Image description

ডাকসু ভবনে এসি স্থাপনের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, প্রাথমিকভাবে ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশনে মূল্যায়ন, ফাইনান্স থেকে বাজেট যাচাই এবং বরাদ্দকরণ, তারপর ট্রেজারারের দপ্তর হয়ে উপাচার্যের দপ্তর এসি স্থাপনের পুরো প্রক্রিয়াটিই নিয়ম মেনে করা হয়েছে। এখানে নিয়মের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। 

বুধবার (৮ অক্টোবর) ডাকসু ভবনের সংস্কার ও বাজেট বরাদ্দ প্রক্রিয়া নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্কের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ বলেন, বিতর্ক তৈরির পর নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমি আজ পুনরায় ফাইলটি দেখেছি। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই এটি করা হয়েছে। 

চাপ প্রয়োগের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি নিজেই ডাকসু, আমি ডাকসুর সভাপতি। আমাকে চাপ প্রয়োগ করবে কে? চাপ দিয়ে আমার কাছ থেকে কোনো কিছু আদায় করার মতো দুর্বল লোক তো আমি না। 

তিনি আরও বলেন, ‘আমি ডাকসুর সাথে মিটিং করেছি, ভবন পরিদর্শন করেছি। এ ভবন তো কয়েকজন কর্মকর্তার বিষয় না। এটি ছাত্রদের অধিকারের প্রতীক। আমার সামর্থ্য থাকলে আমি আরও অনেক কিছু করতে চাই। ভবনটি আমাদের মাস্টার প্লানের অংশ। এখানে আমাদের জুলাই সংগ্রহশালা। পরবর্তীতে আমরা এটিকে মিউজিয়ামে পরিণত করব। এসব করতে তো সময় লাগবে। তাই আমরা প্রাথমিকভাবে এটিকে একটা ডিসেন্ট অফিস হিসেবে গড়ছি।’

ঢাবি ভিসি বলেন, ‘আমি চাই এটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি হাবে পরিণত হোক; প্রাণবন্ত প্রতিষ্ঠানে পরিণত হোক, যেখানে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত আসবে, মতবিনিময় করবে। আজ আমি আছি কাল অন্য কেউ আসবে। কিন্তু ডাকসু ছাত্রদের অধিকার রক্ষার স্থায়ী প্রতিষ্ঠান হিসেবে থাকবে। আমার সামর্থ্যের মধ্য দিয়ে আমি সেটিকে এগিয়ে নিতে চাই।’