
ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের কোনো বিকল্প নেই। সোমবার (২৮ জুলাই) সৌদি আরবের সঙ্গে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন-নোয়েল ব্যারোট। খবর এনডিটিভির।
তিন দিনের এই বৈঠকের শুরুতে জিন-নোয়েল ব্যারোট বলেন, ‘কেবল একটি রাজনৈতিক, দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানই ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনিদের শান্তি ও নিরাপত্তায় বসবাসের বৈধ আকাঙ্ক্ষা পূরণে সহায়তা করবে। এর কোনো বিকল্প নেই।’
সম্মেলনের কয়েকদিন আগে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সেপ্টেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেন। তার এ ঘোষণা ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র বিরোধিতাকে উসকে দেয়।
ব্যারোট বলেন, অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলো সম্মেলনের ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার তাদের সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করবে। তবে কোন দেশ বা দেশগুলো তা তিনি উল্লেখ করেননি।
বৈঠকের শুরুতে ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তাফা বলেন, সব রাষ্ট্রের পদক্ষেপ নেওয়ার দায়িত্ব রয়েছে। এছাড়া তিনি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের জন্য আন্তর্জাতিক শক্তি গঠনের আহ্বান জানান।
তিনি বিশ্বকে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে তিনি হামাসকে গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ এবং তাদের অস্ত্র সমর্পণেরও দাবি জানান।
ফ্রান্স আশা করছে যুক্তরাষ্ট্র তার পদক্ষেপ অনুসরণ করবে। গত শুক্রবার ২০০ জনেরও বেশি ব্রিটিশ সংসদ সদস্য এই ধারণার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি ‘একটি বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ হতে হবে’।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সভায় বলেছেন ‘দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান আগের চেয়ে অনেক এগিয়ে। ’
এএফপির একটি ডাটাবেস অনুসারে, জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে কমপক্ষে ১৪২টি দেশ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে।