
ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনারা হস্তক্ষেপ শুরু করেছে। ইসরায়েলি নৌবাহিনী ইতোমধ্যে দুটি জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম।
‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নামের ওই নৌবহরের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে দেখা যায়, ইসরায়েলি নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তা ফ্লোটিলাকে জানাচ্ছেন তারা যেন গাজা অভিমুখে না গিয়ে ইসরায়েলের আশদোদ বন্দরে যায়। ইসরায়েলি ওই কর্মকর্তা বলেন, সেখানে ত্রাণসামগ্রী নিরাপত্তা পরীক্ষা শেষে গাজায় পাঠানো হবে।
অন্যদিকে, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা তাদের নিজস্ব ভিডিও প্রকাশ করেছে। এতে পরিচালনা কমিটির সদস্য থিয়াগো আভিলাকে ইসরায়েলি বার্তার জবাব দিতে শোনা যায়।
আভিলা বলেন, “আপনারা বলছেন, আমরা সক্রিয় যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করছি। আসলে আপনারাই সেখানে যুদ্ধাপরাধ করছেন। এটা আন্তর্জাতিক আইনের বিরুদ্ধে। আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তী রায়ে বলেছে, গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর পথে বাধা দেওয়া আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন। আর আমরা সেই আইন মানছি এবং আপনাদের গণহত্যার অপরাধের দায় নির্ধারণে ভূমিকা রাখছি। ”
তিনি আরও বলেন, “ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য মানবিক সাহায্য কে নিয়ন্ত্রণ করবে, সেটা কোনো দখলদার বাহিনী ঠিক করতে পারে না। এটা ফিলিস্তিনিদের নিজস্ব অধিকার। তাই আমরা আপনাদের গাজার জন্য বৈধ কর্তৃপক্ষ হিসেবে স্বীকার করি না। ”
এর আগে গাজা অভিমুখে ত্রাণ নিয়ে যাত্রা করা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার কয়েকটি নৌযান যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ইসরায়েলি নৌবাহিনী ঘিরে ফেলার পর এসব জাহাজ থেকে সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ হয়ে গেছে।
আল জাজিরা মুবারাশির জানিয়েছিলেন, তারা সাইরিয়াস নামের একটি জাহাজে থাকা তাদের সাংবাদিক হায়াত ইয়ামানির সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারছেন না।
অন্যদিকে আলমা নামের আরেকটি জাহাজ থেকে পাওয়া সরাসরি ভিডিওতে দেখা গেছে, যাত্রীরা লাইফ জ্যাকেট পরে আধা বৃত্তাকারে বসে রয়েছেন এবং ইসরায়েলি বাহিনীর দ্বারা জাহাজটিতে হস্তক্ষেপের অপেক্ষা করছেন।
ফ্লোটিলা পরিচালনা কমিটির সদস্য ইয়াসেমিন আকার বলেছিলেন, “আইওএফ (ইসরায়েলি সেনারা) এখন আলমা জাহাজটিকে দুই দিক থেকে ঘিরে ফেলেছে। তারা একেবারে কাছে চলে এসেছে। আমরা প্রস্তুত হচ্ছি আটকানোর জন্য। ”
https://twitter.com/i/status/1973456085475533259