দিন করেন, তাহলে আপার হাউস কী হবে, কী হবে না, টিকবে কি টিকবে না, দরকার আছে কি নাই, জনগণ গ্রহণ করবে কি করবে না এটা তো অনির্ধারিত রয়ে গেল।’এই জামায়াত নেতা বলেন, ‘আমাদের দেশে জাতীয় নির্বাচনে তো এ রকম ঘটনা ঘটেছে অতীতে। গণভোটের যে রায়, সে রায়ও তো স্থগিত হয়ে যাবে। এজন্য দুটিকে একাকার করলে একটার ভাগ্যের সঙ্গে আরেকটার ভাগ্য মিলে যাবে। সুতরাং নির্বাচন যদি প্রশ্নবোধক হয়, তাহলে আপনার গণভোটের চার্টারও প্রশ্নবোধক হয়ে যাবে। অথচ সংশোধনের ব্যাপারে, জুলাই চার্টারের ব্যাপারে আমরা সবাই একমত আছি। সেখানে একটা টেকনিক্যাল প্রবলেম আছে।’

ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। সম্প্রতি দুটি ছোট নির্বাচন হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি হয়েছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আরেকটি হয়েছে। দেখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাত তিনটা-চারটা পর্যন্ত আমাদের টেনশনে ঘুম আসেনি। কারণ সেখানে ধাক্কা মারা, মিছিল করা ও অভিযোগের ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনটা সুষ্ঠুভাবে হওয়ার পরেও সহজে মেনে নেওয়ার যে মানসিকতা, এটা কিন্তু আমরা দেখিনি। জাহাঙ্গীরনগরে নির্বাচনে ৪৮ ঘণ্টা পরে রায় দিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের অবস্থান হচ্ছে গণভোট হবে এ ব্যাপারে আমরা সবাই একমত। কিন্তু গণভোটটি নভেম্বরের শেষের দিকে যদি হওয়া যায়, কারণ আমাদের কাছে রেকর্ড আছে, বাংলাদেশেই ১৯ দিনের ব্যবধানেও গণভোট হয়েছে। এক মাসের ব্যবধানেও গণভোট হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হবে এবং নভেম্বরের ভিতরেই জুলাই চার্টারের ওপরে আমাদের গণভোট হবে।’

একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের পক্ষে অবস্থান তুলে ধরে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘নভেম্বর বা ডিসেম্বরের শুরুতে গণভোট করলে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় হবে। ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। গণভোটে ভোটার উপস্থিতি ১০ থেকে ১৫ শতাংশ নেমে আসতে পারে। এতে জুলাই সনদের ওপর সর্বস্তরের মানুষের মতামতের প্রতিফলন ঘটবে না। সে ক্ষেত্রে একই সঙ্গে ভোট হলে ভোটারের অংশগ্রহণ বাড়বে। এতে রাষ্ট্রীয় অর্থ সাশ্রয় হবে। তাই দ্রুত আলোচনা শেষ করে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত সরকারের কাছে সুপারিশ আকারে পাঠানো উচিত।’

গণভোট প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে সিদ্ধান্ত দেওয়ার আহ্বান জানান আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু। তিনি বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম কমিশন আগে যেটা প্রস্তাব করেছিল একই দিনে নির্বাচন, সেটার ব্যাপারে ঐকমত্য আছে। কিন্তু আজ লক্ষ করলাম, দুই ধরনের মত আছে। দুই পক্ষের বক্তব্যের মধ্যেই আমরা যুক্তি খুঁজে পেয়েছি। তাই কমিশনকে বলেছি, যেহেতু ঐকমত্য হচ্ছে না, তাই আপনারা মাঝখানে রেফারির ভূমিকা হিসেবে যে কোনো একটা সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিন। জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে গণভোট হলে আমাদের আপত্তি নাই।’ তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু শক্তি বা ব্যক্তি আছেন, তারা আসলে বিভেদ চান, অনৈক্য চান এবং একটা হাঙ্গামা ও বিপর্যয় চান। আমাদের এ ইগোসংকটের কারণে মনে হচ্ছে, পরোক্ষভাবে আমরা ওই সীমান্তের ওপারের ইচ্ছাটাকেই প্রাধান্য দিচ্ছি। এখানে আরেকটা বিষয় হচ্ছে, অধ্যাদেশ হবে, নাকি জুলাই সনদ আদেশ হবে?’ তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি নিজেদের সরকারের অংশ মনে করে। আমরা মনে করি তাদের কারণে একমত হওয়া যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে সরকারকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। জনগণ ঐকমত্য চায়। সংবিধান আদেশ বা বিশেষ আদেশ যেভাবেই হোক।’ গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ‘আরও এক মাস এভাবে আলোচনা করলেও আমরা সিদ্ধান্তে আসতে পারব না। রাজনৈতিক দলগুলোর ভিন্নমত একমত করতে কমিশনকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সমাজমাধ্যমে দেখছি শেখ হাসিনার সঙ্গে পাঁচজন উপদেষ্টা হাত মিলিয়েছেন। তাঁরা শেখ হাসিনার সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। ঠিক একইভাবে আজকের এ আলোচনা দেখে মনে হচ্ছে যে আমরাও শেখ হাসিনার সঙ্গে হাত মিলিয়েছি। জাতীয় নির্বাচন ও জুলাই সনদের পক্ষে গণভোট একই দিনে হতে হবে। আগে যারা এ প্রস্তাবের পক্ষে ছিলেন, তারাও এখন বলছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট।’ তিনি আরও বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনের পরে যে জাতীয় সংসদ গঠিত হবে, প্রথম যে অধিবেশন সেই অধিবেশনে জুলাই জাতীয় সনদের অনুমোদন দিতে হবে। অর্থাৎ গণভোটের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদ আমাদের যে আকাঙ্ক্ষা সে আকাঙ্ক্ষা জনগণ পূরণ করল ভোট দেওয়ার মাধ্যমে এবং যেদিন প্রথম অধিবেশন হবে সেদিন এটার অনুমোদন দিতে হবে।’ প্রসঙ্গত, ৫ অক্টোবর জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে ‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫’ বাস্তবায়নে ‘গণভোট’ প্রশ্নে একমত হয় রাজনৈতিক দলগুলো। তবে ভোটের সময় ও কীভাবে হবে, তা নিয়ে দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দেয়। এ নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা ছাড়াও বিশেষজ্ঞ মতামত গ্রহণ করে কমিশন। কমিশনের পক্ষ থেকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের কাজ সম্পন্ন করার কথা জানানো হয়। ১২ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সাত সদস্যবিশিষ্ট জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয় এবং ১৫ ফেব্রুয়ারি কার্যক্রম শুরু করে কমিশন। ছয় মাস মেয়াদের কমিশন ১৫ আগস্টের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারায় মেয়াদ ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এর পরও দ্বিতীয় দফায় কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস বাড়িয়ে ১৫ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়।