Image description
 

ভারতের ইন্টারনেট সেন্সরশিপ নীতির বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে ইলন মাস্কের মালিকানাধীন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স (পূর্বে টুইটার)। প্রতিষ্ঠানটি দাবি করেছে, ভারত সরকারের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত সেন্সরশিপের চেষ্টায় মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

 

বুধবার (৬ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

২০২৩ সালে মহারাষ্ট্রের সাতারায় একটি পোস্টে এক শাসক দলীয় নেতাকে ‘নির্বোধ’ বলা হয়। পুলিশ ওই পোস্টকে ‘সম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে’ বলে উল্লেখ করে এবং এক্স-কে তা সরাতে নির্দেশ দেয়। এমন বহু কনটেন্ট সরানোর নির্দেশনার বিরুদ্ধে এক্স চলতি বছরের মার্চে কর্ণাটক হাইকোর্টে মামলা করে।

সরকার ২০২৩ সালে একটি নির্দেশনায় কেন্দ্র ও রাজ্য পর্যায়ের বিভিন্ন সংস্থা ও পুলিশকে সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট সরানোর ক্ষমতা দেয়। পরে ২০২৪ সালের অক্টোবরে ‘সহযোগ’ নামে একটি ওয়েবসাইট চালু করে, যার মাধ্যমে সরাসরি কনটেন্ট অপসারণের নির্দেশ পাঠানো যায়। এক্স এই ওয়েবসাইটে অংশ না নিয়ে এটিকে ‘সেন্সরশিপ পোর্টাল’ বলে আখ্যা দেয় এবং চ্যালেঞ্জ করে।

 

 

 

আদালতে জমা দেওয়া নথিতে এক্স দাবি করেছে, বহু নির্দেশনা ছিল ব্যঙ্গচিত্র, সমালোচনামূলক সংবাদ ও রাজনৈতিক বিদ্রূপ সরানোর জন্য, যা গণতান্ত্রিক মতপ্রকাশের অধিকারে হস্তক্ষেপ।

সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এক্স-এ ভুয়া খবর, ঘৃণা ছড়ানো কনটেন্ট ও অবৈধ উপাদান ছড়ানো হচ্ছে। সাইবারক্রাইম বিভাগ জানিয়েছে, ২০২৪ সালের মার্চ থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত প্রায় ১,৪০০টি পোস্ট বা অ্যাকাউন্ট সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়, যার ৭০ শতাংশই তাদের পক্ষ থেকে।

এখন পর্যন্ত আদালতে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। সরকার, মেটা ও গুগল এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।