
দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা ও নবীন রাজনীতিক থালাপতি বিজয় রাজনীতিতে পা রাখার পর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সম্প্রতি মাদুরাইয়ে অনুষ্ঠিত একটি বিশাল সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও ক্ষমতাসীন বিজেপির বিরুদ্ধে সরাসরি লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়ে তিনি শোরগোল ফেলে দেন। কিন্তু সমাবেশের রেশ কাটতে না কাটতেই তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তামিলনাড়ুর কুন্নাম থানায় দায়ের হওয়া মামলায় বিজয় ও তার দেহরক্ষীদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রামবালুরে এক সমাবেশ চলাকালে বিজয়ের দেহরক্ষীরা শরদ কুমার নামের এক ব্যক্তিকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির তিনটি ধারায় মামলা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
২০২৪ সালে রাজনীতিতে প্রবেশের ঘোষণা দেন থালাপতি বিজয়। এরপর থেকেই তিনি গড়ে তোলেন নিজস্ব রাজনৈতিক দল টিভিকে (তামিলাগা ভেট্রি কাজাগাম)। দলের দ্বিতীয় রাজ্য সম্মেলনে বিজয় স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি মাদুরাইয়ের পূর্বা আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তিনি ডিএমকে-কে প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এবং বিজেপিকে আদর্শগত শত্রু হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
সম্মেলনে হাজারো মানুষের সামনে বিজয় ঘোষণা দেন, টিভিকে কোনো রাজনৈতিক খেলা নয়, বরং একটি আদর্শ। তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য স্বচ্ছ, আপসহীন ও মানবিক রাজনীতি। ২০২৬ সালের নির্বাচন হবে টিভিকে বনাম ডিএমকের লড়াই।” এ ছাড়া তিনি কাঁচা ধীবদ্বীপ পুনরুদ্ধার ও তামিল জেলেদের নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতিও দেন।
বিজয়ের সমাবেশকে বিশ্লেষকরা তামিল রাজনীতির নতুন শক্তি প্রদর্শন হিসেবে দেখছেন। অনেকেই মনে করছেন, এটি ১৯৬৭ ও ১৯৭৭ সালের নির্বাচনী সমাবেশগুলোর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, যখন আন্নাদুরাই ও এমজি রামচন্দ্রের মতো তারকারা রাজনীতিতে ঝড় তুলেছিলেন।
তবে জনপ্রিয়তা ও জনসমর্থন থাকলেও থালাপতি বিজয়ের রাজনৈতিক যাত্রা এখনো প্রারম্ভিক পর্যায়ে। তার দৃপ্ত বার্তা ও বিশাল জনসমাবেশ রাজনীতির মাঠে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কিন্তু দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে মামলা নতুন করে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে বিতর্কের জন্ম দিল।