Image description

গাজা যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তির পথে প্রধান অন্তরায় হয়ে উঠেছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু—এমনটাই বলছেন ইসরায়েলের বিরোধী নেতা ইয়াইর গোলান। শনিবার তিনি স্পষ্টভাবে নেতানিয়াহুর পদত্যাগ দাবি করে বলেন, ‘জীবন বাঁচাতে এবং দেশকে রক্ষা করতে হলে এই সরকারকে অবিলম্বে বিদায় নিতে হবে।’

গোলান দাবি করেন, মার্কিন প্রভাবশালী দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমসের সাম্প্রতিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনেই প্রমাণ মিলেছে- নেতানিয়াহু, অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোত্রিচ এবং জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গাভির তাদের রাজনৈতিক অবস্থান ধরে রাখার স্বার্থে বন্দি মুক্তি ও যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনাগুলো বারবার নস্যাৎ করেছেন।

এক্স (টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা গোলান বলেন, ‘এই চুক্তি বাধাগ্রস্ত করছেন নেতানিয়াহু ও তার উগ্রপন্থি মন্ত্রিসভার সদস্যরা। সেনা ও বন্দিদের জীবন তাদের কাছে ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, যতটা গুরুত্বপূর্ণ নিজেদের মন্ত্রিত্ব ও পদ রক্ষা করা।’

তিনি আরও বলেন, ‘নেতানিয়াহু, স্মোত্রিচ ও বেন গাভির হলো চরমপন্থি সংখ্যালঘু গোষ্ঠী, যারা পুরো দেশকে এক নির্মম নরকের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বারবার শান্তি প্রচেষ্টা বানচাল করে এরা নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার খেলায় মেতেছে।’

গোলানের এই কঠোর মন্তব্য এমন সময় সামনে এলো, যখন নিউইয়র্ক টাইমস তাদের তদন্ত প্রতিবেদনে জানায়—গাজায় যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার সিদ্ধান্ত ছিল মূলত রাজনৈতিক। এতে বলা হয়, নেতানিয়াহু এবং তার ডানপন্থি জোটসঙ্গীরা গাজায় যুদ্ধ ও মানবিক সংকট অব্যাহত রেখে নিজেদের ক্ষমতা ও জনসমর্থন ধরে রাখার কৌশল বেছে নিয়েছেন।

এদিকে বন্দি বিনিময় চুক্তি দ্রুত কার্যকরের দাবিতে ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে শনিবার রাতভর হাজারো মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। বিক্ষোভকারীরা যুদ্ধ বন্ধ করে গাজায় আটক থাকা ইসরায়েলি বন্দিদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার জোর দাবি জানান।

নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে জনরোষ এবং চাপ বাড়ছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি