
রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগকে (৩৯)। হত্যার আগে ডেকে নিয়ে তাঁকে পিটিয়ে এবং ইট-পাথরের টুকরা দিয়ে আঘাত করে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তাকে বিবস্ত্র করা হয়। তার শরীরের ওপর উঠে লাফায় কেউ কেউ। দেশ-বিদেশে বিভিন্ন গণমাধ্যমেও খবর আকারে প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, আজ রবিবার (১৩ জুলাই) বিকেলে ইন্ডিয়া টুডে হিন্দু ব্যবসায়ী উল্লেখ করে একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে। যেখানে বলা হয়, বাংলাদেশে হিন্দু ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে হত্যা করা হয়েছে এবং মরদেহের ওপর উঠে হামলাকারীরা নাচানাচি করেছে। গত বছরের ৪ আগস্ট থেকে ২,৪৪২টি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে বলে ইন্ডিয়া টুডের খবরে বলা হয়।
এদিকে মুসলিম ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগকে ‘হিন্দু ব্যবসায়ী’ উল্লেখ করে ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে নানা সমালোচনা।
সোহান নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লেখেন, ‘মিটফোর্ডে খুন হওয়া ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ মিয়া সোহাগকে হিন্দু দাবি করে ভারতীয় গণমাধ্যমে অপপ্রচার!।’
উল্লেখ্য, রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে মো. সোহাগ (৪৩) নামে ভাঙারি ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
নিহত মো. সোহাগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মিটফোর্ড এলাকার ৪ নম্বর রজনী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করতেন।
এ ঘটনায় ১৯ জনের নামে কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করে নিহতের পরিবার। এ পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।