
নোবেল শান্তি পুরস্কার জিতেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের চারজন প্রেসিডেন্ট। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হওয়ার প্রত্যাশায় আছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর হাত ধরে হোয়াইট হাউসে এক নৈশভোজে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন।
আগের নোবেলজয়ী মার্কিন প্রেসিডেন্টরা হলেন:
- থিওডোর রুজভেল্ট (১৯০৬) – রাশিয়া ও জাপানের মধ্যে যুদ্ধ শেষ করতে মধ্যস্থতা করার জন্য।
- উড্রো উইলসন (১৯১৯) – প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী ‘লিগ অব নেশনস’ প্রতিষ্ঠার জন্য।
- জিমি কার্টার (২০০২) – আন্তর্জাতিক শান্তি ও গণতন্ত্রে অবদানের জন্য।
- বারাক ওবামা (২০০৯) – আন্তর্জাতিক কূটনীতির ক্ষেত্রে বহুপাক্ষিক চুক্তি ও পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ প্রচেষ্টার জন্য।
ট্রাম্প কেন আলোচনায়?
নেতানিয়াহু তার নোবেল মনোনয়ন চিঠিতে উল্লেখ করেন, ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা, আব্রাহাম চুক্তি বাস্তবায়ন এবং সর্বশেষ গাজা ও ইরান ইস্যুতে যুদ্ধবিরতির পথ তৈরি করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। এমনকি ইরান হামলার পর তিনি নিজেই শান্তির ডাক দিয়ে যুদ্ধবিরতি ঘোষণায় নেতৃত্ব দেন।
বিশ্লেষকদের মতে, এটি মূলত নেতানিয়াহুর কূটনৈতিক কৌশল এবং ট্রাম্পের রাজনৈতিক ভাবমূর্তি জোরদারের একটি প্রচেষ্টা। যদিও ট্রাম্প পূর্বেও একাধিক শান্তিচুক্তিতে ভূমিকা রাখার দাবিতে নোবেল প্রত্যাশার কথা বলেছেন, এবার তা আরও আনুষ্ঠানিক রূপ পেল।
তবে ট্রাম্পের নোবেল প্রাপ্তি আদৌ সম্ভব কিনা, তা নির্ভর করবে নোবেল কমিটির মূল্যায়নের ওপর। তবে বিশ্ব রাজনীতিতে তার ভূমিকাকে ঘিরে বিতর্ক থাকলেও, শান্তিচেষ্টার এই স্বীকৃতি ট্রাম্পের জন্য এক বড় কূটনৈতিক অর্জন হতে পারে।