
রুয়ান্ডা-সমর্থিত এম-২৩ যোদ্ধা এবং কঙ্গোর সামরিক বাহিনী ও তাদের সহযোগীরা সবাই কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের পূর্বাঞ্চলে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের তদন্ত দলের সদস্যরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দিয়েছেন।
দেশটিতে সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিষয়ে উভয়পক্ষকে সতর্ক করে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের উত্তর ও দক্ষিণ কিভু প্রদেশের পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের ‘ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং কমিশন’ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সংঘাতে জড়িত সকল পক্ষ ২০২৪ সালের শেষের দিক থেকে মানুষের ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছে। তারা মানুষ হত্যা করেছে এবং ব্যাপক যৌন নিপীড়ন চালিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সংঘাতে জড়িত সব পক্ষের দ্বারা সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের বিষয়টি অনুসন্ধানে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হয়েছে। তারা এমন অনেক কাজ করেছে, যেগুলো যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে বিবেচনার যোগ্য।
রুয়ান্ডার সীমান্তবর্তী কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের পূর্বাঞ্চলে বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে। তবে সেখানে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে সহিংসতা চলছে। ২০২১ সালের শেষের দিকে রুয়ান্ডা সমর্থিত এম-২৩ সশস্ত্র গোষ্ঠী আবারও অস্ত্র হাতে নামার পর এলাকাটির বৃহৎ অংশ দখলে নিয়েছে। এতে ওই অঞ্চলে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে।