Image description

গাজায় ইনফরমেশন-মিডিয়া ব্ল্যাকআউট ভাঙার প্রত্যয়ে আন্তর্জাতিক সংগঠন ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের (এফএফসি) মিডিয়া ফ্লোটিলায় প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে যোগ দিতে যাচ্ছেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। গাজার উদ্দেশে আগামীকাল রবিবার ইতালি রওনা দেবেন তিনি।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পান্থপথে দৃকপাঠ ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচির লক্ষ্য ও ফিলিস্তিনের সংগ্রামরত জনগণের প্রতি সংহতি বার্তা উপস্থাপন করেন শহিদুল আলম।

গ্লোবাল মিডিয়া ফ্লোটিলাতে যোগদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে সেখানে গণহত্যা চলছে।

 
ইসরায়েল ও আমেরিকা একসঙ্গে ফিলিস্তিনে, গাজায় মানুষকে খুন করছে। তার সঙ্গে পাশ্চাত্যের অনেকগুলো দেশ যুক্ত, তারাও সহযোগিতা করছে এবং তারাও এতে অংশীদার। কিন্তু পৃথিবীর অনেক দেশের অনেক মানুষ–সারা পৃথিবীর মানুষ এর প্রতিবাদও করছে এবং এই প্রতিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রেখে আমি আগামীকাল মিডিয়া ফ্লোটিলায় যোগ দিতে যাচ্ছি।’

 

শহিদুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে আমি প্রথম যাচ্ছি, কিন্তু মনে করি বাংলাদেশের সব মানুষের ভালবাসা সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছি।

 
এই সংগ্রামে শুধু আমাদের থাকলেই হবে না, এতে যদি আমরা পরাজিত হই, তাহলে মানবজাতি পরাজিত হবে।’ এই মিডিয়া ফ্লোটিলাতে কারা কারা আছে, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।

 

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে শহিদুল আলম বলেন, ‘এর মধ্যে ৪৪টি দেশের কথা বলা হয়েছে, এখন ৪৫টি দেশ হবে। সঠিক সংখ্যাটি এখন পর্যন্ত নিশ্চিত নয়।

 
তবে আমি যার কথা বলছি সেটি এখন গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার সঙ্গে যুক্ত হবে, যেটি মিডিয়া ফ্লোটিলা, একটি বড় নৌকা। এর সঙ্গে ছোট আরো ১০টি নৌকা থাকবে।’

 

তিনি আরো জানান, বহু বছর ধরেই ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী মানুষের পক্ষে দৃক বাংলাদেশ থেকে সংহতি বজায় রেখেছে। ফিলিস্তিনের ওপর ক্রমাগত আক্রমণকে আমাদের ওপরেই আক্রমণ মনে করেছি। একটি সমষ্টিগত আন্দোলনের জায়গা থেকে আমরা আলোকচিত্র প্রদর্শনী, ফিলিস্তিন-ভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ে অ্যাক্টিভিজম জারি রেখেছি।

 

 

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন নৃবিজ্ঞানী, লেখক ও দৃকের পরিচালক রেহনুমা আহমেদ, দৃকের জেনারেল ম্যানেজার ও কিউরেটর এ এস এম রেজাউর রহমান, দৃকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. কামাল হোসেন এবং সাংবাদিক, গবেষক ও দৃকের পরিচালক সায়দিয়া গুলরুখ।