Image description

ক্ষুধার্ত গাজাবাসীদের জন্য ত্রাণবাহী জাহাজ বহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার বেশ কয়েকটি জাহাজ আটকে দিয়েছে ইসরাইল সেনারা। এই খবর প্রকাশের রাতে ইতালির বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এছাড়াও বিক্ষোভ শুরু হয়েছে স্পেন, জার্মানি ও তুরস্কে।

আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইতালির দক্ষিণের শহর নেপলসে প্রতিবাদকারীরা প্রধান রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশ করে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। রাজধানী রোমে টার্মিনি রেলওয়ে স্টেশনের আশেপাশে জমায়েত হওয়া প্রতিবাদকারীদের চারপাশে পুলিশ ঘিরে রেখেছে। প্রতিবাদে স্পেন, জার্মানির বার্লিন ও তুরস্কের ইস্তাম্বুলেও রাজপথে নেমে এসেছেন হাজারও মানুষ।

বৃহস্পতিবার রাতে গাজামুখী নৌবহরের আলমা ও আদারা নামের দুটি জাহাজে দখলদার ইসরাইলি সেনারা উঠে পড়ে। গাজা অভিমুখী এই মিশনের আয়োজকরা বলেছেন, ইসরাইলি দুটি ‘যুদ্ধজাহাজ’ দ্রুতগতিতে এসে বহরের দুই জাহাজ ঘিরে ফেলে। এসময় সবধরনের নেভিগেশন ও যোগাযোগব্যবস্থা অচল হয়ে যায়। জাহাজে অবস্থানরত আয়োজক থিয়াগো আভিলা এক সংবাদ সম্মেলনে যোগাযোগ ব্যবস্থা অচলের ঘটনাকে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর ‘সাইবার হামলা’ বলে অভিহিত করেছেন।

সুমুদ ফ্লোটিলার অফিসিয়াল চ্যানেলগুলোর একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিশনের জাহাজগুলোকে অবৈধভাবে আটক করা হচ্ছে। ক্যামেরা অফলাইনে আছে এবং সামরিক কর্মীরা জাহাজে উঠেছেন। আমরা জাহাজে থাকা সকল অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তা এবং অবস্থা নিশ্চিত করার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছি।

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নামের এই নৌবহরে ৪৫টি বেসামরিক নৌকা ও জাহাজ রয়েছে। এসব নৌযানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫০০ জন নাগরিক রয়েছে। তাদের মধ্যে সংসদ সদস্য, আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মী এবং সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও রয়েছেন।