Image description

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, আগামী নির্বাচনে জুলাই চেতনায় বিশ্বাসীদের নিয়ে বৃহত্তর জোট গঠন করা হবে। সেই লক্ষ্যে আমাদের কাজ চলছে। জোটে সব ইসলামি দল, জুলাই চেতনাকে ধারণ করে এমন সমমনা দল থাকবে। এ বিষয়ে আলেম-ওলামা ও ইসলামী রাজনীতিকদের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। নির্বাচন যত কাছে আসবে, আমাদের এ প্রক্রিয়া তত দৃশ্যমান ও সুসংগঠিত হবে।

 

শুক্রবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা কেন্দ্র নির্বাচনি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

 

ডা. তাহের বলেন, দিন দিন জামায়াতের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। পক্ষান্তরে অন্য একটি দলের জনপ্রিয়তা কমছে। ওই দলটি গত কয়েক দিন আগেও হানিফ পরিবহণের কাউন্টার ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। দেশের জনগণ কোনো চাঁদাবাজ ফ্যাসিবাদকে আর চায় না।

 

জামায়াত নেতা আবুল কালাম মজুমদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন- জামায়াতের কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আমির অ্যাডভোকেট মু. শাহজাহান, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আমির মাহফুজুর রহমান, বাতিসা ইউনিয়ন নির্বাচনের অঞ্চল পরিচালক মজিবুর রহমান ভুঁইয়া।

 

ডা. তাহের আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর নির্বাচন চায়। যেখানে মানুষ নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। যেন তেন উপায়ে কারো চাপিয়ে দেওয়া নির্বাচন জনগণ মেনে নিবে না। এই নির্বাচন হবে ভারতীয় আধিপত্যবাদ, দুর্নীতিবাজ ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক ও ইসলামপ্রিয় জনগণের বিজয়ের নির্বাচন। এ নির্বাচন হতে হবে সন্ত্রাস ও দখলদার মুক্ত অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। প্রত্যেক ভোটারের কাছে দাঁড়িপাল্লার প্রতীকের আহবান পৌঁছে দিয়ে বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।

 

জামায়াত নেতা মাস্টার কামাল উদ্দিন ও আবদুল কাইয়ুম মানিকের যৌথ পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- ইউনিয়ন জামায়াতের আমির সাইয়েদ রাশীদুল হাসান জাহাঙ্গীর, এম ইউসুফ, ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন মিন্টু, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মহসিন মজুমদার।

 

এর আগে প্রধান অতিথি ডা. তাহেরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান সমাজসেবক মহসিন মজুমদার, আবদুল হক, মো. লিটন প্রমুখ।

 

এ সময় যুবনেতা নুরুল করিম মামুন, পেয়ার আহমেদ, হোসাইন মোহাম্মদ কাউসার, জাফর আহমেদ, রেজাউল করিম মিন্টু, ইব্রাহিম চৌধুরী অরূপ, ফরহাদ হোসেন, ওহিদুর রহমানসহ লুদিয়ারা, কুলিয়ারা, কালিকসার ও দুর্গাপুর গ্রামের বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।