
আবু ধাবির রাজপরিবার টিকটকের মার্কিন ব্যবসায় অংশীদার হচ্ছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে এই চুক্তিকে অনুমোদন দিয়েছেন। চুক্তির মূল্য ধরা হয়েছে ১৪ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ১০.৫ বিলিয়ন পাউন্ড)।
শেখ তাহনুন বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের নেতৃত্বে থাকা তহবিল এমজিএক্স টিকটক ইউএস-এর ১৫ শতাংশ শেয়ার নেবে এবং নতুন বোর্ডে একটি আসন পাবে।
ট্রাম্প বৃহস্পতিবার রাতে আদেশে সই করেছেন। এতে ১২০ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে চুক্তির খুঁটিনাটি চূড়ান্ত করার জন্য।
টিকটক ইউএস-এর প্রায় ৪৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে থাকবে ল্যারি এলিসনের ওরাকল, প্রাইভেট ইকুইটি গ্রুপ সিলভার লেক এবং আবু ধাবির এমজিএক্সের হাতে। সব মিলিয়ে আমেরিকান কোম্পানিগুলো টিকটক ইউএস-এর ৬৫ শতাংশের বেশি মালিকানা পাবে।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, বিনিয়োগকারীদের তালিকায় আছেন মাইকেল ডেল এবং রুপার্ট মারডকের ফক্সও।
ট্রাম্প বলেন, ‘টিকটক ইউএস এখন থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠভাবে আমেরিকানদের মালিকানায় এবং নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কোনো বিদেশি প্রতিপক্ষ আর নিয়ন্ত্রণ করবে না। যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড়, সবচেয়ে দক্ষ বিনিয়োগকারীরা এখন টিকটক চালাবে।’
চীনের বাইটড্যান্স মার্কিন শাখায় ১৯.৯ শতাংশ শেয়ার ধরে রাখবে। তবে চীন এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং সেখান থেকে ‘সবুজ সংকেত’ পেয়েছেন।
চুক্তির বিষয়ে ভাইস-প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেন, মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ বিলিয়ন ডলার। তার ভাষায়, ‘চীনের দিক থেকে কিছু আপত্তি ছিল। তবে মূল বিষয় ছিল টিকটক চালু রাখা এবং আমেরিকানদের তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা করা।’
ভ্যান্স আরও বলেন, ‘এই চুক্তি মানে আমেরিকানরা এখন টিকটক ব্যবহার করতে পারবে আগের তুলনায় অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস নিয়ে। কারণ তাদের ডেটা নিরাপদ থাকবে এবং তা আমাদের নাগরিকদের বিরুদ্ধে প্রচারণার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে না।’
যদিও এই মূল্যায়ন বাইটড্যান্সের মূল কোম্পানির তুলনায় অনেক কম। বাইটড্যান্সের মোট বাজারমূল্য অনুমান করা হয় প্রায় ৩৩০ বিলিয়ন ডলার। তুলনায় মেটার (ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মালিক) মূল্য ১.৮ ট্রিলিয়ন ডলার।
গত বছরের এপ্রিলে কংগ্রেস একটি আইন পাস করে, যেখানে বাইটড্যান্সকে টিকটকের মার্কিন শাখা বিক্রি করতে বলা হয় গোপনীয়তা ও জাতীয় নিরাপত্তার কারণে। তখন থেকেই টিকটক ইউএস-এর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
ট্রাম্প বারবার সময় বাড়িয়েছেন—কখনো বিক্রির জন্য, কখনো বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে—শুধু একটা চুক্তি সম্ভব করার জন্য।